আইনের চোখেঃ যেসব আচরণ যৌন হয়রানির মধ্যে পড়ে

প্রবীর বিধান
Published : 22 August 2015, 04:13 PM
Updated : 22 August 2015, 04:13 PM

সংবিধান ও নানা আইন সম্পর্কে ধারণা থাকলে দেশের নাগরিক হিসেবে আইনি সহায়তা নেবার আগ্রহ ও সাহস জন্মায়। কয়েকটি আইন ও নারী উন্নয়ন নীতিতে নারীর প্রতি যৌন হয়রানি রোধে বেশকিছু নির্দেশনা আছে। আপনি বা আপনার পরিচিত অনেক নারীই এ ধরণের সমস্যায় পড়ছে প্রতিনিয়ত।

আপনার টাকা-পয়সা বা রাজনৈতিক ক্ষমতা না থাকলেও থানায় গিয়ে আপনি আইনের সহায়তা চাইতে পারেন। বিফল হলে আদালতে গিয়েও মামলা করতে পারেন।

# ধারা -৭৬, ঢাকা মহানগরী পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬

যদি কেহ কোনো রাস্তায় বা সাধারণের ব্যবহার্য স্থানে বা সেখান হইতে দৃষ্টিগোচরে স্বেচ্ছায় এবং অশালীনভাবে নিজ দেহ এমনভাবে প্রদর্শন করে যাহা কোনো গৃহ বা দালানের ভিতর হইতে হউক বা না হউক, কোনো মহিলা দেখিতে পায়, অথবা স্বেচ্ছায় কোনো রাস্তা বা সাধারণের ব্যবহার্য স্থানে কোনো মহিলাকে পীড়ন করে বা তাহার পথ রোধ করে অথবা রাস্তায় বা সাধারণের ব্যবহার্য স্থানে অশালীন ভাষা ব্যবহার করিয়া অশ্লীল আওয়াজ, অঙ্গভঙ্গি বা মন্তব্য করিয়া কোনো মহিলাকে অপমান বা বিরক্ত করে, তবে সেই ব্যক্তি এক বৎসর পর্যন্ত মেয়াদের কারাদন্ড অথবা দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাদন্ড অথবা উভয় প্রকার দন্ডে দন্ডনীয় হইবে।

# ধারা-৩৫৪, দন্ডবিধি, ১৮৬০

যে ব্যক্তি কোনো নারীর শালীনতা নষ্ট করিবার অভিপ্রায়ে বা সে তদ্দারা তাহার শালীনতা নষ্ট করিতে পারে জানিয়া তাহাকে আক্রমণ করে বা তৎপ্রতি অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ করে সেই ব্যক্তি যেকোনো বর্ণনার কারাদন্ডে-যাহার মেয়াদ দুই বৎসর পর্যন্ত হইতে পারে বা অর্থদন্ডে বা উভয়বিধ দন্ডে দন্ডিত হইবে।

#ধারা-৫০৯

যে ব্যক্তি কোনো নারীর শালীনতার অমর্যাদা করিবার অভিপ্রায়ে এই উদ্দেশ্যে কোনো মন্তব্য করে, কোনো শব্দ বা অঙ্গভঙ্গি করে বা কোনো বস্ত্ত প্রদর্শন করে যে উক্ত নারী অনুরূপ মন্তব্য বা শব্দ শুনিতে পায় বা অনুরূপ অঙ্গভঙ্গি বা বস্ত্ত দেখিতে পায়, কিংবা উক্ত নারীর নির্জনবাসে অনাধিকার প্রবেশ করে, সেই ব্যক্তি বিনাশ্রম কারাদন্ডে-যাহার মেয়াদ এক বৎসর পর্যন্ত হইতে পারে বা উভয়বিধ দন্ডে দন্ডিত হইবে।

# ধারা-১০, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)

যদি কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তাহার শরীরের যে কোন অঙ্গ বা কোন বস্ত্ত দ্বারা কোন নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন বা কোন নারীর শ্লীলতাহানী করেন তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে যৌন পীড়ন এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক ১০ বৎসর কিন্তু অনূন্য ৩ বৎসর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন।

যৌন সন্ত্রাসীদের থামাতে হবে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে।