ভালোবাসি-ভালোবাসে কোন শর্ত ছাড়াই

মহসিন
Published : 21 August 2016, 08:33 AM
Updated : 21 August 2016, 08:33 AM

ছোট কাল থেকেই আম্মাকে হারিয়েছি তাও সেই ছোট থাকতেই বয়স হয়ত বছর হবে। দিন শুরু কষ্টের মাঝে রাত শেষ কান্নায় ভিজানো বালিশে মাথা রেখে। মাঝে অনেক গুলো বছর কেটে গেছে দোজখের ভয়াবহ কষ্ট নিয়ে তার পরেও থেমে ছিল না জীবন। ২০০৬ ইং ৭ই সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে দুনিয়ার কোলে আসে এক নতুন মুখ (খালাত ভাইয়ের ছেলে)। নাম রাখা হয়েছে "বায়েজিদ"। তখনও জানা ছিল না এটাই হবে দুনিয়ার সব থেকে ভালো বাসার মানুষ আমার। সেকেন্ড মিনিট সময় পেরিয়ে দিন মাস শেষে বছর চলে যেতে ছিল সেই বায়েজিদও বড় হতে লাগলো। ভালোবাসাও বেড়ে গেল এখন যত দিন যাচ্ছে তার প্রতি ভালোবাসা বেড়েই যাচ্ছে।

আমার সব থেকে ভালো লাগে এই ছোট মানুষ তার বাবা মা কেও এতো ভালোবাসে না যত না আমাকে বাসে।  তার ব্যাথায় আমাকে ব্যথিত করে যত তার চেয়েও বেশি করে আমার কোন ব্যথায় তাকে তার কত স্বপ্ন সে বড় হয়ে আমাকে দেখবে কেউ না দেখলেও সে আমাকে আশ্বত্ত করে মামা আমনে চিন্তা করিয়েন না আমি আছি। তার বাবা মা যদি বলে তোকে বড় করি আমরা তোর মামা না তখন তার কথা থাকে মামার তো কেউ নেই আরও কত কথা …………।

সত্যি কথা গুলো শুনার পরে চোখে পানি চলে আসে যেমনি করে এখন ও পানি গড়িয়ে পড়ে চলেছে। তার আরেক বোন আছে সে ও একই কথা আম্মু মামার তো কেউ নেই আমরাই মামার সব। আমনে মামারে কখনও কিছু বলবেন না তার বাবাকেও একই কথা বলে। মোস্তাফিজ ভাই তিনি তো আমার পৃত্রিতুল্য বড় ভাই কোন আবদার করলে না নেই। তাদের তো আমি আমার দুনিয়া মনে করি না করে তো উপায় নেই এমন করে তো কেউ ভালোবাসতে দেখিনি কোন দিন, জীবনে তো এক ভালোবাসার অভাব অনুভত হয়েছিল সেটা পরিপূর্ণ হয়েছে এই পরিবার এর কারনে। মোস্তাফিজ ভাই, হাছিনা, প্রিয়া আর বায়েজিদ এরাই আমার পরিবার এর বাহিরে কিছু দেখার ইচ্ছে নেই অনেক অনেক অনেক ভালো বাসি এই পরিবার কে। দোয়া করি আমার জীবনের বিনিময়ে হলেও আল্লাহ্‌ যেন তাদের মঙ্গল করেন – আমিন।