লাশ এলো, তা বাসায় না যেয়ে গুলশান কার্যালয়ে কেন?
কেন খালেদা জিয়ার বাসায় বা বগুড়ার বাসায় লাশ নেওয়া হলো না?
দীর্ঘ ৮ বছর নির্বাসনের পর নিজ বাসার উঠোন কি তার প্রাপ্য ছিল না? কিসের মোহে তিনি এই সময়ও অফিসের চেয়ার-টেবিলের গাদায় থাকলেন? বাসায় যেয়ে কেন লাশ গ্রহন করলেন না?
কেন পাষান হৃদয় বড়ভাই তারেক নাশকতার কন্ট্রোলরুম ছেড়ে একদিনের জন্যও সময় দিতে পারলেন না? ভাইয়ের চেয়ে দাউদ ইব্রাহিম- জামাত-আইএসআই এর কন্ট্রোলরুম বড় হয়ে গেল?
আরাফাত রহমান কোকো তো পার্টির কেউ না। তিনি তো রাজনীতি করেননি। তাহলে তার লাশ নিয়ে কেন রাজনীতি করা হলো? তুষ্ট হয়েছেন জানাজায় প্রচুর লোক সমাগম দেখে? এত লোকের উপস্থিতি দেখে মুর্খের মত নিজেদের দাবির পক্ষে জনগনের রায় ভেবে উল্লসিত হয়েছেন?
কী মূর্খের দেশে বাস করি আমরা। এখানে মরদেহ নিয়েও চলে রাজনীতি। মানুষ তো গেছে কোকোর জানাজায়। বিএনপির সমাবেশে নয়। ভেবে দেখুন কতবড় রাজনীতি মা খালেদা জিয়া করলেন? আইএসাই-দাউদইব্রাহিম গংদের পরামর্শে? তিনি তো মায়ের ভূমিকা নেননি। তিনি নিয়েছেন জোটনেত্রীর ভূামকা। পুত্রের মৃত্যুর পরও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারনে তিনি অফিস ত্যাগ করে বাসায় ফেরেননি। তিনি কাঁদবেন, জল মুছতে রুমাল লাগবে এটি তার ঠিক ছিল। ইনজেকশনে অজ্ঞান হওয়ার পরও অবরোধ অব্যাহত রাখার হুকুম দেন, তখন তিনি শোকে মুহ্যমান ছিলেন এ কথাও আমাদের বিশ্বাস করতে হবে?
মৃত ছেলের জন্যও এক মিনিটের জন্যও অবরোধ তুলে নেননি। জানাজার দিনও দুই ড্রাইভার-হেল্পার পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। আর পুত্রের কবর দেয়া হল অবরোধ-নাসকতার মাঝেই।
বেগম জিয়া। দয়া-মায়াহীন অবিবেচক মহিলা, উনি একজন অসুস্থ মানসিক রোগী। পুলিশের উচিত উনাকে সিএমএইচ এ নিয়ে সঠিক ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসা করানো!