বন্ধ গ্রামীণফোন বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন কার্যক্রম

নুর ইসলাম রফিক
Published : 30 April 2016, 07:39 PM
Updated : 30 April 2016, 07:39 PM


সার্ভার সমস্যার কারণ দেখিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে গ্রামীণফোন এর সীম বায়োমেটিক পদ্ধতি নিবন্ধন কার্যক্রম। দুপুর ১০.৩০ মিনিটে সিলেট করিমউল্লা মার্কেট এর ৫ম তলায় অবস্থিত গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ার এ গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় গ্রাহকের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে খুব সীমিত। কথা হয় এই অফিসে বসে থাকা  বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে আসা একজন গ্রাহকের সাথে। উনি বলেন আমি অনেকক্ষণ যাবত এখানে বসে আছি। এরা (গ্রামীণফোন) সিম নিবন্ধন করছেন না। কেন করছেন না উনার কাছে জানতে চাইলে উনি জানান- সার্ভার নাকি কাজ করছেন না তাই সিম নিবন্ধন উনারা (গ্রামীণফোন) বন্ধ রেখেছেন।

অফিসে দেখা যায় সিম নিবন্ধন কর্মকর্তা মাত্র দু'জন। যা বর্তমান সময় অনুযায়ি একেবারেই সীমিত সংখ্যক। কথা হয় এই অফিসের একজন কর্মকর্তার সাথে। তিনি জানান গ্রাহক সার্ভার কাজ করছে না বলে উপর থেকে আমাদেরকে সিম নিবন্ধন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। উপর থেকে যখন আদেশ আসবে তখন আমরা আবার সিম নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করবো।

করিমউল্লা মার্কেটের ৪র্থ তলায় বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় অফিস কক্ষের তুলনায় গ্রাহকের সংখ্যা অনেক বেশি। অফিসে দু'জনের একটি দল, অফিসের বাহিরে দু'জনের আরেকটি দল সিম নিবন্ধন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কথা হয় একজন সিম নিবন্ধন কর্তার সাথে- উনি জানান আমরা সিম নিবন্ধন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু গ্রাহক সার্ভার ঠিক মতো কাজ করছে না বলে গ্রাহকরা উনাদের মোবাইলে সিম নিবন্ধন কনফার্ম ম্যাসেজ পাচ্ছেন না।

কথা হয় একজন গ্রাহকের সাথে তিনি জানান এক ঘন্টা আগে সিম নিবন্ধন করেছি কিন্তু এখনো কনফার্ম ম্যাসেজ না আসায় বুঝতে পারছি না আমার সিমটি সঠিক ভাবে নিবন্ধন হয়েছে কিনা। তাই অপেক্ষা করছি শিওর হওয়ার জন্য। জানি না কখন শিওর হতে পারবো!

সর্বশেষ একই মার্কেটের ৬ষ্ঠ তলায় অবস্থিত রবি কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে দেখা যায় অফিসের বাহিরে গ্রাহকের হিড়িক। অফিসের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় গ্রাহকে পরিপূর্ণ পুরো অফিস কক্ষটি। কিন্তু এখানে সিম নিবন্ধন কর্তা মাত্র একজন এবং একজন সহকারি। সহকারি লোকটি সম্ভবত অফিস পিয়ন।

কথা হয় একজন গ্রাহকের সাথে- তিনি বলেন আমি এই মাত্র সিরিয়াল নিলাম ১০১ নাম্বার কিন্তু চলছে এখন মাত্র ২৭ নম্বর। সাথে সাথে সহকারি ছেলেটি ২৮ নম্বর বলে ডাকতে লাগলেন।

অফিসের ভিতরের একটি কক্ষ থেকে একজন লোক এসে সবাইকে জানান যারা ৬০ এর পরের সিরিয়াল তারা ৩ ঘন্টা পড়ে আসুন। উনার পোশাকে মনে হয়নি এই অফিসের উনি একজন কর্তা ব্যক্তি।

প্রতিটি কাস্টমার কেয়ারে  দেখা যায় গ্রাহকের তুলনায় সিম নিবন্ধন কর্মকর্তা অনেক কম। যার কারণেই গ্রাহকের ভোগান্তি চরমে। গ্রীষ্মের তাপদাহ আর এই সিম নিবন্ধন ভোগান্তিতে প্রতিটি গ্রাহকের মুখে ক্লান্তির ছাপ।