কিছু কথা বসন্তে বদলে যায়…..। বিশ্বায়নের এই যুগে থেমে নেই বাংলাদেশ। যুগের সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে সুজলা সুফলা আর বিখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট আর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত সেই সাথে এক সময়কার সোনালী আঁশ উৎপাদনকারী বাংলাদেশ। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আবিস্কার হয় বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির নতুন দ্বার। যার হাত ধরে একে একে আপামর বাংলার কৃষক থেকে শুরু করে সব শ্রেণীর মানুষ চিনছে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার আর ইন্টারনেট। মূলত ফোন কোম্পানির আদলে গড়ে উঠেছে প্রযুক্তির ক্রম বিকাশ।
সোস্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ফেইসবুক, টুইটার এবং মাইস্পেস-এ হাজার হাজার বুন্ধু। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা সারাদিন বসে চ্যাট করছে ইন্টারনেটে মিলে যাওয়া বন্ধু বান্ধবের সাথে হয় মোবাইলের মাধ্যমে, নয়তো কম্পিউটারের মাধ্যমে। আজকাল ইন্টারনেটের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে অসংখ্যা সাইবার ক্যাফে। ইদানিং সাইবার ক্যাফেগুলো ছোট ছোট রুমের আদলে গড়া। বিশ্বাসযোগ্য নয়। এসব রুমের ভিতর কি চলছে? যদি কেউ সাইবার ক্যাফে যেয়ে থাকেন অন্তত তাদের বোঝার কথা। প্রযুক্তির ক্রম বিকাশের ধারায় যোগাযোগ ব্যবস্থা তথা তথ্যভিত্তিক কর্মকান্ডের প্রতিফলনও ঘটেছে। কেউ ইন্টারনেটকে নিয়েছে পেশা হিসাবে, কেউ নিয়েছে সখ হিসেবে, আবার কেউ নিয়েছে মানুষের জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে। দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠেছে সাইবার অপরাধীরা। এদের হাত থেকে বাদ যায়নি নামকরা অভিনেত্রী, উপস্থাপিকা, পরিচালক, নাট্যকর, ছাত্র ছাত্রী সহ অনেকে। মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে এসব তথ্যচিত্র পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। শুধু তাই নয় র্যাবের ওয়েবসাইটের মত হ্যাক করার ঘটনাও ঘটেছে কয়েকটি। বর্তমানে ডেবিট কার্ড, মাষ্টার কার্ড, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বেড়ে চলেছে ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক করার মত ঘটনাও। বিচ্ছন্ন আরো কিছু ঘটনাও রয়েছে।
অন্যান্য দেশে ইন্টারনেটে নজরদারি করার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গঠিত টিম রয়েছে যারা সব সময় পর্যবেক্ষন করছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ রয়েছে পিছিয়ে। যাহোক যতদূর জানি সাইবার ক্রাইমের উপর নীতিমালা রয়েছে কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। কিছুদিন আগে পর্নোগ্রাফির উপরেও একটি আইন পাশ হয়েছে, পাশ হয়ে কি হবে যদি এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন না হয়। দিন দিন বেড়ে চলেছে সাইবার ক্রাইম।
কিন্তু সরকার এখানে নিরব। যেখানে সারা পৃথিবীর ইন্টারনেটের উপর নজরদারি করছে এফবিআই, সিআইএ, স্কটল্যান্ড ইর্য়াড সহ বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা। সেখানে আমার দেশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তাই সময়ের প্রয়োজনে সাইবার ক্রাইম বিষয়ক তদন্ত সেল অথবা মনিটরিং সেল গঠন করে সরকারের খুব দ্রুত এ বিষয়ে তৎপর হওয়া উচিত, নচেৎ সাইবার ক্রাইম ক্ষুদ্রাকার থেকে একদিন বৃহদাকারে ধারন করবে।
প্রতিটা ক্ষেত্রে সরকারের সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারে সমাধানের একমাত্র উপায়।