নগর নাব্য: কিছু কথা, স্মৃতি, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও একটি অনুরোধ

শফিক মিতুল
Published : 28 Feb 2016, 06:18 AM
Updated : 28 Feb 2016, 06:18 AM

প্রকৃতিতে বসন্তের হাওয়া লেগেছে বেশ আগেই। অসম্ভব সুন্দর এক পরিবেশ চারদিকে। হালকা হালকা বাতাসে পাতাঝড়া গাছের পাতারা সব ঝড়ে যাচ্ছে। রুমে বসে তাই দেখছি আর পড়ছি নগর নাব্য। এটা কিন্তু প্রথমবার না, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বই মেলায় নগর নাব্যের মোড়ক উন্মোচনের পরে এখন পর্যন্ত কয়েকবার পড়েছি। পড়তে পড়ড়ে হারিয়ে যাই আমাজনের গহীন জঙ্গলে। সেখানে চারটি দিন কাটিয়ে জাপানের হোক্কাইডোর নৈসর্গিক নান্দনিক নরক বোরিবেতসু ঘুরে যাই আফগানিস্তান দেখতে। এরপর আবারো ঘোরাঘুরি শুরু। দেশে ফিরে অভাবিত নাফাকুম ঘুরে কেওক্রাডং এর দূরন্ত পাহাড়ি মেঘ ছুয়ে যাই চায়ের দেশেতে।  ধন্যবাদ জানাই নুরুন নাহার লিলিয়ান আপু, রোদেলা নীলা আপু, মোঃ আলাউদ্দীন ভুঁইয়া, একুশ তাপাদার, সৈয়দ আশরাফ মহি-উদ্-দ্বীন এবং শিমুল কিবরিয়া ভাইকে অসাধারণ এসব লেখা উপহার দেওয়ার জন্য। আরো ধন্যবাদ জানাই আমাদের সম্মানিত সম্পাদক মোনেম অপু ভাই ও সহ-সম্পাদক জাহেদ-উর-রহমান ভাইকে। একাজে তাদের নিঃস্বার্থ নিরলস শ্রম আর ঐকান্তিকতা না থাকলে নগর নাব্য হয়তো আলোর মুখই দেখতো না। আরো কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই নগর নাব্য'র প্রকাশক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর পাবলিশিং লিমিটেড (বিপিএল) কে। আর যাদের কথা না বললেই নয়, ব্লগ পরিবারের আমার সেই প্রিয় ব্লগার ভাইদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

খুবই ছোট কলেবরে এবারের নগর নাব্য প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু হলফ করে বলতে পারি তাই বলে নগর নাব্য কিন্তু তার আকর্ষণ হরায়নি মোটেও, বরং ভালো সংখ্যায় বিক্রিত বইয়ের তালিকায় স্থান নিতে যাচ্ছে। এটা কিন্তু আমার কথা না। একথা বলেছেন, নগর নাব্য ২০১৬ এর প্রকাশক সাহেব। একই সঙ্গে তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, আগামীতে তিনি এর চেয়েও বড় কলেবরে নগর নাব্য প্রকাশ করতে চান। আগামী দিনে নগর নাব্য'র উদ্যোগতাদের জন্য এটা ইতিবাচক দিক হিসেবে থাকবে বোধ করছি।

ভালো-মন্দ নিয়ে আলোচনা খুবই স্বভাবিক। তবে আমার কথা ভালো যা কিছু ভালো বলে মনে হবে তার সব কৃতিত্ব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ব্লগ পরিবারের। আর যা কিছু ভালো বলে মনে হয়নি বা হবে না তার দায় দায়িত্ব এই অধম শফিক মিতুলের।

তবে সবার কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ থাকবে ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সকল ব্লগার নগর নাব্য কিনবেন। শুধু নিজে কিনেই ক্ষান্ত দেওয়ার কোনো কারণ নেই, আমাদের বন্ধুমহল ও পরিচিত সবাইকে দিয়ে নগর নাব্য কিনাতে পারলে তা আগামী দিনে নগর নাব্য'র উদ্যোগতাদের বড় কলেবরে নগর নাব্য প্রকাশে নিশ্চিত উৎসাহ যোগাবে।

