বর্ষায় জোছনা রাতে নৌকা ভ্রমনের ফিলিংস কেমন তা আশুলিয়া আর মেঘনা ঘাটে পাওয়া যাবে না । বেরিয়ে পরেন যেকোনো একদিন… ভরা পূর্নিমা থাকবে, অনেক দূরে কোথাও চলে যাবেন নৌকা নিয়ে। আমার মত আকামলা হলে নৌকা চালানোর জন্য কাউকে সাথে নিয়ে নিয়েন। জাস্ট একটু ইমাজিন করেন, নৌকা চলছে আকাশে শ্রাবনের মেঘ মাঝে মধ্যে চাঁদটাকে একটুর জন্য আড়াল করছে আবার চাঁদের আলোতে চারদিক ফকফকা হয়ে ঊঠছে ! নৌকার বৈঠায় পানির টলমল শব্দ ! কিছুদূর যাওয়ার পর ই দেখলেন নীল আর সাদা শাপলা ফুলে ভরপুর !! মন ইচ্ছা মত শাপলা তুলতে থাকলেন ! আর যদি নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পারেন তাহলে পানিতে লাফ দিয়ে নেমে পরলেন শালুক তোলার জন্য ! ! অহ হ্যা, কখনো কাঁচা শালুক খেয়েছেন ?? শুধু কাঁচা শালুক না, শাপলা ফুলের কাচা ডগা ও খেয়েছি !! হাজার বছর ধরে উপন্যাসের "মন্তু আর টুনির" মত জোছনা রাতে বের হওয়ার চিন্তা করলে জীবনেও জোছনা রাতে নৌকায় ভ্রমন হবেনা । এই টাইপের ভ্রমন আর মধ্য রাতে শাপলা তুলা সম্ভব যদি আপনি একদল বন্ধু নিয়ে আপনার কাছের কোনো বন্ধুর গ্রামের বাড়িতে বর্ষাকালে বেড়াতে যান ।
স্কুলে পড়ার সময় কাজিন আর আশেপাশের বন্ধুরা এই টাইপের দুই তিনটা নৌকা ভ্রমনে গিয়েছিলাম । ২০০৩ – ০৪ সাল ছিলো বলেই হয়তো "লাইফ ইজ অউসাম উইথ জার্নি ভাই ভুট " স্ট্যাটাসটা দিতে পারিনি !! এখন যখন গ্রামে যাই তখন মাঝে মধ্যে বন্ধুদেরকে প্লান বানাতে বলি, কিন্তু বন্ধুদের একটাই কথা বর্ষায় যদি জমিতে পানি না থাকে তাইলে তুই বৈঠা দিবি কোথায় !!! নিজের সাথে সাথে ক্লাইমেটের ও যে এইরকম পরিবর্তন হবে সেটা হয়তো জানা ছিল না । আমি এখনো অপেক্ষায় আছি … যেই সিজনেই এলাকায় পানি হবে সেই সিজনেই ঘুরতে বেরিয়ে যাবো 🙂 প্রাকৃতিক জীবন, জোছনা রাত আর পানির টলমল শব্দে নৌকা ছুটে চলার সাথে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার নাম ই আমার কাছে অউসাম লাইফ 😀
~~ মাসুম রান ।