ছবি গুগল থেকে সংগ্রহ।
ইদানিং আমাদের দেশে গ্রামগঞ্জে, শহর-বন্দরে ছেলে-বুড়ো সকলেই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছি। তারমধ্যে একটি জ্বরে বেশিরভাগ মানুষে আক্রান্ত, এই ভাইরাস বা জ্বর সমন্ধে আমাদের অনেকের কাছেই অজানা। আসলে এই জ্বর বা ভাইরাস কী? কেনইবা হয়? কোত্থেকে এর উৎপত্তি?
এটি হলো 'চিকনগুনিয়া', একটি মশাবাহিত রোগ। জ্বর ও হাড় ব্যথা এর প্রধান লক্ষণ। এই রোগের প্রতিকার এখনও আবিষ্কার হয় নাই। বেশির ভাগ রোগীই এক সপ্তাহের মধ্যে ভাল হয়ে যায়। এই রোগে মৃত্যু ঝুঁকি নাই বললেই চলে। প্রতি হাজারে একজন লোক এই রোগে মৃত্যুবরণ করতে পারে।
ছবি গুগল থেকে সংগ্রহ।
জানা যায়, চিকনগুনিয়া প্রথম চিহ্নিত হয় তাঞ্জানিয়ায়, ১৯৫২ সালে। আর চিকনগুনিয়া শব্দের অর্থ 'বেঁকে যাওয়া'।
বাসাবাড়ির ছাদে বা বারান্দার টবে পানি জমে থাকে। আর এসব স্থানে এডিস মশা ডিম পাড়ে। সেই এডিস মশাই চিকনগুনিয়া ভাইরাসের বাহক। অন্য মশাও অতি সামান্য পরিমাণে এই রোগের বিস্তার ঘটাতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন- জ্বর, হাড়ের জোড়ায় ব্যথা, মাংসপেশী ব্যথা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, হজমে সমস্যা, র্যাশ উঠা, খাবারকে তিক্ত মনে হওয়া ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ।
মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করাই এই রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। ছাদে ও বারান্দা ইত্যাদি জায়গায় যেন পানি না জমে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সিটি কর্পোরেশনকে মশার ওষুধ ছিটাতে হবে, মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।
এই রোগের সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নাই। তবে চিকনগুনিয়া জ্বর হলে নিন্মোক্ত কিছু বিষয় অনুসরণ করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা-
১. এন্টিবায়টিক গ্রহণ করার প্রয়োজন নাই
২. প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে হবে
৩. এসপিরিন জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করা যাবে না
৪. প্রচুর বিশ্রাম নিতে হবে
৫. প্রচুর তরল খাবার ও পানি গ্রহণ করতে হবে।
একবার হলে জীবনে আর কখনও চিকনগুনিয়া জ্বর হয় না। সুতরাং তা একবার হয়ে গেলে চিন্তার কিছু নাই। তাতে দেহে প্রাকৃতিকভাবে এই রোগের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরোধ গড়ে উঠে।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, প্রথমআলো।