স্বাধীনতাকালীন সময়ে প্রতিষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ১২ই জানুয়ারি ৪২ বছরে পদার্পণ করল। এ সময়ের মধ্যে অনেক অর্জনই রয়েছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশেষত সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা এবং প্রগতিশীল ক্যাম্পাস হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জুরি নেই। সাথে সাথে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে গড়ে উঠেছে পূর্ণ পারিবারিক সম্পর্কের প্রতিচ্ছবি। যেন সকলে মিলে একটি পরিবার। কিন্তু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জণের পাশাপাশি দুর্নামের নজিরটাও কোনভাবেই কম নয়। বিশেষত কলুষিত ছাএরাজনীতি, শিক্ষক রাজনীতিতে অশুভ ছায়া গতবছর আমাদের বিব্রত করেছিল। গত বছরের অধিকাংশ সময়ে ছাত্র-শিক্ষক আন্দোলনের কারণে ক্যাম্পাস ছিল অস্থিতিশীল। কিন্তু আবার ক্যাম্পাস স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে। নবনির্বাচিত উপচার্যও ধীরে ধীরে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন। তাই আগামি বছরগুলোতে জাহাঙ্গীরনগর স্থিতিশীল থাকবে এটাই প্রত্যাশা। জাহাঙ্গীরনগর হবে এমন বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষা নিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে পারবে। অবশেষে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে অকল্যাণকর ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি, উগ্রতা, নারী নির্যাতন, বিতর্কিত শিক্ষক নিয়োগ প্রভৃতি হতে মুক্ত রেখে আধুনিক, ডিজিটালাইজড এবং গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করতে উদ্যোগী হতে হবে।