অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকায় বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে বাংলাদেশে 'অতিদরিদ্র' মানুষের সংখ্যা কমে মোট জনগোষ্ঠীর ১২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে।
গত অর্থবছরে অর্জিত ৭.১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ভিত্তি ধরে ও নাগরিকদের ক্রয়ক্ষমতা সক্ষমতার ভিত্তিতে (purchasing power parity) এই তারা এই অতিদারিদ্র্যের হার হিসাব করেছেন। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে কোনো দেশের দারিদ্রের হার বলতে মূলত হতদরিদ্রদেরই বোঝানো হয়। প্রত্যেক অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির ভিত্তিতে বিচার করে বিশ্ব ব্যাংক এই হার ঠিক করে। কোন মানুষের দৈনিক আয় $ 1.90 ডলারের কম হলে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সে হতদরিদ্র হিসেবে গন্য হবে।
বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, অতিদারিদ্র্যের বর্তমান হার ১২.৯%
২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ১৩.৮%।
২০১০-১১ তে ছিল ১৭.৪%
২০০৫-২০০৬ এ ছিল ৪৩.৩%
সোমবার বিশ্বব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের 'বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট' প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন "দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের অর্জন প্রশংসনীয়। এমনিক ভারত, পাকিস্তান ও ভুটানের চেয়েও ভালো।"
ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, "তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলাদেশে যদি জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ পয়েন্ট বাড়ে তাহলে দারিদ্র্য ১ দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্ট কমে। সে হিসাবে প্রতি বছর ৮.৮% হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত না হলে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে অতিদারিদ্র্য সম্পুর্ন দূর করা সম্ভব হবে না।"
সুত্র – http://povertydata.worldbank.org/poverty/country/BGD
http://bangla.bdnews24.com/economy/article1221909.bdnews