ঘটনা: 1
মীমের বয়স চৌদ্দ কি পনেরো ক্লাস এইটে পড়ে বাড়ি কাঞ্চনপুর মা মারা গেলে পৈতৃক বাড়িতে থাকা একটু সমস্যাই হয় চলে আসে নানা বাড়ি স্থলবল্লায় সেখান হতে শুরু করে পড়াশুনা ভর্তি হয় দুই কিলোমিটার দুরের কোচিং সেন্টারে প্রতিদিন খুব সকালে যেতে হয় কোচিং সেন্টারে সে বোরকা পরে যাতায়াত করে রাস্তায় সে যে শুধু লম্বা ছিপছিপে এটুকুই শুধু বোঝা যায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ তাকে লক্ষ্য করে তার পিছু পিছু যেতে থাকে দুষ্ট ছেলের দল কোচিংয়ের টিচারদের কাছে বিচার দেয় তার মামা কাজ হয় না মেয়েটি লেখাপড়ায় ভাল তার খুবই আগ্রহ সব সহ্য করে কোচিং সেন্টারে নিয়মিতই আসতে থাকে মীম কিন্তু লেখাপড়ার আগে তো মান-সম্নান তারপরে না শিক্ষা এক সময় মেয়েটি কোচিং সেন্টারে আসা বন্ধ করতে বাধ্য হয় তাদেরকে বারবার বোঝানো হলেও তারা কারো কাছে নালিশ করতে সাহস পায় না
ঘটনা: 2
মেয়েটির নাম পারুল মামাবাড়ি থেকে লেখাপড়া করে চেহারা সুন্দর দশম শ্রেণিতে পড়ে স্কুল কোচিং সেন্টারে নিয়মিতই যাতায়াত করে একদিন হঠাৎ করেই তাকে আর স্কুল কোচিংয়ে দেখা যায় না যোগাযোগ করে জানা যায় প্রতিদিনই রাস্তায় বখাটে ছেলেরা তাকে বিরক্ত করে আবোল-তাবোল গান গায়; শিষ দেয়; কুপ্রস্তাব দেয় অনেক বলে কয়েও তাকে আর স্কুল কোচিংমুখী করা যায় না
এদের বিরুদ্ধে দেশে আইন আছে নারী নির্যাতনের কঠিন আইন আছে কিন্তু কেউ তো আইনের ধারে কাছেও যেতে পারে না যে দেশে পুলিশের সামনে দাগী আসামী ঘুরে বেড়ায়, যে দেশে মন্ত্রীর পাশে থাকে খুনীরা, যে দেশে লতিফ সিদ্দিকী আসলে পুরো মিডিয়ায় তা দেখালেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানেন না লতিফ সিদ্দিকী এসেছেনে কিনা; সেদেশে বোকার স্বর্গে বাস করা লোকও পুলিশশের উপর ভরসা করতে পারে না
যতদিন শ্বাস ততদিন আশ তবুও আশা করি পুলিশ প্রশাসন নিজ উদ্যোগে শাদা পোষাকে বিভিন্ন স্কুল কলেজ কোচিং সেন্টারের আশপাশে গিয়ে ঈভটিজারদের ধরে নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে