জঙ্গিবাদকে আমি পেট্রোডলারের ন্যায় জঙ্গি ডলারের রাজনীতি দিয়ে দেশীয় পরিসরে একে বুঝতে চাই না। কৌশল কিংবা এ্যাপ্রোচ যাই হোক না কেন,আপনি জাতি রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান জঙ্গীবাদের উপাদান সমূহকে কিভাবে এড়িয়ে গিয়ে একে বিনাশ করবেন? টেক্সট এর নির্মান থেকে বিনির্মিত কথিত হোক বা তথাকথিত জঙ্গিবাদের উপস্থিতি তো আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না, যা আজ মহীরুতে পরিণত হয়েছে?
(বি.দ্র: মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন সর্ম্পকিত লেখাগুলো পড়তে পড়তে এমন একটি প্রশ্নই এখন মাথায়- তবে কি আমাদের জাতি রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়ায় কোথাও ভুল ছিল?)
দেশিয় পরিসরে জঙ্গিবাদকে আমি বাঙালি জাতীয়তাবাদের উদ্ভবের সাথেই দেখতে চাই এবং একে টেক্সট হিসেবে যদি আমি বিবেচনা করি। তাহলে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পূর্বাপর সময়ে অনেক বিদগ্ধজনের লেখায় জঙ্গি নামক শব্দটির সরব উপস্থিতি পাই। কেন? তাহলে কি আমাদের মননে সেটির উপস্থিতি ছিল বাঙালি জাতীয়বাদের সূচনা লগ্ন হতেই? বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গিবাদ চাষাবাদের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুতকরণ, বীজ বপন কি আমরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় করে আসিনি? ফলে ফসল তো এখন ঘরে তুলতেই হবে?
জঙ্গিবাদ – আজকের এই চর্চিত বিষয়টির চর্চা কিংবা প্রয়োগ বন্ধ করার জন্য আমাদের গোড়ায় হাত দিতে হবে? শুরুটা হবে কোথা হতে–সংবিধান. অর্থনৈতিক ন্যায্যতা, সাংস্কৃতিক আন্দোলন নাকি বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের চর্চা হতে? শুরুটা যেখান হতেই হোক না কেন,শুরুটা করতে হবে রাজনীতিবিদদেরই এবং অবশ্যই রাষ্ট্রীয় উদ্যোগেই। কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদগণ আদৌ এটা চায় কিনা, প্রশ্ন এটাই এবং মিলিয়ন ডলারের প্রশ্নটির উত্তর জাতি হয়তো পাবে কিন্তু বাস্তবায়ন, সে কি সুদূর পরাহত যুগে যুগে আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই ? তাই Michael Tussig এর 'what color is the sacred' তত্বের আলোকে জঙ্গীবাদকে বির্নিমান করা যেতে পারে কি না – প্রশ্নটি আমার?