মুক্তাগাছায় পালিত হচ্ছে শোক দিবস

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 15 August 2016, 03:50 AM
Updated : 15 August 2016, 03:50 AM


আজ সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদায় ময়মনসিংহে মুক্তাগাছায় পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস ২০১৬ , জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ।

সকাল থেকেই দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামীলীগসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনও রাজনৈতিক দল নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সকালে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন, সহকারী কমিশনার নমিতা দে,থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আখতার মোরশেদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবুল কাশেম,ডেপুটি কমান্ডার রেজাউল করিম জিন্নাহ প্রমুখ ।

উপরোল্লিখিত সংগঠনের কর্মকর্তা- কর্মচারী ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন ।কালো পতাকা উত্তোলন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।


জানা যায়, ইতিহাসের বেদনাবিধুর ও বিভীষিকাময় এক দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এইদিন অতিপ্রত্যুষে ঘটেছিল ইতিহাসের সেই কলঙ্কজনক ঘটনা।

সেনাবাহিনীর কিছু উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী সৈনিকের হাতে সপরিবারে প্রাণ দিয়েছিলেন বাঙালির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এই নৃশংস হামলার ঘটনায় আরো যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন তারা হলেন : বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। আগস্ট মাসটি তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে শোকের মাসে পরিণত হয়েছে।

ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাসভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হলেও সেদিন আল্লাহর অসীম কৃপায় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। সে সময় স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে জার্মানিতে সন্তানসহ অবস্থান করছিলেন শেখ হাসিনা। শেখ রেহানাও ছিলেন বড় বোনের সঙ্গে।