বৈশাখের আমন্ত্রণে কাতালোনিয়ার রাজধানী বার্সেলোনা ঘুরে এসে (পর্ব-১)

মু: গোলাম মোর্শেদ উজ্জ্বল
Published : 3 Oct 2016, 06:12 PM
Updated : 3 Oct 2016, 06:12 PM

ফরাসি সীমানার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছিলাম পাচঁ বছর।মাঝে মাঝেই ইচ্ছে হতো এই বৃত্ত অতিক্রম করে ঘুরে আসি সীমানা পাড়ি দিয়ে অন্য কোথাও থেকে।কিন্তু সময় অনুকূলে না থাকায় হয়ে উঠছিলো না সেই সুযোগ।এবার এক সপ্তাহের জন্য পরিবারের সঙ্গে অবকাশ যাপনের পরিকল্পনা ছিলো ফ্রান্সের বরদু শহরে।এর মধ্যে প্যারিসের একজন প্রিয় বন্ধু কামরুল হাসান উজ্জ্বল ভাই ফোনে আমন্ত্রণ জানালেন সপরিবারে স্পেনের বার্সেলোনায় ঘুরতে আসার।উপলক্ষ্য অবশ্য আরও একটি রয়েছে, তাহলো বার্সেলোনায় বাংলাদেশ সমিতির আয়োজনে বৈশাখী মেলা উদযাপনের অংশ হওয়া।তবে আমার স্ত্রী জান্নাত ও মেয়ে মিশেলের স্কুলের ব্যস্ততার কারণে ওদের আমার ভ্রমণসঙ্গী হওয়া সম্ভব হলো না।তাই আমি একাই যাওয়ার জন্য মন স্থির করলাম।তবে প্যারিস থেকে আমন্ত্রিতদের তালিকায় আরো রয়েছেন পুঁথি শিল্পী কাব্য কামরুল দম্পতি ,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসনাত জাহান এবং চিত্র শিল্পী মুহিত জ্যোতি।এর মধ্যে মুহিত জ্যোতি বিমান টিকেট বুকিং করেছেন আর বাকিরা যাবেন বাসে।বাস ভ্রমণ দীর্ঘ হলেও যাত্রাপথের দৃশ্য দেখার আনন্দ নেওয়া যায়।তাই আমিও অন্যান্য অতিথিদের সাথে বাসে যাত্রা করার জন্য ২৭ মে'র একটি টিকেট বুকিং করলাম।এর ফলে প্যারিস থেকে আমাদের আমন্ত্রিতদের মধ্যে বাসে সফর সঙ্গিদের সংখ্যা দাড়ালো চারজন।এরমধ্যে আমাদের ভ্রমণকে উপভোগ্য করার জন্য নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে রামবুতা'র ফ্লস রেস্তোরায় বসে সবাই এক সন্ধ্যায় একটি ভ্রমণ পরিকল্পনা তৈরি করলাম।দীর্ঘদিন পর ফরাসি সীমানার বাইরে অন্যকোন দেশ পরিভ্রমণে যাচ্ছি তাই আমার মধ্যে উৎসাহ এবং উদ্দিপনা একটু বেশী অনুভব করছিলাম।তার উপর ফটোগ্রাফির এক দুর্দান্ত নেশা রয়েছে আমার মধ্যে,নতুন কোন স্থানে গিয়ে নতুন কোন বিষয়ের উপর ফটোগ্রাফির আনন্দটাও একটু ভিন্নরকম হয়, তাই ভ্রমণ উপলক্ষ্য নাইকনের ৫৫-৩০০ মিলিমিটারের একটি ক্যামেরা লেন্সও কিনে ফেললাম।দীর্ঘ পনের ঘন্টার ভ্রমণ পথ তাই খাদ্য ও পানীয় সামগ্রির ছোট খাটো একটা মজুদও সঙ্গে রাখতে হলো। ২৭ মে ভ্রমণ সঙ্গীদের সবাই প্যারিসের ব্যারছি বাস স্টেশনে বিকেল পাঁচটার মধ্যে চলে এলাম।আমার সীট জানালার পাশে সংরক্ষিত, কিন্তু বাসে প্রবেশ করে দেখি নির্ধারিত সীটটি দখল করে আছে বিশোর্ধ বয়সের হালকা পাতলা গড়নের এক তরুনী পা দুটো সীটের উপর উঠিয়ে। বসার ভঙ্গী দেখে আর ইচ্ছে হলো না মেয়েটিকে বলি জায়গা পরিবর্তন করতে, তাই পাশেই সীটেই স্থান নিলাম। আমাদের বাস সারে পাঁচটায় স্পেনের বার্সেলোনা শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো। যাত্রার দিন শুক্রবার হওয়াতে শুরুতেই দীর্ঘক্ষণ জ্যামের সম্মুখিন হতে হলো।