র‍্যাগিংঃ একটি অমানবিক বিনোদন মাধ্যম

প্রবীর বিধান
Published : 7 Feb 2016, 06:58 PM
Updated : 7 Feb 2016, 06:58 PM
র‍্যাগিং দেখেছিলাম ২০০০ সালের নভেম্বরের কনকনে শীতের রাতে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
নিজের হলে জায়গা না পেয়ে অচেনা আরো দুইজনের সাথে অন্য হলের একটা রুমে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। রাত দুইটা/তিনটার দিকে চিল্লাপাল্লা শুনে যখন ঘুম ভাংলো দেখি তিন/চারজন লোক আমাদের ডাকছে।
আমাদের চোখ কচলা-কচলি অবস্থা দেখে তারা খুব হাসছিল। আমাদের পরিচয়, বিভাগ, হলের কথা জিজ্ঞেস করেছিল। বেশিক্ষন না, কয়েক মিনিট। আর মনে নেই।
পরে বুঝেছিলাম এরা একটু অন্যরকম বড় ভাই ছিল। কেননা চারপাশে আরো অনেকেই তাদের হলে, বিভাগে বা আড্ডার জায়গায় র‍্যাগ খেয়েছিল বাজেভাবে, নানা অজুহাতে। সেইসব বাজে র‍্যাগিং-এর সাথে যারা জড়িত ছিল তারা সবাই রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, যারা নিজেদের ছাত্র ভাবতে পারেনা; ভাবে তারা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক টাইপের কিছু একটা। তবে সেটা শুধুই শাসন করার সময়; এদের কাছে কোন সহযোগিতা পাওয়া দুষ্কর ছিল।
পদে পদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অমানবিকভাবে হেনস্তা করাই তাদের রাজনৈতিক কর্তব্য বলে মনে হতো।
আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারনে বুঝতেই পারিনি র‍্যাগিং একটা অপরাধ। নাহলে হয়তো ভুক্তভূগীদের বলতাম আইনের সাহায্য নিতে। পরিচয় যাই হোক, অমানুষদের আইনের আওতায়া আনা প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের দ্বায়িত্ব।
নোটঃ আমি যাদের দ্বারা র‍্যাগিং-এর শিকার হয়েছিলাম তারাও তখনকার সরকারদলীয় কর্মী ছিল, কিন্তু লাফাঙ্গা টাইপের কিছু না। এদের সাথে পরে অনেক সহজ সম্পর্ক হয়েছিল।