জঙ্গি না, শিবির না, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রগতিশীল নাস্তিক বাউল গবেষক অধ্যাপক সফিউলকে খুন করেছিল যুবদলের নেতা-কর্মীরা! আসল খুনীদের রক্ষা করতে মরীয়া পুলিশ এবার র্যাবের তত্ব গিলতে বাধ্য হলো।
অভিযোগপত্রে গোলমাল আছে বলেই গত মাসের ৩০ তারিখে লুকোচুরি করে তা জমা দেয় পুলিশ। ১২ই ডিসেম্বরে তা আদালতে গৃহীত হবার পর পুলিশ আজ কোন এক রহস্যজনক কারনে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করতে বাধ্য হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিভাগের সেকশন অফিসার নাসরিন আক্তার রেশমা নাকি স্বীকার করেছেন যে তিনি ও তার স্বামী, যুবদল নেতা পিন্টু, মিলে নাকি খুনের পরিকল্পনা করেছিল।
অথচ ঢাকা ট্রিবিউনের সাথে দেয়া সাক্ষাতকারে রেশমা বলেছিলেন তিনি স্যারকে চেনেন না, কখনো দেখা হয়নি। এমনকি পুলিশ গত বছর ১৫ই নভেম্বরে খুনের পর তদন্তে পেয়েছিল যে রাবি শিবিরের নেতা-কর্মীরা এর সাথে জড়িত। কিন্তু প্রথম থেকেই র্যাব যুবদলের সাথে খুনের ঘটনা মেলাতে উঠেপড়ে লাগে।
মাঝে মাঝে ঘৃনাবোধ হয় এদেশে জন্মেছি বলে, এদেশেই থাকতে হয় বলে!