টকশোতে জনাব আরাফাতের কথা মতে; পাকা বাড়িতে থাকার জন্য আমরা যেমন ইটভাটার দূষণ কিছুটা মেনে নিয়েছি, তেমনি বিদ্যুতের জন্য সুন্দরবনেরও কিছুটা দূষণ মেনে নিতে হবে। সুন্দরবনের সংবেদন শীলতার ব্যাপারে তার যে কোনো ধারনা নেই এটাই তার প্রমাণ। মানুষের চেয়ে বনের গাছ এবং প্রাণীকুলের সংবেদনশীলতা অনেক বেশি এবং প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম। তাছাড়া মানুষ যেমন চিকিৎসা করে উদ্ধার পায় গাছ, প্রাণী তা পারেনা।
আরেকটা কথা, পরিবেশ ও প্রতিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট নিয়ামকের তার কাছেই থাকতে হবে এমন কথা নেই। ফারাক্কা বাধ তো অনেক দূরে, কিন্তু তার প্রভাবে সুন্দরি গাছ শেষ হয়ে যাচ্ছে লোনা এবং মিষ্টি পানির ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফলে। চিংড়ি চাষের জন্য পোনা আহরণের ফলে অনেক জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর বীজ ধংস হচ্ছে। অধিক মাত্রায় মধু আহরণের ফলে গাছের প্রাকৃতিক বংশ বিস্তার কমে যাচ্ছে। আরও অনেক আছে। তবে এই বিনাশের প্রক্রিয়া রাতারাতি হয়না। সময় নিয়ে হয়, তাই চট করে চোখেও ধরা পড়েনা।
এখন কথা হল আর কত অত্যাচার করব সুন্দরবনকে। সারা পৃথিবীতে যখন প্রকৃতির সংরক্ষণের প্রচেষ্টা চলছে, আমরা লেগেছি তার ধংসের গতি আরও তরান্বিত করতে।