বই মেলার আর তো দু'দিন (আজ সহ) বাকি। এখনো যারা নগর নাব্য কিনেননি তাদের অনুরোধ করবো অতিসত্তর নগর নাব্য কিনে সংগ্রহে রাখুন। কারণ প্রকাশক বলেছেন, বিক্রি ভালো হচ্ছে। শেষ হয়ে গেলে কিন্তু করার কিছু থাকবেনা! তাই মেলায় গিয়ে মেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে (পুকুরপাড়ে) বিপিএলের স্টলে যেতে একটুও ভুল করবেন না কিন্তু।

আর যাদের পরবর্তী সময়েও নগর নাব্য বিভিন্ন উপলক্ষে (উপহার দেওয়া, ভ্রমণ স্থান সম্পর্কে জানতে প্রভৃতি) নগর নাব্য দরকার হবে তারা বিপিএল থেকে সরাসরি কিনতে পারবেন। অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে আপনার নাগালে পৌঁছে যাবে নগর নাব্য। অর্ডারের বিষয়ে বিস্তারিত বিপিএলএর ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।

এই নগর নাব্যে অনেকের অনেক আবেগ- ভালোবাসা মিশে আছে। নগর নাব্যে মিলেছে অনেকের মিলেছে লেখক জীবনের প্রথম (পুস্তকীয়) স্বীকৃতি। আমাদের প্রিয় ব্লগার মোঃ আলাউদ্দীন ভুঁইয়া ভাই ফেসবুকে কিন্তু সেকথাই জানালেন।

সচেতন ব্লগার সচেতন নাগরিক সম্মাননা ২০১৬ প্রাপ্ত ব্লগার অগ্রজ ফারদিন ভাই তার পোস্টে বললেন, বিশ্ব শান্তি সম্মাননা প্রাপ্ত দরিয়ানগরের কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার হাত থেকে ব্লগ ডটবিডিনিউজ২৪ ডটকম এর বর্ষ সেরা ব্লগার হিসেবে সচেতন ব্লগার সচেতন নাগরিক-২০১৬ সম্মাননা গ্রহণ আমার জন্য অশেষ আনন্দের উপলক্ষ যেমন সৃষ্টি করল, তেমনি আগামীর বন্ধুর পথে এগিয়ে চলবার মন্ত্রণাটাও দিয়ে রাখল।

নাগরিক সাংবাদিক সম্মাননা-২০১৬ প্রাপ্ত ব্লগার জয়নাল আবেদীন বলেন, অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলাম কেবলমাত্র দর্শক হিসেবে। একদম অপ্রস্তুত অবস্থায় দুই শব্দের নামটি ঘোষিত হলো বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে। আমার কাছে 'অ্যাওয়ার্ড' মানেই অগণিত পাঠকের ভালোবাসা। লেখার চেষ্টা করি শুধু তাঁদের জন্যেই। কারো গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়া কষ্টের অশ্রু মুছে দিতে পারলেই আমার সাংবাদিকতা সার্থক হয়।

এবারের নগর নাব্য'র মাধ্যমে আমাদেরকে চায়ের দেশে ঘুরিয়ে আনা লেখক অগ্রজ রোদেলা নীলা আপু বললেন, আমার ১৬ বছরের ব্লগিং জীবন সার্থক, আরো সার্থক টুকটাক ভ্রমণ বিলাসী মন। ব্লগে ঠিক কোন দিন লেখা আরম্ভ করেছিলাম আজ আর তা মনে নেই। কেবল এটা সত্য যে লেখার মধ্য দিয়ে মানুষের ভেতরের আর একটা আমিত্বকে সহজে ছুঁয়ে ফেলা যায়,সচেতন করা যায় সেটা খুব ভালো ভাবেই টের পাচ্ছিলাম। তাই হয়তো কথাশিল্পী বা সাহিত্যিক হিসেবে পরিচয় পাবার পরও আজো ব্লগ আমাকে টানে।

আর আমাদের সবার প্রিয় সম্পাদক মোনেম অপু ভাই সবার আগে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি পোস্ট দিলেন। শুধু আমি তাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেষ করতে পারবো না, তাই সব ব্লগারদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

ইলিয়াস মাহমুদ ভাই বললেন, আমার লাইফের সেরা ভাল লাগার একটি মুহুর্ত কাটালাম। ভাবতেই ভাল লাগছে ।

আতাস্বপন ভাই বলেছেন, নজরুল মঞ্চের এই আয়োজনকে আরো প্রানবন্ত করেন প্রধান অতিথি বিশিষ্ট কবি নরুল হুদা। তিনিও আমার কাছে ভার্চুয়াল জগতের মানুষ ছিলেন। সরাসরি এতো কাছে তার সাথে থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।

জুলফিকার জুবায়ের ভাই আরো মাজদার কথা বললেন, পৃথিবীর সব দুঃখ এবং কষ্ট ভুলতে(!) গতকাল আমার সর্বমোট ২৭ মিনিট সময় লেগেছিল। ধানমন্ডি থেকে যখন রওনা হই তখন বেলা ২টা ৪৪ মিনিট। ঠিক তখন থেকেই আমি পৃথিবীর জ্বালা-যন্ত্রণা ভুলতে শুরু করি। অন্য একটি পৃথিবীতে,বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে, গিয়ে যখন উপস্থিত হই, তখন বেলা বাজে ৩টা ১১ মিনিট, ততক্ষণে আমি জীবনের সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে গেছি!

অন্য কোন বই কেনা বিধিবদ্ধ না হলেও 'নগর নাব্য' কেনা অপরিহার্য। তাই পকেটের দিকে তাকিয়ে দেখলাম কোন টাকা-পয়সা আছে কিনা। দেখলাম পকেটের পরিস্থিতি ভালোই। কথা ছিল একাধিক বই কিনব। আমি কিনলাম ২টি 'নগর নাব্য'। আমি কথা ও কাজের মাঝে কোন হেরফের করিনি।

এবার বলি আমার কথা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে আমাদের প্রিয় নগর নাব্য'র মোড়ক উন্মেচন অনুষ্ঠান আমার জীবনে এখন পর্যন্ত স্মরণীয় দিনগুলোর একটি। দুপুরের পর মেলা প্রাঙ্গণ অনেকটা ফাঁকার মধ্যে দুপুর দুইটার দিকে আমি আর ক্যাম্পাসের অপর অনুজ শরীফুল ইসলাম সীমান্ত গিয়ে ব্যানার টানিয়ে মঞ্চ দখল করি। এই দখল পরে বেশ কাজে দিয়েছিলো। অন্যথায় ঠিক সময়ে কিছুতেই অনুষ্ঠান শুরু করা যেতো না।

একসঙ্গে দুই খুশির মতো করে নগর নাব্য'র মোড়ক উন্মোচন আর আমাদের সকলের প্রিয় ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন একসাথেই করা হলো। সেদিন পুরো নজরুল মঞ্চ যেন হয়ে উঠেছিলো ব্লগারদের মিলনমেলা। অনুষ্ঠানের পুরো কৃতিত্ব দিতে চাই আমাদের সবার প্রিয় ব্লগার আইরিন সুলতানা আপাকে। তার পরামর্শ ও সহযোগিতায়ই এই দুটি পর্ব একসঙ্গে করা সম্ভব হয়েছিলো। নগর নাব্য'র উদ্যোক্তা হিসেবে বেশ বিচলিতই ছিলাম। কারণ বাকিসব ব্লগারদের মধ্যে আমি বয়সে জুনিয়র শ্রেণীর একজন ছিলাম। ছোট হয়ে এত বড় কাজে হাত! তারপরেও ভরসা ছিলো এই যে, ব্লগের সবাই বিভিন্নভাবে সবসময় সহযোগিতা করে যাচ্ছিলো।

অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা তো উপভোগ করেছেনই। আর যারা একান্ত ইচ্চা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে উপস্থিত হতে পারেননি তাদের জন্য সেদিনের কিছু স্মৃতি উল্লেখ করতে চাই। প্রথমেই আপানাদের ফারদিন ভাইয়ের মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিওর লিংক দেই। এখানে আপনারা অনুষ্ঠানের মূল পর্বের অধিকাংশ ইভেন্ট পাবেন।

আপনারা চাইলে অনুষ্ঠান নিয়ে প্রকাশিত কয়েকটি নিউজ লিংক ঘুরে আসতে পারেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং দৈনিক সমকালে প্রকাশিত হয়েছিলো সংবাদগুলো।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সূচনা বক্তব্য দেন সবার প্রিয় আইরিন সুলতানা আপা। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, মূলধারার গণমাধ্যমে আমরা যেটা পাই না, নাগরিক সাংবাদিকতার প্ল্যাটফর্ম ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে আমরা সেটা পাচ্ছি। সমাজের প্রান্তিক মানুষের কথা তুলে আনার একটা জায়গা আমরা তৈরি করেছি। সবার মতামত নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, তৈরি করছি একটি পড়ুয়া সম্প্রদায়।

পাঁচ বছরে আমরা কতদূর গিয়েছি সেটা হিসাব করে বলা যাবে না। তবে এটা বলতে পারি, কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা না করেও আমরা অনন্য। আমরা বিতর্ক তৈরি করছি, কিন্তু সেটা মূল্যহীন ও নির্বোধের বিতর্ক নয়।

অনুষ্ঠানের গুরুত্ব অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন দেশের খ্যাতমান কবি মোহাম্মদ নূরুল হুদা। যা আমাদের অনুষ্ঠান শেষেই বিশেষভাবে অনুধাবন করলাম। সেদিন নজরুল মঞ্চে আমাদের পরপরই আরো কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের শিডিউল ছিলো। তাদের সব প্রস্তুতিও ছিলো। কিন্তু কবি নূরুল হুদাকে পেয়ে তাদের আগের পরিকল্পনাই যেনো পাল্টে গেলো! তাকে দিয়েই সবগুলো বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করিয়ে নিলো! আমাদের অনুষ্ঠান শেষেও প্রায় ঘন্টাখানেক সময় তাকে সেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হলো।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আর্টস ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সম্পাদক কবি নূরুল হুদার বক্তব্য সত্যিই প্রেরণাদায়ক ছিলো। শুরুতেই তিনি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তারা রক্ত না দিলে আমরা এখানে দাঁড়াতে পারতাম না। ব্লগ নিয়ে ইদানিং নানা ধরনের বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে উল্লেখ করে কবি বলেন, ব্লগিং বা মুক্তচিন্তার লেখনি কিন্তু নতুন কিছু না। পৃথিবী শুরুর পর থেকে জ্ঞানের বিস্তৃতির ধারা এভাবেই চলেছে। মানুষের প্রশ্নের মাধ্যমে জ্ঞানের সৃষ্টি হয়েছে। সেই প্রশ্নের উত্তরে সৃষ্ট নতুন জ্ঞান আবার কিছুদিন পর পাল্টেও গেছে। ব্লগ লেখা কোনো অন্ধত্ব না, বরং অন্ধত্ব থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া।

ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিষয়ে কবি নূরুল হুদা বললেন, অত্যন্ত পরিমিত, পরিশীলিত, বিবেকবান ও সুসম্পাদিত ব্লগ এটা। সমাজে কোনো ভারসাম্যহীনতা তৈরির কাজ এটা করে না। বরং কাজ করে সমাজ সাম্য ও ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য।

শুক্রবার বিকালের ওই আয়োজনে আরও ছিল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা, প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়, ব্যাফেল ড্র এবং ব্লগারদের সম্মাননা প্রদান।

সবাইকে পুনরায় নগর নাব্য কেনার অনুরোধ জানিয়ে এবং বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখা শেষ করছি। আশা করি ভুলগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর পরামর্শ দিতে একটুও কার্পণ্য করবেন না। সবার প্রতি রইলো শুভকামনা। ভালো থাকবেন সবাই।