আমাদের চেয়ারম্যান

এম নাসির
Published : 15 July 2017, 05:09 AM
Updated : 15 July 2017, 05:09 AM

আলহাজ্ব ফিরোজুর রহমান ওলিও। আমাদের ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার ১১ নং সুলতানপুর ইউনিয়নের জনগণের ভোটে পাঁচ বারের নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান। লায়ন্স ক্লাবের সাবেক জেলা গভর্নর, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড এর উদ্যোক্তা পরিচালক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাধিকাস্থ লায়ন ফিরোজুর রহমান রেসিডেন্সিয়াল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা। আজ এই মহান ব্যক্তির কিছু ব্যক্তিগত মানব সেবার কথা উল্লেখ না করলে ইউনিয়নবাসী হিসেবে আমার লজ্জিত হতে হবে নিজের বিবেকবোধের কাছে।

আমাদের এলাকাতে ফিরোজ সাহেব বলেই বেশি জনপ্রিয়। আমি বিদেশে থাকার ফলে উনার সাথে আমার বেশি একটা দেখা বা সম্পর্ক নেই। তাতে কী হয়েছে? ভালো মানুষদের ভাল কাজগুলো হাওয়া বাতাসে উরে, যা দূর থেকে দেখা যায়। আমাদের বিবেক আজ বিবেকহীন, তাই প্রশংসা পাউয়ার মত মানুষ হলে তাঁকে কুনজরে দেখি। মনের হিংসা জাগিয়ে তুলি, মনে মনে বলি আমি কেনো তাঁর আসনে নেই!

ফিরোজ সাহেব সম্ভবত ১৯৯৪/৯৫সালে হবে প্রথম ইলেকশন লড়েছিলেন। আমার এতোটা ইয়াদ নেই,কেননা আমি সেই সময় খুব ছোট ছিলাম। সেই সময় ধরে দেখে আসছি ফিরোজ সাহেব আমাদের এলাকার মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে রক্তের বাঁধন হয়ে। আমাদের ইউনিয়নবাসীও ফিরোজ সাহেব-কে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার চোঁখে দেখেন। এ শ্রদ্ধা ভালবাসার চোঁখে দেখার কিছু কারণ রয়েছে। আর ফিরোজ সাহেব মানুষের এই শ্রদ্ধা ভালবাসা একদিনে পাইনি। যুগযুগের পরিশ্রমের ফলে আজ ফিরোজ সাহেব পরিণত হয়েছেন ভালবাসার পাত্র বা ব্যক্তি হিসাবে।

তাঁর বিশেষ কিছু আলোচিত দিক রয়েছে,যা অন্যদের মোকাবেলায় তিনি-ই সেরা। যাঁর মধ্যে রয়েছে গরিব দুঃখী মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া। এলাকার বেকার ছেলেদের সনাক্ত করে চাকরি দেয়া। ইউনিয়নের গরিব মানুষের বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া, মানুষের মাঝে জীবন সংসারের উন্নতি করার জন্যে ছোট ছোট গরুর খামার করে দেয়া থেকে নগত অর্থ দিচ্ছেন তিনি । এলাকার দেড়ঁ থেকে দুইশত লোক তাঁর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে চলেছে। অনেক পরিবার ফিরোজ সাহেবের নিজেশ্ব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে, সফল ভাবে জীবন সংসার হাসি খুশিতে গড়ে তুলেছে।


ফিরোজ সাহেব মানবিক দিক থেকেও সবার সেরা। কেননা যেখানে মানবতার প্রয়োজন হয়েছে সেখানে ফিরোজ সাহেব ছুটে এসেছেন সব কাজ বাদ দিয়ে। যেখানে সাহায্যদান প্রয়োজন মনে করেছেন, সেখানে দুহাত ভরে দান করে চলেছেন বিরতিহীন ভাবে। তিনি প্রতিনিয়ত মসজিদ মাদ্রাসায় বড় বড় অংকের সাহায্য সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। উনার নিজেশ্ব অর্থায়নে চলছে মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানা সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

ফিরোজ সাহেব একজন শিক্ষানুরাগী। ইউনিয়নের ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বাৎসরিক অনুষ্টানের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষাসামর্গী বিতিরন করেন। অভিভাবক-দের দেয়া হয় সম্মানী উপহার।

আমি নিজে একদিন আমার গ্রামের একটি ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলাম ফিরোজ সাহেবের বাড়িতে। অবশ্য ছেলেটার কিছু সাহায্যের জন্যে, ছেলেটি হোন্ডা এক্সিডেন্ট করে পা হারিয়ে ছিলেন। তাঁর চিকিৎসা করাবার উদ্দেশ্য নিয়ে। দুঃখের বিষয় সেদিন ফিরোজ সাহেব বাড়িতে ছিলেন না। ফিরোজ সাহেবের সহধর্মীনি কিছু টাকা দিয়েছিলেন চিকিৎসার্থে। সে টাকা দিয়ে কিছুদিন চিকিৎসা করিয়েছিলেন, তারপরেও ছেলেটা আজ বেঁচে নেই।

আমাদের ফিরোজ সাহেবের আরেকটি দিক না বললেই নয়, ফিরোজ সাহেব বাংলাদেশের বিশেষ একটি দলের উচ্চপর্যায়ের নেতা হয়েও ক্ষমতার অপব্যবহার করেন না। ক্ষমতার এতো কাছে থেকেও নিজেকে রেখেছেন সবার চেঁয়ে আলাদাভাবে। বাংলাদেশে যেখানে ভাবাই যায়না। তিনি ক্ষমতাকে দেখেন তুচ্ছ করে মানুষের ভালবাসাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে। বড় দুঃখের বিষয় আমাদের দেশের নেতারা কি এসব দেখেন না? ফিরোজ সাহেব যে তাঁদের-ই দলের একজন নেতা।

আমি বলবো না ফিরোজ সাহেবের শত্রু নেই! আমরা এটাও জানি ভালো মানুষের পিছনে অনেক দূর্বলতার সুযোগ সন্ধানী থাকে। সত্যের সন্ধানীরা এসব দিক নিয়ে মুঠেও চিন্তিত হন না। এসব মানুষেরা একটাই চিন্তা করে কিভাবে মানুষের ভালবাসা আদায় করা যায়!!

** বি.দ্র. ছবিগুলো আলহাজ্ব ফিরোজুর রহমান ওলিওর ফেসবুক থেকে নেয়া হয়েছে