আজো মনে পড়ে সেই ১৯৭১ সালের কথা

নিতাই বাবু
Published : 23 March 2016, 01:24 AM
Updated : 23 March 2016, 01:24 AM

১৯৭১ সালের কথা। আমি তখন তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র। বাবা ও বড় ভাই নারায়ণগঞ্জে। মা আমি ও আমার তিন বোন বাড়ীতে। বাড়ী নোয়াখালীর চৌমুহনী বজরা রেল স্টেশনের পশ্চিমে মাহাতাব পুর গ্রামে মাইডগা দেলান ওয়ালা বাড়ী। আমার মা সকাল সন্ধ্যা শুধু রেডিওর খবর শুনার জন্য দৌড়ে দৌড়ে বড় বাড়ীতে যায়। বড় বাড়ীটা বিশাল বড়! ৮/৯ পরিবার নিয়ে এই বড় বাড়ী। ৮/৯ পরিবার এর মধ্যে শুধু একজনের ঘরেই ওয়ান বেন্ডের একটি রেডিও ছিল। খবরের সময় হলে বড় উঁচু একটা টেবিলের উপরে খুব যত্ন সহকারে রেখে রেডিও খানা চালু করে দিতো, আর আমি আমার মা ও পাড়া প্রতিবেশী আরে প্রায় ৭০/৮০ জন টেবিলের সামনে হোগলা পাতার পাটিতে বসে খুবই মনযোগসহ খবর শুনতাম। আমার মা শুধুই কান পেতে থাকতো নারায়ণগঞ্জের খবরের জন্য।

আমার মায়ের চিন্তা শুধু একটাই, তা হলো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ এর ভাষণের পর তো এক এক করে বাংলাদেশের সকল মিল ইন্ডাষ্ট্রিজ বন্ধ হয়েছে, আমার স্বামী আর বড় ছেলে তো এখনো বাড়ী এলোনা! তাহারা কি করছে, কেমন আছে কে জানে, এই সব চিন্তার মধ্যেই রাত আর দিন কাটে আমার গর্ভধারীণীর। ২৬ই মার্চের কাল রাতের ঠিক দুই দিন পর আমার বাবা কোন প্রকার যোগাযোগ ছাড়াই বাড়ি এসে হাজির। ঠিক সন্ধ্যার একটু আগমূহুর্তে। মা বললো, আমার নিমাই (বড় ছেলে) কোথায়? বাবা নিশ্চুপ!! কিছুক্ষন পর বাবা বললো ও তো বাড়ি আসার কথা ছিল আরো পাঁচদিন আগে,আসেনি? তখন দেখেছি আমার মায়ের কান্না, ছেলের জন্য মায়ের আহাজারি!!

আমার বাবা আর বড় ভাই নারায়ণগঞ্জে এক সাথেই থাকতো। বাবার চাকুরী নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিত্তরঞ্জন কটন মিলে, আর বড় ভাই বন্দর থানাধীন আদর্শ কটন মিলে তা শীতলক্ষ্যা নদীর এপাড় ওপাড়। কিছু দিন পর জানতে পারিলাম বড় ভাই শরণার্থী হয়ে ভারত চলে গিয়াছে! তবু মায়ের কান্না থামছেনা ছেলের জন্য। এদিকে আমরা সংসারে ছয় জন মানুষ, বাবার কাজ নেই, বাড়ীতে এসেও বেকার। আবার চারদিকে জ্বালাও পোড়াও চলছে অনবরত। মাঝে মাঝে বোমার আওয়াজ, সাথে গুলির আওয়াজ। এমনি দেখতে দেখতে কেটে গেল মাস খানেক, ঘরের ধান চাউল আর অবশিষ্ট কিছুই নেই। বাবা তো এক প্রকার পাগলের মত হয়ে গেল। মা পাশের বাড়ি থেকে চাউল উধার (হাওলাৎ) করতে করতে হাওলাতের বোঝাটা অনেক বড় হওয়াতে আর কেউ হাওলাতও দিচ্ছেনা আমাদের। আর দিবেই বা কি করে? সবার তো একই অবস্থা, চারদিকে যুদ্ধ, গুলি আর বোমার আওয়াজে একাকার। মানুষের কাজ নেই, ঘরের সঞ্চিত ধান চাউলই একমাত্র সম্বল। সবার চিন্তাশুধু একটাই কবে শেষ হবে এই যুদ্ধ?

