দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত উপরের রিপোর্টটি যতবার পড়ি ততবারই …। পলাশের শেষ কথাগুলি আমাকে এমন কষ্ট দিলে পলাশের মায়ের কেমন লেগেছিল আর এখনও লাগছে। বাতাসে ভেসে আছে শত মায়ের কান্না। কেউ কি আমরা শুনতে পায়!!
তাজরীন ট্রাজেডি থেকে স্মার্ট ট্রাজেডি ১১১+০৬ = ১১৭ টি মানুষ জীবন্ত পুড়ে মারা গেল। ব্যাপারটা কতটা অস্বাভাবিক তা কি ভাববার সময় এখন ও আসে নাই। বি.জি.এম.ই কি এবং কাদের জন্য তা আমাদের সকলের জানা। তাদের দ্বারা গরিবের পেটে ভাত জোগানো যে কতটা নিরাপদ আর ব্যথাতুর তা আমাদের কাছে আজ স্পষ্ট। কেন এই মানুষগুলো কিছুদিন পর পর পুড়ে মরছে মশা মাছির মত। বেচে থাকার অধিকার কি তারা গার্মেন্টস এ যোগদান করার পর হারিয়ে ফেলেছিল? বি.জে.এম.ই ভবন দেশের দাম্ভিকতা, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না মানা আর ইচ্ছানুযায়ী কর্মকান্ড করার মত ক্ষমতার ব্যক্তিত্বের প্রতীক।
র্যাংস ভবন ভাংগতে সময় লাগলো না কিন্তু এই অবৈধ ভবনটি ভাংগা গেলনা কেন। এত প্রান শক্তির উৎস কোথায়। ভীত যে শক্ত তা তাদের অবস্থান আর আচরনেই বোঝা যায়। রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার কারনে আজ আমরা ন্যায়বিচার ভুলে যেতে বসেছি । বিচারের রায় আজ আসামী লিখে দেয়। সিদ্ধান্ত কি নিতে হবে তা মাননীয সভাপতি বলে দেয়া হয়। ১৭ কোটি মানুষের মাঝে কি এক কোটি মানুষ নাই যারা আমরা আবার যুদ্ধ করতে পারি এই সকল হায়েনাদের বিরুদ্ধে। অপেক্ষায় আছি নতুন কোন এক বঙ্গবন্ধু বা ভাসানীর ডাকের জন্য । নতুন ইতিহাস লিখে মরতে চাই। চাপা কষ্টের আগুনে পুড়ে মরছি। এর থেকে মুক্তি চাই। ও খোদা এ বি.জে এম.ই ভবনের মালিকদের একটিবার এ কষ্ট বোঝার মত কোন ঘটনা ঘটিয়ে দাও তারা যেন মানুষ হতে পারে।