আমি মনে করি এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বাবা-মায়ের। আর যাদের বাবা-মা নেই যে অভিভাবকের দায়িত্বে থাকে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তীতে আসে শিক্ষক, বন্ধু, পাড়া প্রতিবেশী ও সমাজ। তাহলে কি এই বয়সের ছেলেমেয়ে ফেসবুক ব্যবহার করবে না? করবে, তবে অপব্যবহার যাতে না করে সে ব্যপারে বাবা মায়ের খুব সতর্ক থাকতে হবে। যে কাজগুলো বাবা-মা করতে পারে–
শাসন নয় বরং ছেলেমেয়ের সাথে বন্ধুর মত আচরণ করা, সারাদিন কি করে খোঁজ নেওয়া, স্কুলের টিচার যে হোমওয়ার্ক দিল সেটা সে কতটুকু করল সেটা দেখা। অহেতুক আবদার না শোনা। যেমন আমার বন্ধুর এই আছে আমারও চাই এরকম। ছেলেমেয়ে বললে বাবা মাকে বুঝিয়ে দিতে হবে প্রত্যেকের জীবন আলাদা। তাদের সামর্থ আছে আমাদের নেই, তাই সম্ভব না। স্মার্টফোন বা ল্যাপটপে যে সব ওয়েবসাইটগুলো ছেলেমেয়েদের জন্য যথোপোযুক্ত নয় সেগুলো ব্লক করে দেওয়া। (এক্ষেত্রে কিভাবে ব্লক করে বাবা মায়ের জানা না থাকলে, যে জানে সেরকম লোকের সাহায্য নিতে পারে)। রাতে একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া জেগে থাকার জন্য। মাস শেষে ফোন বিল দিতে গেলে ফোনের কল লিস্ট চেক করা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে কি সিস্টেম আমি জানি না, তবে আমরা এখানে অনলাইনে বিল পে করি। সে ক্ষেত্রে কোথায় কখন কার সাথে কথা হল চাইলে দেখতে পাই। শুধু একাউন্ট আর পাসওয়ার্ড জানা থাকলে হল। বাংলাদেশে এই সিস্টেম থাকলে বাবা মায়ের জন্য খুব সুবিধা। ছেলেমেয়েরা কোন বন্ধুদের সাথে সবচেয়ে বেীশ মিশে, ঘনিষ্ঠ বন্ধু কারা সেটা অন লাইনে হোক বা অফলাইনে সেটা খেয়াল রাখা এবং সেইসব বন্ধুদের বাবা-মায়ের সাথে যোগাযোগ রাখা যে তাদের ছেলে মেয়েরা কি করছে।