ময়মনসিংহে আঠারবাড়ির জমিদার

মনোনেশ দাসমনোনেশ দাস
Published : 20 Sept 2016, 08:32 PM
Updated : 20 Sept 2016, 08:32 PM

ময়মনসিংহে ঈশ্বরগঞ্জের আদি নাম ছিলো পিতলগঞ্জ । এই পিতলগঞ্জে ছিলো এক খেয়ামাঝি । নাম ছিলো তার ঈশ্বরপাটনী ।


ব্রীটিশ আমলে ইংরেজরা নির্যাতন করতো প্রজাদের । বাদ যাননি ঈশ্বরপাটনীও । এই তিনি গড়ে তোলেন ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন ।এক ইংরেজ সাহেবকে হত্যা করেন তিনি । পরে তিনিও প্রাণ হারান । গৌরীপুরের তৎকালীন এক জরিমদার ঈশ্বরপাটনীর নামের ঈশ্বরের সঙ্গে গঞ্জ যোগ করে এলাকার নামকরণ করেন ঈশ্বরগঞ্জ।

ময়মনসিংহ শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরবর্তী ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়িতে প্রতিষ্ঠিত মনকাড়া প্রত্নতত্ব নিদর্শন এক প্রাচীন বাড়ি যেটি আঠার বাড়ি জমিদার বাড়ি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ।


ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৪৭ সালে দেশভাগ এবং ১৯৫১ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে, বাড়ির মালিক জমিদার প্রমোদ রায় চৌধুরী পরিবার-পরিজননিয়ে ভারত চলে যান। এরপর ১৯৬৮ সালে জমিদারবাড়ির আঙিনায় স্থাপিত হয় আঠারবাড়ি ডিগ্রি কলেজ।

এই জমিদারদের পূর্বপূরুষ জমিদার দীপ রায় চৌধুরী পরিবারের দেখভালের জন্য যশোর থেকে আঠারটি হিন্দু পরিবার তাদের এখানে আনেন । এরই ধারাবাহিকতায় এলাকাটির নামকরণ হয় আঠারবাড়ি ।

জমিদার প্রমোদচন্দ্র রায় চৌধুরীর আমন্ত্রণে ১৯২৬ সনের ১৯ ফেবৃুয়ারি এই আঠাবাড়ি জমিদার বাড়িতে এসেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । পুত্র রথীন্দ্রনাথ, পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী, দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইতালির অধ্য জোসেফ তুচিও ছিলেন কবীর সফরসঙ্গী ।


আঠারবাড়ি জমিদারদের অনেক মূল্যবান ঘর, মন্দিরসহ অনেক স্থপনা আজ ধ্বংসের পথে। এলাকবাসী এগুলির যথাযথ সংস্কার ও সংরক্ষণের দাবী জানান ।