ময়মনসিংহে বেত

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 19 Sept 2014, 07:00 PM
Updated : 19 Sept 2014, 07:00 PM

ময়মনসিংহে বেত। বেত একটি মূল্যবান জাতীয় সম্পদ যা আসবাবপত্র ও অন্যান্য কুটির শিল্পের মূল্যবান উপকরণ। কুটির শিল্পে তৈরি বেতের বিভিন্ন চাহিদা দেশে ও বিদেশে প্রচুর । পর্যাপ্ত উপকরণের অভাবে বেত নির্ভর কুটির শিল্প আজ অনেক সমস্যার সন্মুখীন । অপরিকল্পিত আহরণ এবং চাষাবাদের অভাবই এই সম্পদ ধ্বংসের অন্যতম কারণ। বাংলাদেশে বিভিন্ন বেতের চাষ করা কোন কঠিন কাজ নয়। ভালভাবে গর্ত করে কিছু সার দিয়ে জমিতে ও বাড়ির আশে পাশে লাগানো হয়ে থাকে বেত গাছ। সরকারের বন মন্ত্রণালয় কুটির শিল্পের উন্নয়নে এবং কাঁচামাল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বেতের উৎপাদন বৃদ্ধির কাজ শুরু করে ছে। ১৯৯২ সাল থেকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া ও ভালুকায় ৫০ একর জমিতে বেতের বাগান তৈরি করা হয়। বন বিভাগ সূত্র জানায় , পাকা ফল সংগ্রহ করে ফল থেকে বীজ বের করে আলাদাভাবে ফল সংগ্রহ করা যায় । বেত বীজ ও মোথা দিয়ে চাষ করা হয়।তবে ব্যাপক চাষাবাদের জন্য বীজ থেকে চারা করাই উত্তম।

সুন্দি ও জালি বেতের পাকা ফল এপ্রিল- মে মাসে সংগ্রহ করা যায়। কোরাত বেতের পাকা ফল মার্চ এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর- অক্টোবরে সংগ্রহ করা যায়। বুদুম এবং গোল্লা বেতের পাকা ফল জুন-জুলাই মাসে সংগ্রহ করতে হয় এবং উদুম বেতের ফল পাকে জুলাই -আগষ্ট মাসে। সূত্র জানায় , ১৯৭৯-৮০ অর্থ বছর থেকে ১৯৮৮-৮৯ পর্যন্ত প্রতি বছর বেত থেকে ৫ কোটি ১০ লাখ থেকে ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা আয় হয় । গ্রাম- গজ্ঞের আনাচে কানাচে গজিয়ে উঠা বেত উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ সম্পদ আজ বিলুপ্তির পথে । ফলে বেত নির্ভর কুটির শিল্পও হুমকির মুখে । অথচ এই শিল্পের প্রধান উপকরণ বেত অধিকাংশ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। এ ব্যপারে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মঈনউদ্দিন জানান, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা , ফুলবাড়িয়া ও ভালুকায় বন বিভাগের উৎপাদিত বেত পরিকল্পিত আহরণ ও টেকসই চাষাবাদের কারণে বনজ সম্পদ বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।