ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্ট পেশায় উজ্জ্বল নক্ষত্র জেসিনা সারমিন

নুরুন নাহার লিলিয়ান
Published : 12 Dec 2016, 02:05 AM
Updated : 12 Dec 2016, 02:05 AM

জেসিনা সারমিন। বাংলাদেশে নতুন পেশা ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্টে এক পরিচিত মুখ। অত্যন্ত সাহস আর প্রত্যয় নিয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। তার প্রতিষ্ঠান "এলোমেলো ইন্টেরিয়র" রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত। যা প্রতিনিয়ত খুব দাপটের সাথে গ্রাহক সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

ইন্টেরিয়র পেশার সৌন্দর্য এবং বৈচিত্র্যতায় এখন বাংলাদেশের অনেক ছেলে-মেয়েই এই পেশায় এগিয়ে আসছে। কিন্তু একটা সময় ছিলো যখন মানুষের এই পেশাটা সম্পর্কে ধারণা ছিলো না। কেউ কেউ সকাল ১০টা টু ৫টা তথাকথিত পরিচিত চাকরির পিছনে না ছুটে নতুন পেশাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে অল্প সময়ে সফলপথে এগিয়ে যাচ্ছে। উত্তরার "এলোমেলো ইন্টেরিয়র" এর কর্ণধার জেসিনা সারমিন তেমনি এক সৃজনশীল ব্যবসায়ী নারী ব্যক্তিত্ব।

যিনি অত্যন্ত পরিশ্রম, মেধা আর সৃজনশীলতার পথ ধরে তার পেশাকে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। দিনে দিনে এখন মানুষ ঘর-বাড়ি অফিস সাজানোর জন্য অভিজ্ঞ ফার্মগুলোর কাছে যায়। জেসিনা সারমিনের সাথে ফেসবুক আলাপচারিতায় জানা যায় তার পেশাগত সংগ্রাম এবং সফলতার কথা। ২০০৬ সালে তিনি ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্ট বিষয়ে বিএ অনার্সে ভর্তি হয় শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে। পড়াকালীন সময়েই ২০০৮ সালে জব নেন। তারপর ২০১০ সালে শেষ করেন তার পড়াশুনা। তারপর ২০১১ সালে তিনি পুরোদুস্তর নিজের ব্যবসা শুরু করেন। রাজধানীর উত্তরায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান "এলোমেলো ইন্টেরিয়র" কে ঘিরে তার সৃষ্টিশীল জগৎ। তিনি মনে করেন আগে ডিজাইন পরে ব্যবসা। ডিজাইনের বৈচিত্র্যতায় কোন কম্প্রোমাইজ করেন না। গাজীপুরে নিজের জমিতে করা তার একটি ফার্নিচার কারখানা আছে। যা অনলাইনে সার্ভিস দেওয়া হয়।


২০১১ থেকে ২০১৬ সালের এই অল্প সময়ে তিনি ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বেশ অনেকগুলো কাজ করে প্রশংসা অর্জন করেছেন। খুব দ্রুতই তার প্রতিষ্ঠান নিজ গুণে পরিচিত গন্ডি পেরিয়ে সম্প্রসারণ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়।

তার প্রতিটি ডিজাইনিংয়ে আলাদা বৈচিত্র্যতা এবং নান্দনিকতা থাকায় খুব সহজেই গ্রাহক আগ্রহ প্রকাশ করে। তিনি শুধুই ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয় সৃজনশীলতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন।

তিনি ভবিষ্যতে সুবিধা বঞ্চিত এবং শিশুদের নিয়ে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন। তার সৃজনশীল পৃথিবী "এলোমেলো ইন্টেরিয়র" যেনো আরও দ্রুততর উপায়ে গ্রাহক সেবা পেতে পারে তাই আধুনিকায়ন এবং ডিজিটাল করার প্রয়াসে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি এই সময়ে যারা "ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্ট" আসতে আগ্রহী তাদের উদ্দেশ্যে বলেন অনেক সম্ভবনা এবং সুযোগ প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে। সময় এবং সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। তাহলেই এই পেশায় সাফল্য পাওয়া যাবে।

এটি একটি সৃজনশীল মুক্ত পেশা। এখানে স্বাধীনতা আছে সুন্দর স্বপ্ন দেখার। কোন বাঁধা ধরা নিয়ম সৃষ্টিশীলতা কে আটকাতে পারে না। শুধু একাগ্র প্রচেষ্টা, ধৈর্য আর পরিশ্রম সব স্বপ্ন কে হাতের মুঠোয় এনে দিতে পারে। তিনি আরও বলেন বর্তমান প্রতিযোগিতা মূলক পৃথিবীতে ভালো ইউনিভার্সিটি এবং তথাকথিত ভালো সাবজেক্ট এ পড়াশুনা করে একটা টিপিক্যাল চাকরি করে জীবন পার করার সময় অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে। এই প্রজন্ম অনেক বেশি আধুনিক, সাহসী এবং স্বাধীন চিন্তা করে। তাই নতুন নতুন চিন্তা ক্যারিয়ারের পথকে আরও অনেক বেশি প্রসারিত করছে। যেকোন সৃষ্টি সময় আর জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে সময় এবং ধৈর্য ধরতে হয়। আর যে এই বিষয়গুলো মুখোমুখি হয়ে পরিশ্রম করবে এবং সৃষ্টিশীল জগৎকে সমৃদ্ধ করবে, সফলতা সরবেই এসে ধরা দিবে।

আশাকরি বাংলাদেশ দ্রুতই বেকার এবং দারিদ্র থেকে মুক্ত হবে। নতুন নতুন স্বপ্ন সম্ভাবনায় উদ্ভাসিত হবে। নারী উদ্যোগক্তা জেসিনা সারমিনের প্রতি বিডিনিউজ ব্লগ পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক শুভ কামনা রইলো। তার সৃষ্টি ছড়িয়ে পড়ুক দেশ থেকে বিশ্বময়।

পাঠকদের জন্য "এলোমেলো ইন্টেরিয়র" এর কাজ সম্পর্কে দুটি ভিডিও সংযুক্ত করা হলো।

ভিডিও লিংক-

বি:দ্র: জেসিনা সারমিনের "এলোমেলো ইন্টেরিয়র" এর কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তার ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করার সুযোগ আছে।

https://www.facebook.com/elomelointerior/?pnref=lhc

https://www.facebook.com/elomelo.bd/?pnref=lhc।

নুরুন নাহার লিলিয়ান
নির্বাহী সম্পাদক
মহীয়সী নারী বিষয়ক নিউজ পোর্টাল।