ভারতের জল আর ক্ষমতার ঘোল

ভালবাসার দেয়াল
Published : 3 Nov 2012, 08:25 AM
Updated : 3 Nov 2012, 08:25 AM

গাধা জল ঘোলা করে পানি খায়। সবাই শুধু গাধাকেই দোষ দেয় যে কোন ব্যাপারে। পরীক্ষায় কেউ ফেল মেরেছে তো- গাধা বলে গালি দিতেও কারও বাধা নেই। মোদ্দা কথা বুদ্ধিহীন যত কাজ,যত দোষ ঐ ব্যাটা গাধারই! কথিত আছে গাধার সামনে একটি গাজর ঝুলিয়ে দিলে নাকি গাধা তা সামনে আছে ভেবে, তা ভক্ষণের প্রচেষ্টায় মাইলের পর মাইল পিঠে ভারি বোঝা নিয়ে হেটে যায়। চতুর মালিক তা থেকে ফায়দা লুটে তার বোঝা এক গাজরেই পার করে নেয়। মায়ানমারের জনগণ আর সারা বিশ্বের শান্তিতে নোবেল নিয়ে মাতামাতি করা জনতা গাজরের ন্যায় সূচিকেই প্রতীক হিসেবে ধরে নিয়ে দেখতে পায় যখন- মুসলিম রোহিংগারা সর্বস্বান্ত হচ্ছে, খুন হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে অথবা অগ্নিসংযোগ করে জীবন্ত পুড়িয়ে মারছে তাদেরই দেশের নাগরিক গন। আর গণতন্ত্রের মানস কন্যা ভিনদেশে এসির বাতাসে বসে-দাঁড়িয়ে পদক নিচ্ছে! তখন আর কি আমাদের ঘোড়া হওয়ার জো আছে? নেই। ক্ষমতা বড়ই মজার জিনিষ!

পররাষ্ট্র নীতিতে পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে বৈরিতা কখনই শুভ লক্ষণ বয়ে নিয়ে আসে না। এরকম অনেক নজির পৃথিবীর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা আছে। আমাদের বিরোধী দলেরও অবশেষে সে পররাষ্ট্রনীতি মনে ধরেছে, দেখে যার পরনাই আমি অর্বাচীন এর আশা সর্বোচ্চ উঁচুতে গিয়ে ঠেকেছে। ভারত বন্দনা যাদের এতদিন চক্ষুশূল ছিল, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত আমাদের কি কি উপকার করতে পারে অথবা অপকার করতে পারে। সে হিসেবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যখন অপকারের দিকেই আমাদের বিরোধী দলের এতদিন নজর ছিল বেশি। সরকারী দল মানে আওয়ামী লীগের গায়ে ভারত প্রীতির চাদর জড়িয়ে কুৎসা রটাতে যে দলটির এতদিন কার্পণ্য করেনি। আজ তাদের ভারত যাত্রা দেখে যারপরনাই একটু বাঁকা হাসি তো হাসতেই হয়। জল তো খেলেন বাবা, তবে তা ঘোলা করে! এতদিন তাদের গাজর ছিল ভারত বিদ্বেষী। তবে এখন শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে দেখে, আমরা নিজেদের এখন ঘোড়া ভাবতেই পারি।

পররাষ্ট্র নীতিতে নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে না। এমন বোকা সরকার অথবা বোকা পররাষ্ট্রনীতি ওয়ালা দেশ আছে কি না আমার জানা নেই। সে নীতিতে বিকিকিনি হয়। ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সফরে কি বিকিকিনি হয়েছে অথবা হতে পারে অথবা দেশের কি স্বার্থ বজায় থাকবে। তা স্পষ্ট না হলেও, ভবিষ্যতের দিকেই ছেড়ে দিলাম। তবে ম্যাডামের যাত্রা শুভ,সার্থক,সফল হোক এ প্রত্যাশা করি বৈকি, অবশ্যই।

আর যাই হোক সরকারী এবং বিরোধী দল এর মধ্যে বিস্তর মতানৈক্যর ফারাক আর দলাদলি আর মারামারি থাকলেও। বর্তমানে বিরোধী দলীয় নেত্রীর ভারত সফরের পর, আপনি আমজনতা আর ভাবিয়েন না- জয় বাংলা, জয় হোক আমাদের ভারত বন্দনার। নিন্দুকেরা বলে একটি প্রবাদ- সেই তো এলি, তবে কেন আর লোক হাসালি।

আপাতত হেসেই যাই। পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে আমাদের দুদলেরই অথবা দু জোটেরই আর ভিন্নমত নেই।

ক্ষমতা বড় মজার জিনিষ, এ মজা নিতে যে কোন কিছুই করতে পারে যে কেউই। তাতে যেন আবার হিতে বিপরীত না হয়ে যায়।

সাধু সাবধান!