আমার বাবার খোরতো ভাই (চাচাতো ভাই) দুই জন সেই দিনে পাকিস্তানি পুলিশ, এক ভাই রিটায়ার হওয়ার পর ছেট ভাই বড় ভাইয়ের চাকুরী পায়। সেই খোরতো ভাই (চাচাতো ভাই) দুই জনই বাড়িতে, যিনি পুলিশে কর্মরত ছিল তিনি ২৬শে মার্চের পর পালিয়ে বাড়ি চলে আসেন। বাড়িতে এসেই তারা দুই ভাই বাজারে বাজারে মুড়ি বিক্রী করে। আমার মা তখন আমার বাবাকে মুড়ি বিক্রী করার জন্য বললো, বাবা তখন রাজি হয়ে বললো যে,তা হলে টাকা পাবো কোথায়? মা বললেন, দেখি কারো কাছ থেকে অন্তত ১৫/২০ সের ধান হাওলাৎ হিসাবে সংগ্রহ করতে পারি কিনা। পর দিন মা আমাদের গ্রামের এক গোসাই বাড়ী থেকে অনেক বলে কয়ে ১৫ সের ধান সংগ্রহ করলেন। সেই ধান সিদ্ধ করে শুকিয়ে ঢেকি দ্বারা চাউল তৈরী করে মুড়ি বানিয়ে বাবাকে দিল বিক্রী করার জন্য। আমার বাবা ছিল খুবই লাজুক মানুষ, তিনি একা যাবেননা বাজারে! মা বললেন একা যখন আপনি যাবেন না তবে আমার ছেট ছেলেকে (নিতাই) সঙ্গে নিয়ে যান। বাবা রাজি হলেন, আমিও খুব খুশী, আর আমার এই খুশীর পেছনে বহু কারণও আছে! সেটা হলো, বাবাতো থাকতো নারায়ণগঞ্জে, বছরে একবার ঈদ বা পুজোয় বাবাকে দেখতাম, আর এখন সব সময়ই বাবা বাড়ীতে, আবার বাবার সাথে যাবো বাজারে কি মজার ব্যাপার! বাবার সাথে রওনা হলাম, আমাদের বাড়ী হতে পশ্চিম দিকে হাটখেলা বাজারের পশ্চিমে আমিষাড়া বাজারে, আমিষাড়া বাজারের দুরত্ব প্রায় ৭/৮মাইলের কম না। গেলাম বাজারে, বাবা ক্লান্ত, খুবই ক্লান্ত, বাবার মুখপানে চেয়ে দেখি অশ্রু টলমল করছে।

মুড়ির বস্তা নামিয়ে বস্তার মুখ খুলে খরিদ্দারের অপেক্ষা করছি, ১০ সের মুড়ির মধ্যে মাত্র ৪/৫ সের মুড়ি বিক্রী হয়েছে মাত্র, সেই সময়ে প্রতি সের মুড়ির মূল্য দুই টাকা। বিক্রীর বাকী আরো ৫সের, এমন সময় শোনা যাচ্ছে যে, আইলোরো!! চারদিকে ছোটাছুটি লেগে গেল, বাবা তাড়াতাড়ি মুড়ির বোস্তা বাঁধা শুরু করলো, সেই মুহুর্তে বাজার প্রায় খালি। পাক হানাদার বাহিনীর দুই জন বাবাকে ধরে ফেললো, আমার মনে পড়ে সেই দিনটির কথা! বাবাকে দুইজন পাক বাহিনী রাইফেলের বাঁট দিয়ে বাবার পিঠে দুইটা আঘাত করার সাথে সাথে বাবা মাটিতে শুয়ে পরলো, আমি বাবার শরীরের উপর উপুর হয়ে কাঁদছিলাম। অনেক্ষণ পর বাবা আস্তে আস্তে উঠে বসলো, আমাকে জড়িয়ে ধরে শুধুই কাঁদছে। আমি বললাম বাবা চলো বাড়ি চলে যাই, বাবা বললো যাবোতো বটে আমি তো হাটতে পারছিনারে!! খানিক পর বাবা আর আমি আস্তে আস্তে ৫সেরের মত মুড়ি নিয়ে বহু কষ্ট করে বাড়ি ফিরি। মা আর আমার তিন বোন তো আশায় ছিল যে, বাবা আসতে সংসারের জন্য মাছ আনবে সবজি আনবে, মা রান্না করবে আমরা সবাই পেট ভরে ভাত খাব। কিন্তু আশার বাসাতো ভেঙ্গে চুরমার। আমরা বাড়ীতে আসার আগেই বাবা আমাকে বলেছিল যে, বাড়ীতে গিয়ে বলবিনা এই দুর্ঘটনার কথা। বাড়ীতে আসার পর আমার কি আর বাবার নির্দেশ মনে আছে? আমিতো হাউ মাউ করে মাকে জরিয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে বলাম, মা মেলেটারিরা বাবাকে মারছে। এখনতো সবাই কান্না কাটি,বাবা তখন শরিরের জামা খুলছিল,সবার চোখ পড়লো বাবার পিঠের উপরে, দেখা গেল বাবার পিঠে রাইফেলের আঘাতের চিহ্ন। তখন মা বললেন, আর তোমাদের বাজারে যেতে দিবো না মুড়ি বিক্রী করার জন্য। বাবা বললো, না আজ এমন হয়েছে, কাল আর এমন হয়তো হবেনা। ভয় পেলে তো আহার জুটবে না। বাবার এই আঘাতের কথা আমার ঐ পুলিশ দুই কাকা (চাচা) শুনলো, দেখলো আর বাবাকে বললো তুই আমাদের সঙ্গে যাবি! আমরা যেই বাজারে যাই তুইও সেই বাজারে যাবি,আমরা তোর সঙ্গেই থাকবো তোর কিছুই হবেনা। আমার পুলিশ কাকা (চাচা) দুই জন আবার উর্দু ভাষা জানে। পাক বাহিনীদের উর্দু ভাষা ব্যবহার করিয়া বুঝাইতে পারিলেই কিছুটা মাফ পাওয়া যায়, বললো আমার কাকারা। বাবার এমন অবস্থা দেখে আমার কাকারা একটু সাহায্য সহযোগিতা করতে লাগলো। এখন তাদের সঙ্গেই যাচ্ছি সব বাজারে মুড়ি নিয়ে, কাকাদের সব মুড়ি আমাদের আগে বিক্রী হয়ে যায়, তার পর আমার কাকারা আমাদের মুড়ি বিক্রী করে দিতো। সব বিক্রীর পর সবাই এক সাথে বাড়ি ফিরতাম।

