শুভ জন্মদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

শফিক মিতুল
Published : 12 Jan 2016, 02:29 AM
Updated : 12 Jan 2016, 02:29 AM

আজ ১২ই জানুয়ারি। দেশের একমাত্র আবাসিক ম্পাস ও 'প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের তীর্থভূমি' বলে পরিচিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন। ১৯৭১ সালের ১২ই জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে স্বাধীনতার সমবয়সী এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।

নৈস্বর্গিক শোভাবর্ধিত বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে চার দিনের বর্ণাঢ্য কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

এসব অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ সংলগ্ন আমতলা মঞ্চ থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা, জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, ১৩ জানুয়ারি বিকেল তিনটায় সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে পুতুল নাচ ও বিকেল পাঁচটায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ১৪ জানুয়ারি বিকেল তিনটায় পিঠা মেলা ও বিকেল পাঁচটায় নাটক এবং ১৫ জানুয়ারি অ্যালামনাই ডে মিলন মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি।

২০০১ সালের ১২ই জানুয়ারি তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল বায়েসের উদ্যোগে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হয়।

৬৯৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি অনুষদ ও দুটি ইনস্টিটিউটের অধীনে মোট ৩৬টি বিভাগের কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে ১৪টি আবাসিক হল।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. সুরত আলী খানের পরিচালনায় ১৯৬৮ সালের জুন মাসে ৭৫০ একর জমির ওপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়।

১৯৭০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রসায়নের অধ্যাপক ড. মফিজ উদ্দিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্যের দায়িত্ব পান। এরপর ১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি প্রথম ক্লাস শুরু হয় এবং ১২ জানুয়ারি এই বিদ্যাপিঠের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর রিয়ার ভাইস এডমিরাল এস এম আহসান।

অনিন্দ্য সুন্দর এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের শ্রমে গড়া 'সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ', মনোরম লেক, সুউচ্চ শহীদ মিনার ও সবুজের সমারোহসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকড়, যা নিমিষেই যে কারো মন জুড়িয়ে দেয়।

প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে অর্থনীতি, ভুগোল, পরিসংখ্যান ও গণিত এই চারটি বিভাগ, ১৫০জন শিক্ষার্থী এবং ২০-২১জন শিক্ষক নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় লাল ইট ও কংক্রিটের কাঠামোয় গড়া 'অতিথি পাখির ক্যাম্পাস' বলে পরিচিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টির।