জামায়াত-এ-ইসলামি, হোক সে ভারত, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের, যুদ্ধাপরাধের বিচারের মুখোমুখি গোলাম আযম গং-কে বাঁচাতে চেষ্টা তারা করবেই। তাই আজকের প্রকাশিত খবরে খুব বেশি অবাক হইনি।
নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী, কামারুজ্জামান আর কাদের মোল্লারা তাদের বস-এর সমকক্ষ না হলেও মুক্তিযুদ্ধের আগে, চলাকালীন সময়ে ও পরে তার নেয়া সিদ্ধান্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পালন করার মহান দায়িত্ব পালন করেছে।
এই ৫জন ও ২জন বিএনপি নেতার (সা কা চৌধুরী ও আব্দুল আলীম) দোষ নেই, তারা যুদ্ধাপরাধী না, এদের মুক্তি দিতে হবে ইত্যাদি বলে জামাতের রাজনৈতিক শরিক বিএনপি'র খোদ প্রধানই এক উন্মুক্ত জনসভায় দাবি জানিয়েছে। যদিও বিএনপি-ই আসলে জামাতের চেয়ে বড় দল।
যাই হোক, উমারি'র বক্তব্য ক্ষুরধার কেননা সে বলেছে "সত্য ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করলে নেতারা দেশের ও বিশ্বের মানুষের কাছে সম্মান পায় কিন্তু ঠিক তার উল্টোটা করলে, মানে অবিচার, অত্যাচার করলে, তা সরকারের ভিত্তি নাড়িয়ে দেয় এবং মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা কমে যায়।"
পাশাপাশি উমারি সাবধান করে বলেছে, "এসব ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে মরক্কো, তিউনিশিয়া, কায়রো, লিবিয়া, সিরিয়া ইত্যাদি দেশের রাষ্ট্রনায়করা তাদের জনগনের উপর অত্যাচার-নিপীড়ন চালানোর কারনে দিন শেষে তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে।" [মনে পড়ে যাচ্ছে খালেদা সেদিন বললেন গন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাছাড়া করবে আওয়ামী লীগকে]।
জামায়াত-এ-ইসলামি হিন্দ মনে করে ভারতের সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন যারা মুসলিম বিশ্বের ঘটনাবলীর দিকে নজর রাখছে, তারা জানে যে জামাত নেতাদের এই বিচারে কারচুপি হবে এবং তারা ন্যায়বিচার পাবেনা কেননা এই বিচার হবে প্রতিহিংসামূলক।
[এই বক্তব্য জামাত-বিএনপি'র সাথে পুরো কমন পড়ে গেল কিভাবে!!!]
বক্তব্যের শেষে উমারি আশা করে বলেছে এদের মুক্তি দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকার যেন প্রমান করে যে তারা ন্যায়বিচারপ্রেমী জাতি।
[আমার মতে আ লীগ সরকার মোটেও গনতন্ত্রমূখী নয়, তারা অত্যাচারী ও একমূখী। বিরোধী দলের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাদের আন্দোলন করতে দিচ্ছেনা, দিবেনা। কিন্তু যুদ্ধাপরাধের বিচারে একরোখা আ লীগকে আমি সাপোর্ট করি। কোন কারনেই এই বিচার বন্ধতো দূরে থাক, দেরী করা যাবেনা। সবগুলা রাঘববোয়ালকে ফাঁসি দিতে হবে।]