দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার গদিতে বসতে ব্যাকুল খালেদা জিয়া মাঝে মাঝে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীদের মতো ঘোষনা দেন, তবু তার বিরুদ্ধে মামলা হয়না, গ্রেপ্তার তো দূরে থাক। এভাবে ভয়ঙ্কর বক্তব্য দিয়ে তিনি দলের নেতা-কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন। বিশেষ করে যারা ট্যাকাটুকা কামাতে পারছেনা।
সর্বশেষ, নতুন বছরের প্রথম দিনে তিনি বলেছেন: "খুব শিগগিরই দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এ সরকারের বিদায় হবে।"
তার ডেপুটি ফখরুল বলেছেন এই সরকারকে বিতাড়িত করে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে।
এদিকে সরকারকে সরিয়ে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতায় বসতে চায় বিএনপি-জামায়াতের বন্ধুপ্রতীম জঙ্গি গ্রুপ ও ইসলামী দলগুলো।
এরা ক্ষমতার জন্য কতটা মরীয়া হতে পারে তা ২০০৯ থেকেই, বিশেষ করে ২০১৩ থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।
অন্যদিকে আওয়ামীলীগের স্বেচ্ছাচার আর অনিয়ম-দুর্নীতিতে বিরক্ত আপাতঃ নিরপেক্ষ ব্যক্তি ও সংগঠনগুলো সহিংস না হলেও সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ্যেই প্রকাশ করছে।
তাহলে তো ছক মিলেই গেলো। মানে কারা কি করছে এবং কেন করছে।
আশ্চর্যের বিষয় এই যে, দেশে-বিদেশে আওয়ামীলীগ-বিরোধীরা একাট্টা হয়ে কাজ করেও সরকারের ভিত্তি নাড়াতে ব্যর্থ হচ্ছে!
যাই হোক, খালেদার বাকপটুতায় তার দলের ঝিমিয়ে পড়া নেতা-কর্মীরা আশাবাদী হলেও জনগনের সুখী হবার কিছু নাই।
গদির জন্য কামড়া-কামড়ির রাজনীতি কি এদেশে বন্ধ হবেনা?