দীঘিনালা-খাগড়াছড়ির সীমানা পাড়া ঘুরে পানির জন্য তারা কেন সরকারের কাছে দাবি জানায় না?

মিঠুন চাকমা
Published : 24 March 2014, 05:25 PM
Updated : 24 March 2014, 05:25 PM

দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি রোডের ৯ মাইল এলাকা। পাকা পথের বা঳ক উত্তর দিকে ইট বিছানো একটি পথপাহাড় বেয়ে চলে গেছে। পাহাড়ের একেবারে উপরে একটি ইশকুল রয়েছে। সেখান থেকে দীঘিনালা দেখা যায়। নয়নাভিরাম পাহাড় ঘেরা দীঘিনালাকে এখান থেকে অপরূপ রূপবতী বলেই মনেহয়!

আমি সেখানে না থেমে 'সীমানা পাড়া' গ্রামে চলে গেলাম। সীমানা পাড়া মানে হলো এই গ্রামটির মাঝখানে দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি উপজেলার সীমান্ত চলে গিয়েছে। চৈত্রের এই তাপদাহে দেখলাম এলাকার জনগণ কলসি দিয়ে পানি আনছে। প্রশ্ন করলাম, কোত্থেকে পানি আনেন? তারা বললো পাশের ঝিরি থেকে তারা পানি আনে। চৈত্রের এই সময়ে তারা পানির অভাবে ভোগে বলে জানালো। তারা বললো, কয়েকবছর আগে স্থানীয় জেলা পরিষদ প্রশাসন গ্রামে দুটো 'রিং' দেয়া নলকূপ স্থাপন করে দিয়েছিল। এগুলো এখন ব্যবহার অনুপযোগী। একটি রিং ব্যবহার করা নলকূপ দেখতে গেলাম। দেখলাম, খোলা পড়ে আছে নলকূপটি নিচে ২০/২৫ হাত গভীরে যে পানি আছে তা থেকে ময়লা গন্ধ বেরোচ্ছে। কূপে তেমন পানি নেই। তবে অনেক ব্যাঙ সেখানে বসবাস করছে।

দোকানের একজন জানালো, এলাকাবাসীরা সহজ সিধে জীবপন যাপন করে। তারা জানে না কীভাবে সরকারের কাছ থেকে দাবি জানাতে হয়।

এছাড়া দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী স্থানে গ্রামটি স্থাপিত হবার কারণে দুইদিক থেকেই তারা সরকারী সুযোগ সুবিধা লাভ থেকে বঞ্চিত হয়।

তাদের পানির অভাব দূর করতে এত বেশি সরকারী অর্থ খরচ করতে হবে না বলেই মনেহয়।

১. রিং অয়েলের নলকূপগুলো সংস্কার করলেই তাদের পানির অভাব কিছুটা দূর হতে পারে।

২. অথবা, নতুন গভীর নলকূপ স্থাপন করে তাদের পানির অভাব দূর হতে পারে।

আশাকরি ৮০-৯০ পরিবারের এই গ্রামের লোকজন শীঘ্রই তাদের তিয়াস দূর করতে পারবে!