এই ভাবে কেটে গেল প্রায় ৪/৫ মাস। তখন মুক্তিবাহিনী বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় অবস্থান নিলো, আমাদের গ্রামেও মুক্তিবাহিনীর আনাগোনা শুরু হলো। বিশেষ করে আমাদের বাড়িটাই মুক্তি বাহিনীদের পছন্দের একটা জায়গা। তার কারণটা হলো আমার দুই কাকা ছিল পুলিশ তার জন্য। মুক্তি বাহিনীরা এসে দুই কাকার সঙ্গে বসে আলাপ আলোচলা করতো, দুই কাকা তাদের নানাবিধ পরামর্শ দিতেন, এক পর্যায়ে আমাদের বাড়ীটাই যেন হয়ে গেল মুক্তি বাহিনীর ঘাটি। প্রতি দিন সন্ধ্যায় বসতো মুক্তি বাহিনীদের আসর, তাও রাত্র ১/২টা পর্যন্ত। আমি মাঝে মাঝে রাত ৮/৯ টা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে বসে বসে কথা শুনতাম। তাদের রাইফেল, এলএমজি, মেশিন গান এইগুলো দেখতাম আর হাত বুলাতাম। আবার আমার মা, কাকিরা চা বানিয়ে দিতো, সেই চা আমি তাদের এনে দিতাম, তারা একে একে সবাই চা পান করতো। এর মধ্যে আমাদের বাড়ির ঠিক পশ্চিমে একটি গ্রাম। গ্রামটির নাম হিলমুদ, সেই গ্রামের একটি পরিবারের একটি ছেলের রাজাকারে যোগদানের খবর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে যায়। ঐ রাজাকারের বাড়িটা আমাদের বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মুক্তি সেনারা বলল যে বাড়িটা বোম মেরে উড়িয়ে দিতে। দুই কাকা তখন মুক্তি সেনাদের বললো তা ঠিক হবেনা। কারণ একজন রাজাকারকে মারতে আরো দশজন ভাল মানুষ মরবে তা হয় না। তখন মুক্তি সেনারা আমার দুই কাকার কথা শুনে ঐ বাড়িটা উড়িয়ে দেওয়ার চিন্তা তাদের মাথা থেকে বাদ দিল। তবু মুক্তি সেনাদের চোখ ঐ বাড়িটার দিকেই থাকত অনবরত। এই দিকে মুক্তি সেনাদের আনা গোনায় তখন আমরাও আর কিছু ভয় করতাম না। ভয় আবার কিসের? আমাদের বাড়িতেই তো মুক্তিযোদ্ধারা। তারাও আমাদের সাহস দিতো। বলতো আপনারা কোন ভয় পাবেন না, আমরাতো আছি।

