মৃত মানুষ সকল সমালোচনার উর্ধ্বে এই বাক্যটি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব তথা সকল ধর্মের সকল মানুষ মন প্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করে। মানুষ যখন মরে যায় তখন তাকে নিয়ে আলোচনা হতে পারে কিন্তু সমালোচনা নয়। কারণ সমালোচনা হলো মানুষের দৈনন্দিন পরিবর্তনের একটি পন্থা মাত্র। যদি পৃথিবীতে সমালোচনা না থাকতো তাহলে অনেক মানুষের নতুন করে চারিত্রিক পরিবর্তন হতো না। বলতে চাচ্ছিলাম, সাগর-রুনির কথা ধরে নিলাম তারা উভয়েই খুব খারাপ চরিত্রের মানুষ ছিল, এখন আমরা তাদের নিয়ে যতই সমালোচনা করি না কেন তাদের পরিবর্তনের আর কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ তারা যে এখন সকল সমালোচনার উর্ধে চলে গেছে।
এইবার আসি মূল প্রসঙ্গে, সাম্প্রতিক সময়ে অনেক গুলো আলোচিত বিষয়ের মধ্যে ছিল,সাগর-রুনি হত্যা বিষয়ে লন্ডনে এটিএন বাংলার এর চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান এর একটি সাক্ষাত্কারের ভিডিও ক্লিপ। এই ভিডিও তে উনি যেভাবে, সাগর-রুনির চারিত্রিক বিষয়ে কথা গুলো বললেন তাতে বার বার আমার মনে হয়েছে উনার মুখের ভাষা যেন কেমন আটকে আটকে আসছে। দ্বিধাহীন ভাবে বলতে পারি এটা একজন খুনী বা খুনের প্রশ্রয়কারিকে সনাক্ত করার পর্যাপ্ত মোটিভ। এটা কোনও ধারনা নির্ভর বাক্য নয়।
এই ভিডিও দেখে আমার মনে হয়েছে যে, সাগর-রুনির হত্যা ও হত্যাকারীদের সম্পর্কে মাহফুজুর রহমানের বেশ ধারনা রয়েছে। যখন উনি বললেন উনাদের নিজেদের কাছে একটি তদন্তের রিপোর্ট রয়েছে, কিন্তু উনারা সেটা প্রকাশ করবে না। উনারা দেখতে চাচ্ছেন ডিবি পুলিশ কী করে। মাহফুজুর রহমান রা, জানে ডিবি বা র্যাব এই ব্যাপারে যে মুখ খুলবে না। তাহলে কেন অযথা আমাদের প্রশাসনের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? তাহলে কী মাহফুজুর রহমান সাগর-রুনি হত্যাকারীদের কেউ একজন ? নাকি ওই বাসায় মাঝে মধ্যে মাহফুজুর রহমান রা ও একটু আধটু মদ গিলতে যেতেন ?
মাহফুজুর রহমান সাহেবদের অবস্থা এখন এমন পর্যায়ে, মানুষের পেটে বিদ্যা না থাকলে সে যে আজীবন মূর্খ থেকে যায়, তার জলজ্যান্ত প্রমাণ এটিএন বাংলার মাহফুজুর রহমান। টাকা থাকলে পোশাক বদলায় ঠিকই, কিন্তু চরিত্র একই থেকে যায়। রুনির চরিত্র নিয়ে কথা বলার আগে উনার নিজের চরিত্রের দিকে তাকানো প্রয়োজন ছিল। ইভা রহমান উনার কত নাম্বার পত্নী ? উনি বলবেন এটা কোনও ব্যপার না। কিন্তু এটা বাংলাদেশের সকল মানুষ জানে মাহফুজুর রহমানদের চরিত্র যে কেমন থাকে। নিজের বউ সমন্ধে যে লোক মন্তব্য করে যে, বস্তির মেয়ে, আমি তাকে উঠিয়ে এনে স্টার বানাইয়েছি। সেই লোক আসলে একজন নারীর সম্মান দিবে কিভাবে?
রুনির মতো মানুষ হয়ে জন্ম নিতে এই মাহফুজুরের ১৪ জন্ম লাগবে। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন তার প্রমাণ মাহফুজুর রহমান। এই লোকের নোংরা মন্তব্য প্রমাণ করলো যে সাগর-রুনির খুনী আসলে সে এবং তার ভাই। মানুষের চরিত্র নিয়ে কথা বলার আগে নিজের গায়ের গন্ধ নেয়ার চেষ্টা করার দরকার ছিল মাহফুজুর রহমান এর, যেখানে দুর্গন্ধ আর পঁচা গলিত মাংসপিণ্ড ছাড়া সেখানে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।
মাহফুজুর রহমান এর এই ভিডিও তে এমন কিছু তথ্য ছিল, যা দেখে খুব সহজেই অনুমেয় সাগর-রুনির হত্যাকারি কে বাঁচানোর স্বার্থে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সরকারের মাধ্যমে প্রভাবিত করেছেন। তা না হলে হত্যাকারীরা এত দিনে অবশ্যই ধরা পড়তো বলে আমার বিশ্বাস।
সরকার ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের বলতে চাই অনতিবিলম্বে মাহফুজুর রহমান কে জিজ্ঞাসাবাদ করা করুন। আর কোনও নাটক দেখতে চাই না আমরা। সাগর-রুনি যতই খারাপ থাকুন না কেন, তাদের খারাপ তাদের সঙ্গে থাকবে। আপনারা কেনও তাদের খারাপ এর বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন ??
প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেখানে ১১৮ দিনেও সাগর রুনির হত্যা বিষয়ে আমাদের যেকোনো তথ্য দিতে ব্যার্থ হয়েছেন সেখানে মাহফুজুর রহমান একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার মত কিছু একটা বলেছে। তাহলে কেনও সাগর-রুনির হত্যা বিষয়ে আপনারা নিরব থাকবেন ?
পরিশেষে বলতে চাই, লুচ্চা মাহফুজুর আইনের প্রশ্রয় থেকে বাদ দিন, তাকে গ্রেপ্তার করুন। পুলিশ রিমান্ডে নিন। জিজ্ঞাসাবাদ করুন দেখবেন সাগর-রুনির আসল হত্যাকারী দের খুজে পেতে কোনও সমস্যা হবে না। আর জনগণ আপনাদের কী বলে বাহবা দেয়।
এই সম্পর্কিত ভিডিও পোস্ট সাগর-রুনি হত্যা: এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক!
@সুলতান মির্জা
০৫/০৬/২০১২ ইং