জিয়া পরিবারের দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের মাধ্যমে 'আঙ্গুল ফুলে বটগাছ' হলেও (আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ' বাগধারাটি এখানে উদাহরণ হিসেবে প্রয়োগ করা অপমানজনক) বিএনপি নেতারা জিয়া পরিবারকে ধোয়া তুলশী পাতা বলে এতো মিথ্যাচার করছেন তার প্রেক্ষিতে জিয়া পরিবারের ব্যবসা বাণিজ্যের সামান্য কিছু খতিয়ান তুলে ধরলেইতো তারা আর জবাব দিতে পারবেন না, কিভাবে ১৯৯১ সালে তাদের মা বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মায়ের প্রভাব খাটিয়ে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে ১৯৯১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে মাত্র ১৫ বছরে ১. ডান্ডি ডায়িং ২. রহমান শিপইয়ার্ড যার পরিচালনায় রয়েছে কোকো জাহাজ-১ থেকে কোকো জাহাজ-৬ পর্যন্ত ৩. ক্লিংকার ইন্ডাষ্ট্রিজ ৪. ওয়ান স্পিনিং মিল ৫. বসুন্ধরায় জমি ৭. এ্যাভান্স নেট ৮. স্পোর্টস ওয়ার ৯. রহমান গ্রুপ ১০. হাসান কোঃ(বিডি) লিঃ ১১. ডান্ডি মার্কেটিং লিঃ ১২. বি.সি কর্পোরেশন লিঃ ১৩. ঢাকা সাংহাই সিরামিক লিঃ ১৪. ডাইপার লিঃ ১৫. ওয়েসিস ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ১৬. অরচার্ড এয়ার লিঃ ১৭. সিন ক্লেয়ার ফার্মা লিঃসহ আরো নামে বেনামে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক বনে যান।
এখানে হাজার হাজার কোটি টাকা ও স্বর্ণাংকারের কথা কিন্তু বাদই থাকলো। তাহলে জিয়া পরিবার মাত্র ১৫ বছরে কি করে এতো বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হলো? পাগল বা শিশুরাওতো জানে যে সৎ পথে উপার্জন করে কোনো পরিবার এতো স্বল্প সময়ে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ও ব্যবসার মালিক হতে পারে না। তবে তা সম্ভব ভাঙা স্যুটকেস ও ছেড়া গেঞ্জি যদি আলাদীনের যাদুই চেরাগ হয়ে যায় তা হলেই।
কথা হলো আইন সবার জন্য সমান। সেটা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান বা পরিবারই হোক বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারই হোক। একটা গরীব দেশের সাধারণ মানুষের রক্ত শোষণ করে যারা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান, তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা বা সাজা হলে সেখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আবিস্কার করা কখনো সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। দেশের প্রচলিত আইনে সামান্য চুরির অপরাধে যদি জেল জরিমানা হতে পারে, সেখানে ক্ষমতাধর রাজনৈতিক দলের পুত্র-কন্যা বা পরিবারের সদস্যরা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করলে রাজনীতির অজুহাতে তারা রক্ষা পেয়ে গেলে দেশে আইনের শাসন আছে বলে তো কেউ মনে করবে না। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান, সে রাজার ছেলে হোক, আর ভিখেরীর ছেলেই হোক।