এমনি করে কেটে গেল পুরো মুক্তিযোদ্ধের সময়টা। ডিসেম্বর ১৯৭১ দেশ স্বাধীন হলো। যেই দিন দেশ স্বাধীন হলো সেই দিন আমাদের গ্রামের পার্শ্বের রাস্তা দিয়ে রাজাকারদের বেঁধে বেঁধে নিয়ে যাওয়া হলো বজরা বাজারে। আমরা গ্রামের সবাই রাস্তার পার্শ্বে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখেছি সেই দৃশ্য গুলি। আমার বাবা তখন শুধু দিন গুনছে বসে বসে, কবে তিনি নারায়ণগঞ্জ যাবে। আর বাবা মাকে বলতেন, চিন্তা করোনা আমি এই ৯ মাসের বেতন এক সাথে পাব। তখন আর তোমাদের এই কষ্ট থাকবেনা। আমি বেতন পাবার সঙ্গে সঙ্গে পোস্ট করে পাঠিয়ে দিব। যা ঋণ হইছে তা শোধ করে দিও। ঠিক তাই হলো। বাবা দেশ স্বাধীন হওয়ার ৬/৭ দিন পর নারায়ণগঞ্জ ফিরে গেলেন। তার মধ্যে আবার শুনতে পারিলাম আমার বড় ভাইও ভারত থেকে নারায়ণগঞ্জে এসেছে। প্রায় মাস খানেক পর বাবা কিছু টাকা পাঠালেন আমাদের জন্য। সেই টাকা থেকে কিছু ধার করা টাকা শোধ করা হল, অবশিষ্ট টাকা দিয়ে মা ধান কিনলো।

কেটে গেল দুঃসময়। পেয়েছি আমরা একটি দেশ, স্বাধীন বাংলাদেশ, রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে আমার মা আমাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ আসার প্রস্তুতি নিল আমার বড় বোনের বিয়ের আলোচনার জন্য। নারায়ণগঞ্জ আসলাম মা আর আমি। বিয়ের কথা পাকা পাকি, বাবা সময় নিলেন ছয় মাস পর বিয়ে হবে, বর পক্ষ তাই রাজি হলেন। আবার চলে এলাম বাড়ীতে, বোনের বিয়ের খরচ যোগাতে বাড়ির বাইরে যতটুকু জায়গা ছিল তা বিক্রী করা হলো বাদশা মিয়া নামে এক জন লোকের নিকট। দাম পেলো মাত্র দুই হাজার টাকা। যেই দিন টাকা গুলো আমরা হাতে পেলাম সেই রাতেই আমাদের বাড়িতে হানা দেয় ৬/৭ জনের একটি ঢাকাত দল। একটি বড় দড়ি দিড়ে আমার তিন বোনকে বেঁধেছে এক সাথে, আমাকে আর আমার মাকে বেঁধেছে এক সাথে। মার কাছ থেকে সেই টাকা গুলো জোর পুর্বক ছিনিয়ে নিয়ে গেলো ঢাকাত দল। পরক্ষণে মা আমি ও আমার তিন বোন হাউ মাউ করতে করতে আমাদের বাড়ী কাকারা তাড়াতাড়ি এসে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আমাদের বাঁধন খুলে দেয়। তখন কাকা বললে যে আর মনে হয় থাকা যাবেনা এদেশে! মা কারণটা জানতে চাইল কাকার কাছে। কাকা জবাব দিল, মুক্তি বাহিনীদের আশ্রয়ের এটাই উপযুক্ত ফল। তার পর পুরো বাড়িটাই আমরা বিক্রী করে দিলাম ঐ বাদশা মিয়া কন্ট্রাকটার এর নিকট। সেই যতসামান্য কিছু টাকা নিয়ে বাদশা মিয়া আমাদের বজরা রেল স্টেশন পর্যন্ত আমাদের পৌঁছে দেয়।

মা আমি সহ আমার তিন বোন নারায়ণগঞ্জে আসি, তা সেপ্টেম্বর ১৯৭২ সাল। বাড়ি থেকে এই আসাই হলো শেষ আসা। দুঃখ শুধু একটাই, সেটা হলো এত কষ্টের মধ্যে থেকেও আমরা আমাদের মুক্তি সোনাদের এত খেদমত করলাম, দেশ স্বাধীন হওয়ার একদিন আগে থেকে মুক্তি সেনারা আমাদের বাড়ি ছাড়লো, আর কোনদিন এসে তারা আমাদের খবর নেয়নি! যাক ব্যাথা পেলে দুই একদিন পর আর সেই ব্যাথা থাকেনা। আমাদের বেলায়ও তাই। ব্যাথা নেই। প্রার্থনা করেছিলাম তারা ভাল থাকুক। মঙ্গলে থাকুক। বর্তমানে সবাই আমরা ভাল আছি, দেশও ভালোভাবে এগুচ্ছে। আমরাও এগুচ্ছি। তবুও ভুলিনি সেই দিনের কথা।