সিটি নির্বাচন, বিএনপি জামায়াতের ভবিষ্যত রাজনীতি

মহি উদ্দীন মহি
Published : 29 April 2015, 05:17 AM
Updated : 29 April 2015, 05:17 AM

১। সদ্য সমাপ্ত ঢাকা ও চট্রগ্রামের তিন সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনে মাধ্যমে আবারো হুমকির মূখে বিএনপি জামায়তের ভবিষ্যত রাজনীতি। বিএনপি জামায়ত গত ৯২ দিন দেশের প্রায় দেড়শ'রও বেশি মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে হাজার হাজার মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করেছে এবং দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়েও যখন এই সহিংস অান্দোলন মানুষ ঘৃনা ভরে প্রত্যাখান করল, তখন আন্দোলন থেকে বেরিয়ে আসার পথ হিসেবে সিটি নির্বাচনকে বেচে নিল। সহিংস আন্দোলন থেকে বেরিয়ে আসলেও নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে রক্ষা করার কোন পথ তৈরি করতে পারলনা। কারন-১। বিএনপির বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা এতই নাজুক কোথাও কোন স্থানীয় নেতা বিএনপি হয়ে সাধারন ভোটারদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।

২। বিএনপির নেতারা এখন নয়া পল্টনের অফিস কেন্দ্রিক হওয়ায় জনসাধারন বিএনপিকে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা দেখালেও বিএনপি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি।

৩। ঢাকা উত্তর সিটিতে বিএনপির ব্যবসায়ী নেতা নিজের অতি চালাকি এবং ছেলেকে রাজনীতিতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার চেষ্টাও বিএনপির জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার চার পাশে সুবিধাভোগীদের কারনে তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেও পারেন না। যার ফলে এই তিন সিটি নির্বচনের সরকার সমর্থক প্রার্থীদের বিজয়ের মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে যে, বিএনপি জামায়তের সহিংস নীতির কারনে জনগন সিটি নির্বাচনে তাদেরকে বর্জন করে বিগত ৯২দিনে হরতাল অবরোধের কারনে রাষ্ট্রীয় ক্ষতির সমুচিত  জবাব দিয়েছে। এবং বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিএনপি জামায়ত একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। দেশের প্রধান দুই রাজধানী এখন আওয়ামীলীগ তথা সরকারের দখলে কার্যতই সরকার এখন বিরোধী আন্দোলন দমনে আরো কাঠোর হবে। আর এই কঠোরতা বিএনপি এবং জামায়াতের ভবিষ্যত রাজনীতিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিবে। ধারনা করা হচ্ছে সিটি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে বিরোধী জোট আন্দোলনের চিন্তা ভাবনা করছে। এই আন্দোলন এক দিকে দেশকে ভয়াবহতার দিকে ঠেলে দিবে অন্যদিকে বিএনপি এবং তার মৈত্রীদেরকে রাজনীতি থেকে অপসারনের পথকে প্রসস্ত করবে।দেশের রাজধানী ঢাকায় বিএনপি গত সাত বছরে কোন আন্দোলন করতে পারেনি। এখন দেশের বানিজ্যিক রাজধানী চট্রগ্রামও তাদের দখলচ্যুত হওয়ায় সেখান থেকে ও বিতাড়িত হল। সিটি নির্বাচনে বিএনপির পরামর্শকগন বেগম জিয়াকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করার পরামর্শ প্রদান করে, সেই পরামর্শ প্রদান করে ভোটের দিন সাড়ে বারোটা বাজে যে ভোট বর্জন করল।তাও জনমনে প্রশ্ন তৈরি করেছিল। কারন যখন বিএনপি এবং তার মৈত্রীরা আচঁ করতে পারল যে, তাদের ভরাডুবি নিশ্চিত তখন ম্যাডামকে পরামর্শ দিলেন ভোট বর্জনের ম্যাডাম নিরুপায় হয়ে হয়ত ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। যদি ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিতেন তাহলে ভোট শুরু হওয়ার আগেই নেয়া যেত। বর্জনের পর ভোটের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে বিএনপি সমর্থিত প্রাথীরা অনেক কেন্দ্রেই এগিয়ে ছিলেন। এ থেকে বোঝা যায় যে,ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তও সঠিক ছিল না।