আধুনিকতার ছোঁয়ায় ক্রমশঃ হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কাষ্ঠ পাদুকা খরম। এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদেরর এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। জানা যায়, চামড়া , রেকসিন, প্লাষ্টিক , কাপড় ইত্যাদি দিয়ে তৈরি জুতা( পাদুকা) এখন মানুষের পায়ে শোভা বর্ধন করে।
বিগত কয়েক বছর ধরে বার্মিস জুতায় ছেয়ে গেছে বাংলাদেশের নগর মহানগর শহর এমনকি গ্রাম বাংলার মানুষের পায়ে পায়ে । বলতে গেলে এখন দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষই বার্মিস জুতা ব্যবহার করেন।
সূত্র জানায়, কাঠ দিয়ে তৈরি খড়ম পরিবেশ বান্ধব । তারপরও মানুষ এটিকে পরিহার করেছে। অপরদিকে বার্মিস জুতা মানুষের মাথা গরম করা , পায়ের নিচেরস্তর চামড়া মোটা করে বয়রা নামক রোগের সৃষ্টি করে।
বয়রায় আক্রান্ত হয়ে অনেকেই সার্জন চিকিৎসকদের স্মরণাপন্ন হন। একজন প্রবীণ জানান, ৭০ এর দশক পর্যন্তও জনপ্রিয় ছিলো খড়ক পাদুকা । তৎপরবর্তীতে যানবাহনের চাকায় ব্যবহৃত টায়ার ও টিউব কেটে তৈরি হয় এক ধরনের জুতা । যার নামকরণ করা হয় টায়ার জুতা। কালের আবর্তে ঐ টায়ার জুতাটিও বিলুপ্ত হয়ে যায়।
আসে সেন্ডেল । বর্তমানে বাহারী মডেলের সেন্ডেলে বাজার সয়লাব। একটি কাষ্ঠ পাদুকা খড়ম তৈরি করতে ( মজুরী ও কাঠের দাম বাবদ) বর্তমান বাজারে খরচ পড়ে দেড় থেকে ২শ' টাকা । পান্তরে বার্মিসের একটি পাদুকা পাওয়া যায় ৮০ থেকে ১শ' টাকায় ।
দাম সাশ্রয়ী হওয়ায় সবাই বার্মিসের জুতাই ব্যহার করে। একজন জানান, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদেরও বর্মিস জুতা ব্যবহার করতে হয়। খড়ম পায়ে দিয়ে চলাফেরা করলে বেমানান মনে হবে বিধায় ইচ্ছা থাকলেও খড়ম পাদুকা ব্যবহার করিনা।
পরিবেশ বান্ধব কাষ্ঠ পাদুকা খড়ম বিলুপ্ত হওয়ায় হারিয়ে গেছে এ শিল্পের সাথে জড়িত শিল্পিরাও ।