উইকিলিকস যে আড়াই লক্ষাধিক গোপনীয় মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তা প্রকাশ করেছে, সেই বিশাল ভাণ্ডারে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসেরও হাজার দুয়েক তারবার্তা ছিল।
বহুল আলোচিত ১-১১এর কিছু আগের তারবার্তায় জানা যায় – সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো শুরু থেকেই এ নিয়ে কলকাঠি নাড়ছিল, দফায় দফায় একবার হাসিনা একবার খালেদা, এভাবেই চলছিল। একটি পর্যায়ে হাসিনাকে ব্ল্যাকমেইল করার পরিকল্পিত সম্মিলিত চেষ্টা দেখা গিয়েছিল। ঢাকায় তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া বিউটেনিস ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার, এই দুই রাষ্ট্রদুত বিএনপির প্রস্তাবিত এমন একটি সম্ভাব্য চিত্র বর্ণনা করেন, যেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এই বোঝাপড়ার ভিত্তিতে যে পরবর্তী ১২ মাসের মধ্যে আবার নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
(পাঠকদের মনে থাকবে হয়তো ১- ১১র কিছু আগে ডঃ ইউনুস একটি সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে ঠিক এইরূপ প্রস্তাব রেখেছিলেন)
দুই রাষ্ট্রদুতের মাধ্যমে সেই প্রস্তাবই দেয়া হয়েছিল –
"ইয়াজুদিনের অধীনে নির্বাচন মেনে নেন, ১ বছর পর প্রকৃত নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে"
হাসিনা এইসব ছেলেমানুষি প্রস্তাব তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করেন।
এরপর ভয় দেখানো হল সামরিক হস্তক্ষেপ ও দেশ ছাড়া করার হুমকি। বিচক্ষণ হাসিনা খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে এসব সাম্রাজ্যবাদী হুমকি উড়িয়ে দিতে দেখা যায়।
ব্র্যাভো শেখ হাসিনা।
সুত্র – প্রথম আলো অনলাইন