শনি রবিবার দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ফরাসিদের অনেকেই ছুটি কাটাতে ব্যক্তিগত মোটর গাড়ী নিয়ে দূরের কোন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে শুক্রবার অফিস ছুটির পর বেরিয়ে পড়ে।তাই এই দিনে স্বভাবতই ইল দো ফন্স এর মধ্যকার মহাসড়কগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত মোটর যান পরিলক্ষিত হয়। যাইহোক প্রায় দুই ঘন্টার যানজটপূর্ণ দীর্ঘ থেমে চলা পথ পেড়িয়ে আমাদের বাস প্রবেশ করলো সুবুজ মাঠ আর গভীর অরণ্যের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা মুক্তপথে।দুই ঘন্টা মনে হচ্ছিলো বাংলাদেশের ঢাকার কোন সড়কে অবস্থান করছিলাম। বাস বাধাহীন গতিতে এগিয়ে চলতে লাগলো অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যেও এক প্রাণচাঞ্চল্যতা পরিলক্ষিত হলো।কেউ বই পড়া,কেউ ট্যাবলেট ল্যাপটপে সিনেমা দেখা , গান শোনায় মেতে উঠলো ,কেউবা আবার আয়েশী ঘুমের দোলায় দোল খেতে লাগলো।কিন্তু জানালার বাইরের দৃশ্য আমাকে এক মোহনীয় ভালোলাগায় আচ্ছন্ন করে ফেললো।দীর্ঘ দিনের ইট পাথর আর কংক্রিটের আবাস ভূমি থেকে বেরিয়ে সবুজের মধ্যে প্রবেশ করে তৃষ্ণার্ত চোখ পিপাশা মেটাতে যেন ব্যাকুল হয়ে উঠলো।উঁচু নিচু ধু ধু ফসলী জমি,মাঠের মাঝে গড়ে ওঠা এক চিলতে ফরাসি গ্রাম, হঠাৎ ধবল ধেনুর পাল ও ভেড়ার আপন মনে ঘাস খাওয়ার দৃশ্য যেন আমাকে বাংলাদেশের স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো।কানে বেজে চলছিলো এম পি ফোরে মেহেদী হাসানের মিথিলা এ্যালবামের কবিতাগুলো।এক অন্যরকম ভালোলাগার ঘোরের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছিছিলাম ,এভাবে দীর্ঘ পথ অতিক্রমের এক পর্যায়ে হঠাৎ বাস থেমে গেলো , বাসে প্রবেশ করলো সন্দেহাতীত দৃষ্টিতে দুই ফরাসি পুলিশ, সাথে দীর্ঘদেহী এক গোয়েন্দা কুকুর,উদ্দেশ্য কোন দুস্কৃতিকারী বা বিস্ফোরক দ্রব্য খোঁজা।কোন কিছু না পেয়ে পুলিশ ও কুকুর বিদায় নিলো আবার যাত্রা শুরু করলো বাস। শুশৃংখল বনবাদার আর পাহাড়ী পথ অতিক্রম করতে করতে আটটার দিক থেকে গোধুলী আলোয় প্রকৃতি ধূসর হতে লাগলো।উচু নিচু টিলার মধ্যে ফসলী জমির পাশ দিয়ে গড়ে ওঠা পশুর খামারে সাদা শুকুর আর ধবল ভেড়ার পাল ক্লান্ত দেহে বিশ্রাম নিচ্ছে। আধো আলো অন্ধকারে মনে হচ্ছিলো মাঠের মধ্যে সাদা গোলক আকৃতির কোন বস্তু ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে।সন্ধ্যে নামার একটু আগে, নয় টার দিকে আমাদের বাস ত্রিশ মিনিটের একটা বিরতি নিলো মহাসড়কের (অটোরুত autoroute)এর পাশে সুবিশাল পাহাড়ের কোল ঘেষে অবস্থিত একটি রেস্তোরায়।