আমার ঘরে বাস করে হায় কোন জনা!

শংকিত পদযাত্রা...
Published : 30 Nov 2011, 01:51 AM
Updated : 30 Nov 2011, 01:51 AM

একটি গল্প দিয়ে শুরু করতে চাই,যদিও গল্পটি আপনাদের সবারই জানা তারপরও বলছি। দুই বানর যৌথ প্রয়াসে এক গৃহস্থ বাড়ী থেকে একটি পিঠা চুরি করে আনলো এবং সমান ভাগে ভাগ করতে মাঝ বরাবর ভেঙ্গে এক বানর অপর বানরকে দিতেই সে বলল তোমার ভাগেরটা বড় আর তাই ওটা আমাকে দাও। এ নিয়ে দু বানরে ঝগড়া বেধে গেল আর ঠিক এ সময় গাছের নিচ দিয়ে যাচ্ছিল এক শিয়াল,তাৎক্ষনিক দু বানর শিয়ালকে বলল পিঠাটি ভাগ করে দিতে। শিয়াল পিঠার এ অংশ থেকে কিছুটা আর অন্য অংশ থেকে কিছুটা এ ভাবে সমান করার চেষ্টায় এক সময় একটি ভাগ শেষ হয়ে গেল আর তখন শিয়ল বলল কি আর করা যহেতেু তোমরা দুজন এবং পিঠার ভাগ আছে একটা অতএব এ অংশটি আমার বলে শিয়াল মুখে পুরে হাটতে শুরু করলো আর হভম্ব বানর গুলি অবাক হয়ে তাদের ঝগরার শেষ পরিনতি দেখে কাদতে লাগলো।

গত কিছুদিন পুর্বে আমাদের মানণীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া স্মপ্রতিক রোড মার্চের এক পথসভায় বলেছেন আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধ করেনি করেছে বিএনপি! এরও কিছুদিন পুর্বে আরেক রোডমার্চের জনসভায় তিনি বলেছেন জমাত যুদ্ধাপরাধ করেনি এবং বর্তমান সরকার জামাতের যে নেতৃবৃন্দকে আটক করেছে তারা যুদ্ধাপরাধী নয়,অতএব তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এখন আমার কথা হল বিএনপি যদি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে তা হলে বিএনপির জন্মদিন কবে? আর যদি তারাই মুক্তিযুদ্ধ করে থাকে ! তাহলে তাদের সাঙ্গপাঙ্গ এবং তথাকথিত অঙ্গ সংঘঠন জামাত আবার যুদ্ধাপরাধ করে কি করে? এখন পাশার গুটি গেলো উণ্টে তার মানে আওয়ামীলীগকে এখন যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করার যায়গায় বসানো হলে খুব একটা অবাক হওয়া কি ঠিক হবে? কিন্তু না সাধারনের একটি অংশ যেহেতু এখনও মনে করে মুক্তিযুদ্ধের সাথে আওয়ামীলীগের সম্পৃক্ততা আছে আর তা হলে এই বিএনপি আর আওয়ামী জনগোষ্ঠির মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ভাগাভাগিটা করছে কোন শিয়াল? আর সেই শিয়ালকি শেষ পর্যন্ত ভাগের শেষাংশ আমার বলে আমাদের স্বাধীনতাটাই খেয়ে ফেলবে এবং শেষ পর্যন্ত আমারা দ্বিধাভিবক্ত জনগোষ্ঠি অতিচালাক বানর হয়ে আঙ্গুল চুষতে শুরু করি তা হলে খুব বেশী অবাক হওয়ার কি আছে।

যাই হোক আমাদের কান পচে গেছে এবং তার সাথে আমাদের বুদ্ধিনাসের অনাসৃষ্টি যে ভাবে প্রসার ঘটছে তা দেখে মাঝে মাঝে সত্যি কোনটা আর মিথ্যে যে কি তা বুঝার সাধারন জ্ঞান লোপ পাচ্ছে নাকি বাড়ছে তা সময়ই বলে দিবে। এক সময় বিদেশীদের বিশেষ করে বিটিভিতে ইংরেজি ছবিতে কুকুরকে ভালবাসতে দেখে আমরা অবাক হতাম ভাবতাম মানুষ আবার কুকুরকে এত ভালবাসার কি আছে। লন্ডন প্রবাসী এক পরিবারের সন্তানের মুখে একটি কুকুর পোষার খরচের কথা শুনে ভিরমি খাওয়ার মত অবস্থা হয়েছিল আমার। কিন্তু এই কিছুদিন আগে,যারা একাত্তরে আমাদের মা বোনদের উপর কুকুরের চেয়েও হিং¯্র আর নরখাদকের মত লাখো শহীদের রক্ত চুষাতে রেখেছিল মুখ্য ভুমিকা তাদের কাছে লাল সবুজ পতাকা তুলে দিতে দেখেও আমাদের রক্ত শিতল থাকে তখন বুঝতে পারি আর যাই হোক আমরা এবার কিছুটা আধুনিক হতে পেরেছি। বিদেশীদের কুকুর পোষার বিলাসিতা থাকতে পারলে আমরাও কম কোথায়, প্রয়োজনে বিদেশ থেকে কুকুর সংশ্রবের ভালবাসায় পরিপুর্ন কোন ফরেনার উকিল এনে আমাদের কুকুর পালনের প্রজেক্টকে আরো শানিত করব। কারন এখন সময় কে কতটা আধুনিক হতে পারলো এটাই দেখার বিষয়,যা দেখার বিষয় নয় তা হল তথাকথিত দেশ প্রেমিক হয়ে এখন আর কেউ মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে না কারন দেশে এখন যুদ্ধ চলছে না,চলছে নিজ স্বার্থ হাসিলের পায়তারা।