প্রায় এক যুগ ধরে রাস্তার একাংশ প্রাইভেট কার আর মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের দখলে

নুর ইসলাম রফিক
Published : 27 Nov 2016, 04:03 PM
Updated : 27 Nov 2016, 04:03 PM

মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বাস ভবন হাফিস কমপ্লেক্স এর ঠিক বিপরীত দিক, বঙ্গবীর এমএজি ওসমানী শিশু পার্কের সামনে প্রায় এক যুগ ধরে রাস্থার একাংশ প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের দখলে।

সিলেট মহানগরের অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম ধোপাদীঘির পাড় প্রধান সড়ক। যা সিলেট – তামাবিল সড়ক নামে পরিচিত। সিলেট মহানগরির বন্দর বাজার থেকে সড়কটি চার লেনে হয়ে ধোপাদীঘির পাড়ে অবস্থিত বঙ্গবীর এমএজি ওসমানী শিশু পার্কের শেষের দিকে এসে দুই লেন হয়ে গেছে রাস্তার জায়গার অভাবে। সড়কের চার লেনের অংশে দুই দিকে গাড়ি চলাচল করে। মাঝখানে রয়েছে রোড ডাইভারশন । এই চার লেনের ডাইভারশন সড়কের একেবারে শেষের অংশের দুই লেন প্রায় এক যুগের মতো সময় ধরে দখল করে আছে ধোপাদীঘির পাড় কার-মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড।

সিলেট মহানগরের প্রাণকেন্দ্র বন্দর বাজার থেকে বঙ্গবীর এমএজি ওসমানী শিশু পার্ক পয়েন্টে (মোড়) এসে চার লেনের ডাইভারশন সড়কের চার লেনের এক অংশে চলালচল করে উভয় দিকের আসা যাওয়ার গাড়ি। চার লেনের বাকী দুই অংশ প্রায় এক যুগ ধরে দখল করে আছে ধোপাদিঘির পাড় প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড। এর কারণে শিশু পার্ক পয়েন্টে (মোড়) প্রতিদিন সৃষ্টি হয় দুর্বিষহ যানজট। এই যানজট মাঝে মাঝে তিন দিকের সড়কের দীর্ঘ এক কিলোমিটারেরও অধিক সড়কে ছড়িয়ে যায়। এতে ভুক্তভোগী হতে হয় এই পথে চলাচলরত হাজার হাজার যাত্রী ও পথচারীদেরকে।

বন্দর বাজার থেকে রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটতে থাকা একজন পথচারীর সাথে কথা হয়। উনার কাছে জানতে চাই ফুটপাত থাকতে রাস্তার উপর দিয়ে হাটছেন কেন? তিনি জানান জেল রোড পয়েন্ট (মোড়) থেকে পার্কের গেইট পর্যন্ত ফুটপাত দিয়ে হাটা সম্ভব হয়না মল মূত্রের দুর্গন্ধে। তাই রাস্তার উপর দিয়েই চলাচল করছি। কিন্তু রাস্তার উপর দিয়ে যে খুব সাচ্ছন্দে চলাচল করছি তাও কিন্তু নয়। সিএনজি লেগুনা স্ট্যান্ডের গাড়িগুলি রাস্তার উপর যে ভাবে দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার অর্ধেক জুড়ে, তাতে তো রাস্তার উপর দিয়েও চলাচল করতে কষ্ট হয়।

সিলেট পৌরসভা থাকা কালিন সময়ে এই সড়কটি খুব সরু ছিল। তখনও এই সড়কে চলাচল করা যাত্রীদের যানজটের দুর্বিষহ যন্ত্রণায় ভুগতে হতো। ২০০২ সালে সিলেট পৌরসভা থেকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে পরিণত হওয়ার পর তৎকালীন মেয়র বদরউদ্দিন আহমেদ কামরান এবং স্থানীয় এমপি, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী মরহুম এমএ সাইফুর রহমান এর উদ্যোগে এই সড়কটিসহ সিলেটের অধিকাংশ সড়ক উন্নয়ন করা হয়। সেই সময় পুরাতন সরু সড়কটি ভেঙ্গে চার লেন করা হয় বন্দর বাজার পেপার পয়েন্ট থেকে ধোপাদীঘির পাড় গলির মুখ পর্যন্ত। তাতে বিশাল হাড়ে হ্রাস পায় যানজট ও যাত্রী ভোগান্তি।

সময়ের পরিবর্তনের সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে সব সড়কের মতো এই সড়কেও যান ও যাত্রী চলাচল। বেড়েছে যানজট। আর এই যানজট থেকে মুক্তি পেতে ধোপাদীঘির পাড় কার-মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের দখল করে রাখা রাস্তার একাংশ দখল মুক্ত করা অতি জরুরি। সেই সাথে চার লেন সড়ক দুই লেনের সাথে মিলিত হওয়ার মুখে রাস্তা অনেক ভাঙ্গা ও উঁচুনিচু। যা অতি সত্বর মেরামত ও সমান করে দেওয়া খুব প্রয়োজন বলে মনে করেন এই সড়কে চলাচল করা হাজার হাজার যাত্রী।

ছবি সংগ্রহঃ- গুগল ম্যাপ