মহাসড়কের পাশে এ ধরনের রেস্তোরাগুলো মূলত গড়ে তোলা হয়েছে যাত্রীদের সুবিধার্থে। কারণ দীর্ঘ যাত্রায় যাত্রীরা বিরতিতে এখান থেকে তাদের ক্ষুধা নিবারণের কাজটি সেরে নিতে পারেন এবং রিফ্রেসমেন্টের পাশাপাশী প্রয়োজনীয় পানীয় দ্রব্য ও খাবার সংগ্রহ করতে পারেন। ফরাসিতে এই ধরনের যাত্রাবিরতির জায়গাকে এ্যার(aire)বলা হয়। আমাদের ভ্রমনসঙ্গীদের চারজন সঙ্গে আনা খাবার দিয়ে রেস্তোরার বাইরে তেরাসে(terrasse)বসে এক সঙ্গে ডিনার সেরে নিলাম।খাবার গ্রহণের পাশাপাশী প্রকৃতি ও ভ্রমণ নিয়ে আমাদের মধ্যে টোট্ট একটা আড্ডাও হয়ে-গেলো। কাব্য কামরুল ভ্রমণ প্রিয় মানুষ,ভ্রমণ সংক্রান্ত পড়াশোনাও রয়েছে তার।উনি একজন বিখ্যাত ভ্রমণ বিষয়ক লেখকের উদ্ধৃতি দিয়ে বললেন,কোথাও ভ্রমণে গেলে ঐ স্থানের সঙ্গে আপনার ভালোলাগা অন্যকোন দেশ বা স্থানের তুলনা করা সমীচীন নয়, কারণ প্রতিটি অঞ্চলের ভিন্নতা গড়ে ওঠে তার নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য,রাজনীতি,শিল্প সংস্কৃতি ও প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যে ঐ অঞ্চলের মানুষের জীবনধারার উপর।আর ভ্রমণে মজাই হচ্ছে এই ভিন্নতার স্বাদ নেওয়া।তুলনামূলক বিচারে গেলে নতুনত্বের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হয়।এর মধ্যে উঠে এলো বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত গানে কথার প্রসঙ্গে কিছু কথা « এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি »আমরা এতক্ষণ এত সবুজ,এত সাজানো মাঠ ঘাট পাহাড় প্রান্তর পেরিয়ে আসার পর মনে হলো এই গানের কথাগুলো সত্য নয় তবে কথাগুলো কবির গভীর দেশপ্রেমের একান্ত আবেগের বহিঃপ্রকাশ।প্রতি দেশের সৌন্দর্যের ভিন্নতা রয়েছে, সেই সৌন্দর্য সরাসরি চোখ মেলে দেখে তুলনা করার সৌভাগ্য এক জীবনে একজন মানুষের হয়ে ওঠেনা , তাই নিজের দেশ বা বৃত্তের মধ্যে চোখে দেখা প্রকৃতির প্রেমে মগ্ন হয়ে তার বাস ভূমিকে পৃথিবীর সেরা মনে হয়, সকল দেশের রানী মনে হয়।এই মনে হওয়াটা হচ্ছে মাতৃভূমির প্রতি মমত্ব ও ভালোবাসার উপলব্ধি অন্যকোন দেশের সৌন্দর্যকে ছোট করা নয়।

বাস আবার যাত্রা শুরু করলো ,কিছুক্ষণ সন্ধ্যের গোধুলী আলোয় দূরের মাঠ ও পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে মেঘের ভেসে বেড়ানোর দৃশ্য দেখে চমকিত হচ্ছিলাম। ধীরে ধীরে প্রকৃতিতে নেমে আসতে লাগলো ঘোর অন্ধকার শুধু বাসের হেড লাইটের আলোয় বাসের সামনের এগিয়ে চলার দৃশ্য দেখা যায় ,জানালার পাশের দৃশ্যগুলো মাঝে মাঝে ল্যামপোষ্টের আলোয় এক ঝলক কিছুটা ঝাপসা দেখা গেলেও দূরের দৃশ্যে কোন গ্রাম বা স্থাপনার বিজলী বাতির আলোর বিচ্ছুরণ ছাড়া কিছুই চোখে ধরছিলোনা।এর মধ্যে শুরু হলো বৃষ্টির প্রবল বর্ষণ,এমন ঝুম বৃষ্টি প্যারিসে কখনো দেখা হয়নি,চলন্ত বাসের ছাদে বৃষ্টির টুপটাপ শব্দে শরীরে এক দারুন শিহরণ অনুভব করলাম,মনে হলো দেহ মন কিছুক্ষণের জন্য অবস্থান করছে আষাঢ়ের দিনে গ্রাম বাংলার কোন টিনের চালা ঘরে।

