আড্ডায় বাউন্ডুলে’র সুমন্ত আসলাম

মুহাম্মদ দিদারুল আলম
Published : 17 April 2016, 09:55 AM
Updated : 17 April 2016, 09:55 AM

চৈত্রের তাপদাহ কিছুটা কমে এসেছে। নতুন বছর শুরুর আগমনী বার্তা শুনা যাচ্ছে। সন্ধ্যাও নেমে এলো বলে, কি হয়েছে সন্ধ্যা নামলে? তাকেও আজ আড্ডার সঙ্গী হতে হবে। বলতে হবে কথা বাউন্ডুলে মানুষটির সাথে! না ছাড়ন নাই কিন্তু।
মিরসরাইনিউজ ডট কম অফিসে তখন অতিথিরা আস্তে আস্তে আসতে শুরু করেছে। আজকের আড্ডার সময়টা ঠিক হয়েছে দিনের আলো যখন রাতের হৃদয়ের ভিতর ঢুকতে শুরু করবে তখন শুরু হবে আজকের প্রাণবন্ত গল্প,কবিতা,গান আর কথামালার ক্ষণ।

প্রথমেই এলেন দুজন শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক মিরসরাই ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আফছার। তারপর এলেন মিরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দীন।

তারপর একে একে মারুফ মডেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দীন, সাংবাদিক নুরুল আলম, সাংবাদিক বিপুল দাশ, প্রফেসর কামালউদ্দিন চৌধুরী কলেজের শিক্ষক আল মাহমুদ শাকিল, কবি হুমায়ূন মোর্শেদ, শিল্পী মহিবুল আলম আরিফ, নাঈম, শাহাদাত, রাশেদ, সুজন মন্ডল, সাদেক রিপন, আশরাফুল আলম, নিহান আলমসহ আরো অনেকে।

আরো কিছু সময় পর এলেন আড্ডা মধ্যমনি, এখনকার তরুণ পাঠকের কাছে 'প্রিয় লেখক' নাম এটি। দু'চোখ ভরা স্বপ্ন তার। দেশ, জাতি, সমাজ, মানুষ সবাইকে নিয়েই তিনি স্বপ্ন দেখেন। সবার ভালো থাকার স্বপ্ন দেখেন। অনেক ভালোবাসা নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। আর, সে সব স্বপ্নের বীজ তিনি বপন করেন পাঠকের মনেও। তাইতো কাছের বন্ধুরা তাকে বলে স্বপ্নবাজ। যুক্তি এবং আবেগ সমৃদ্ধ তার লেখা সহজেই মন ছুঁয়ে যায়। প্রতিদিনের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আমাদের বলতে না পারা কথাগুলোকেই তিনি উপজীব্য করে তোলেন তার লেখায়। তিনি হলেন দৈনিক সমকাল পত্রিকার সহকারী সম্পাদক আমাদের প্রিয় লেখক সুমন্ত আসলাম।

মিরসরাইনিউজ ডট কম অফিসের কাছে পৌঁছানোর আগেই তিনি শুনলেন দূর থেকে গিটারের মূর্ছনাসহ মন ভালো করা গান। সবার অপেক্ষার পালা শেষে সবে শুরু হচ্ছে আড্ডা। এসময় দেশ কাঁপানো ভূ-কম্পন আড্ডায়ও প্রভাব ফেলে।

ভূ-কম্পন নিয়ে কথা বার্তার কিছু সময় বাদে শুরু হয় আড্ডা। মেঝেতে সবাই গোল হয়ে বসেন। এই আড্ডায় সভাপতি নেই, নেই সঞ্চালকও। তাই শুরুটা করেন লেখক,সাংবাদিক সুমন্ত আসলাম নিজেই। এরপর শুরু হয় গান। ভালো আছি, ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো মহিবুল আলম আরিফের কন্ঠের গান সবাইকে মুগ্ধ করে। আবার আলোচনা, আড্ডা চলতেই থাকে। আবৃত্তি করেন এনায়েত হোসেন মিঠু, হুমায়ূন মোর্শেদ, শারফুদ্দীন কাশ্মীর।

আড্ডার কোন নির্ধারীত বিষয় না থাকায় আলোচনায় আসে, শিল্প, সাহিত্য, সাংবাদিকতা, বই মেলাসহ নানা প্রসঙ্গ। সুমন্ত আসলাম মিরসরাইয়ের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিয়ে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মফস্বলের একটি উপজেলা সদরে এ ধরনের আয়োজন হতে পারে, না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না। তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে, শিল্প সাহিত্য নিয়ে নিয়মিত আড্ডা করার পরামর্শ প্রদান করেন।

আড্ডায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আবু সাঈদ ভূইয়া, মারুফ মডেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক জিয়াউল হক, মো. সায়েম উদ্দীন চৌধুরী পয়েল, সাংবাদিক আজিজ আজহার, শহীদুল ইসলাম রুবেলসহ আরো অনেকে।

'আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতা'-গানটি ছিল শেষ পরিবেশনা। এভাবেই কেউ না চাইলেও বাংলা বছরের শেষ দিন (৩০ চৈত্র ১৪২২ বঙ্গাব্দ) সন্ধ্যার আড্ডা শেষ হয়।