রামু হামলা: সেই রাতে যেভাবে ’উস্কে’ দেয়া হয়েছিল

কালবৈশাখী ঝড়
Published : 11 Oct 2012, 08:48 AM
Updated : 11 Oct 2012, 08:48 AM

সম্প্রতি কক্সবাজারের রামুতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার মুল হোতাদের চিহ্নিত করা গেছে। পুলিশ গতকাল জড়িত কয়েকজনকে চিহ্নিত ও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ফেসবুক একটি ইন্টারনেট সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম । এতে যে কেউ একাউন্ট খুলে ব্যবহার করতে পারে। ফেসবুক ব্যবহারকারী একজন অন্য ব্যবহারকারীকে সহজেই ট্যাগ করে ছবি বা তথ্য-উপাত্ত পাঠাতে পারে। আলোচিত ঘটনাটি খতিয়ে দেখলে স্পষ্ট বোঝা যায় – কোরআন অবমাননাকর নিন্দনীয় ট্যাগটি উত্তম বড়ুয়ার ফেসবুক একাউন্টে পাঠিয়েছেন অন্য ব্যবহারকারী । এখানে নোংরা,জঘন্য,নিন্দনীয় কাজটি করেছেন ট্যাগ পাঠানো ব্যক্তিটি। এতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগিয়ে স্থানীয় মুসলমান এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করা হয়। স্থানীয় নিরিহ সাদাসিধে ছেলে উত্তম বড়ুয়াকে বলির পাঠা বানিয়ে এ কাজটি করা হয়েছিল।

মুক্তাদির নামের ফেনী পলিটেকনিক কলেজের এক শিবির নেতা রামুর বাসিন্দা উত্তম কুমার বড়ুয়ার ফেইসবুকে ট্যাগ করে এবং এরপর রামুতে এসে ট্যাগকৃত বির্তকিত সেই ছবিটির প্রিন্ট বের করে। পরিকল্পিত ভাবে শত শত কপি করা হয় এই ছবিটি বিলি করে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করার জন্য।

এরপর সংঘবদ্ধ পরিকল্পিত উস্কানি।
ছবিটি শত শত কপি প্রিন্ট করে সরবরাহ করা শুরু হয়। আরো বহিরাগত শিবির রহিংগাদের সেখানে বিভিন্ন যানবাহনে করে আনা হয়। আবদুল হক, রোহিঙ্গা জঙ্গি হাফেজ আহমদ, শিবিরের কর্মী খোরশেদ আলমসহ অনেকেই। সেই রাতে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে অনেকে না বুঝেই 'ইসলাম বাঁচাতে' বিক্ষোভে ভাংচুরে যোগ দেয়।

এরপরের কাহিনী সবারই জানা।

সুত্র – প্রথম আলো এবং কিছু দৈনিক পত্রিকা ১১ অক্টোবর।