নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার শাসনামলে উমিচাঁদ নামক এক দাদন ব্যবসায়ী ছিলেন, প্রচুর ধনসম্পদ ছিল তার। ইংরেজদের সঙ্গে ছিল তার ভাল সখ্যতা। শোনা যায়, নবাবের বিরুদ্ধে মীর জাফরের পক্ষ হয়ে নাকি খুব কাজ করতেন। নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মূল হোতা ছিলেন এই উমিচাঁদ। এক সময় প্রশাসনকে উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে তিনি অত্যন্ত লাভজনক শোরার ব্যবসায়ে একচেটিয়া অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। বিশাল ধনসম্পদ ও অভিজাত মহলের সঙ্গে ব্যাপক যোগাযোগ, তাইতো ইংরেজদের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠতা আর দারুণ মাখামাখি চলতে থাকে। আর এক সময় নবাবের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রের মূল নায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
সেই উমিচাঁদের সাথে কাজে কর্মে, ব্যবসায়, ষড়যন্ত্রে, ইংরেজদের সঙ্গে সখ্যতায়, সরকারের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে ড. ইউনূসের সঙ্গে।
উমিচাঁদ মীর জাফরদের পক্ষে হয়ে ইংরেজদের কাছে মিডিয়া হয়ে কাজ করতো; বর্তমানে ড. ইউনূস সেই কাজ খালেদার পক্ষে হয়ে আমেরিকার সাথে করছেন। উমিচাঁদের দাদন ব্যবসার সঙ্গেও ড. ইউনূসের সুদের ব্যবসার ভালো মিল খুঁজে পাওয়া যায়। উমিচাঁদ নবাবের বিরুদ্ধে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী, ড. ইউনূস হলেন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী।
বর্তমান যামানায় এই নব্য উমিচাঁদকে যেহেতু বিশ্বমানের ব্যক্তি বানিয়েছে ইংরেজরা, সেজন্য এই উমিচাঁদকে বিশ্বমানের একটা গলাধাক্কা দিয়ে দেশ থেকে বের করে দেবার সময় এসেছে। তাকে বিশ্বমানের একটি অপমান না করলে বাংলার কপালে খারাপ আছে! গরীবের এই রক্তচোষক অক্টোপাসের সকল পা কেঁটে না দেয়া পর্যন্ত আষ্টেপিষ্টে জেকে ধরা এই সুদি চশমখোর বাংলার সর্বনাশ করতে আব বাকী রাখবেনা।