রাত রারোটার দিকে আমরা পৌঁছুলাম ফ্রান্সের লিঁও শহরে।এখানে বাস পনেরো মিনিটের রিরতিতে প্যারিস থেকে আগত লিঁও শহরের যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বার্সেলোনা গামী যাত্রী তুলে নিয়ে যাত্রা শুরু করলো।শহরের মধ্য দিয়ে যাত্রা-কালীন সময়ে রঙিন আলোয় দেখা হলো মধ্য রাতের শান্ত স্নিগ্ধ লিঁও শহরের কিছুটা অবয়ব।বাসের যাত্রীদের অনেকেই জানালার পর্দা টেনে ঘুমিয়ে পড়েছে।লিঁও থেকে আমার সহযাত্রীনী পরিবর্তন হয়ে আমার পাশের ছিটে অবস্থান নিয়েছে নতুন সহযাত্রীনী। সেও বাস চলার কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমের ঘোরে চলে গেলো কিন্তু আমার চোখে ঘুম নেই।নিস্তব্ধ রাতের শান্ত প্রকৃতির মধ্যদিয়ে অবিরাম ছুটে চলছে বাস।চোখে কখনো তন্দ্রা এসে ভর করছে, আবার চলে যাচ্ছে।আধো ঘুম আধো জাগরণের দোলায় দুলতে দুলতে রাত সারে তিনটায় এসে পৌছুলাম ফ্রান্সের নিম শহরে।বাসের ক্যাপ্টেন(এখানে এধরনের দূরবর্তী যাত্রীবাহী বাসের ড্রাইভারদেরকে ফরাসি ভাষায় কাপিতান বলা হয়)ঘোষনা করলেন, এর পর বাস ফরাসি সীমানার মধ্য আর বিরতি না নিয়ে সরাসরি স্পেন চলে যাবে এবং বাসের মধ্যকার ওয়াশ রুম বন্ধ থাকবে, তাই এখান থেকে সবাইকে ফ্রেস হয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন।এখানকার একটি পেট্রোল ষ্টেশনে বাস ত্রিশ মিনিটের বিরতি নিলো।অনেকেই বাস থেকে নেমে ফ্রেস হয়ে খাওয়া দাওয়া করতে লাগলো।আমাদের গ্রুপের সবাই সঙ্গে আনা খাবার শেয়ার করে খেলাম।নিম শহরের কথা ভেবে কাব্য ভাইয়ের হঠাৎ মনে পড়লো ,এই শহরেইতো আবৃত্তি শিল্পী ও লেখক রবি শংকর মৈত্রী স্বপরিবারে বসবাস করেন ।উনি একবার ফোন করে রবি দাকে বলতে চাইলেন ,আমরা এখন আপনার শহরে অবস্থান করছি কিন্তু গভীর রাতের কথা ভেবে আবার বিরত রইলেন ফোন করা থেকে।

এখান থেকে যাত্রার পর কখন যে গভীর ঘুমে চলেগিয়েছি বুঝতে পারিনি। সকাল সাতটার দিকে বাসের ক্যাপ্টেনের ঘোষনায় ঘুম ভেঙ্গে গেলো। চোখের পাতা উল্টোতেই জানালার ভেদ করে দেখা মিললো সুবিশাল জংলা পাহাড়,পাহাড়ী ভূমিটা দেখতে অনেকটা ভয়ংকর রকমের।বাস আবার একটা এ্যর(aire) এ পনেরো মিনিটের বিরতি নিলো।বুঝতে পারলাম এখন স্পেনের ভূমিতে অবস্থান করছি।বাস যখন তার নির্দিষ্ট গন্তব্য বার্সেলোনার দিকে যাত্রা শুরু করলো তখন ফ্রান্সের সাথে স্পেনের ভূপ্রকৃতি,বাসস্থান,স্থাপনার পার্থক্যগুলো পরিলক্ষিত হতে লাগলো।যখন শহরের মধ্যে প্রবেশ করলাম তখন ঢাকা শহরের সাদৃশ্য খুজে পেতে লাগলাম।বিল্ডিং,ওভারব্রিজ,বিলবোর্ড,ব্যস্ত সড়কের এত বেশী সাদৃশ্য দেখে মনে হলো, আমি হয়তো দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আমার সুপরিচিত ঢাকা শহরে ফিরে এসেছি।আটটা পনেরো মিনিটে আমাদের যাত্রীবাহী য়ুইবুছ(ouibus)দীর্ঘ পনেরো ঘন্টার যাত্রার যবনিকা টানলেন বার্সেলোনার বাস টারমিলালে।বাস থেকে নামতেই আমাদের জন্য অপেক্ষমান দৃষ্টিতে দাঁড়ানো উজ্জ্বল ভাইয়ের সাথে দেখা।সেই চিরচেনা হাস্যজ্জল মুখে আমাদেরকে অভিবাদন জানিয়ে মেট্র ষ্টেশনে নিয়ে গেলেন।………………
চলমান………………………..