আমাদের দেশে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনার হার বেড়েই চলছে। প্রতিদিন আমরা টিভি খুললে বা পেপারের পাতা উল্টালে অসংখ্য সড়ক দুর্ঘটনার খবর দেখি বা পড়ি। দুর্ঘটনা বন্ধ করার জন্য আমাদের সরকার যদি কিছু সাধারণ উদ্যোগ নেয় তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে লোপ পাবে,এবং রক্ষা পাবে অনেক তাজা এবং মেধাবী জীবন।
আমি যেহেতু ঢাকা শহরে থাকি তাই ঢাকা শহরের কিছুটা উদাহরণ তুলে দিচ্ছি । আমার উদাহরণগুলি অনেক সাধারণ কিন্তু আমরা যদি তা মেনে চলি তাহলে দুর্ঘটনা কিছুটা হলেও লোপ পাবে।
ঢাকা শহরে অধিকাংশ মানুষের যাতায়তের মাধ্যম হল বাস,টেম্পু,সিনজি আর ইদানীং ব্যাঙের ছাতার মতো রাস্তায় চলছে অসংখ্য নাম্বারবিহীন মোটরসাইকেল। আর যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তাদের আছে ব্যাক্তিগত গাড়ি।
প্রতিদিনকার সড়ক দুর্ঘটনার জন্য যেমন চালক দায়ী তার সাথে অনেকাংশে আমাদের সাধারণ জনগণের ও কিছুটা দোষ আছে বৈকি।
ঢাকা শহরের অধিকাংশ বাস,সিনজি বা মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই বা যানবহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই। বি,আর,টি,সির কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে তারা জাল লাইসেন্স বা ফিটনেস সার্টিফিকেট বের করে তারা রাস্তাতে গাড়ি চালিয়ে থাকে। এছাড়া পুরোনো ক্রুটিপূর্ণ বা মেয়াদহীন গাড়িতে ঢাকা শহর ভর্তি।
অধিকাংশ গাড়ির চালক ট্র্যাফিক আইন সম্পর্কে কিছু জানে না এক কথায় অজ্ঞ, নিয়ম না মেনে গাড়ি পারকিং কে কার আগে যাবে তার প্রতিযোগিতা,লেন না মানা,ট্র্যাফিক সিগন্যাল অমান্য করা,অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, সাধারণ মানুষের হাঁটার রাস্তাতে মোটরসাইকেল চালানো,গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা আরো কতো কি।
আর সাধারণ মানুষের দোষ আমরা ফুটওভার ব্রীজ থাকতেও আমরা তার যথাযত ব্যাবহার না করে তাড়াতাড়ি রাস্তা পাড় হওয়ার জন্য ট্রাফিক সিগন্যাল না মেনে চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা পাড় হওয়ার চেষ্টা করি ফলাফল যা হওয়ার তা হয়। অনেক সময় রাস্তা পাড় হওয়ার সময় আমরা মোবাইল ফোনে কথা বলি আরো অনেক কিছুতো আছেই।
আমাদের সরকারের উচিৎ ঢাকা থেকে মেয়াদউত্তীর্ণ পাবলিক বাস বা গাড়ি বা যে কোন যানবহন উঠিয়ে দেওয়া,এবং সরকারীভাবে বেশী বেশী করে ভালো নতুন মডেলের বাস আমদানি করা।
আর যাদের ব্যাক্তিগত বাস বা যাত্রী পরিবহনকারী যানবহন আছে তাদের জন্য সরকারী ভাবে লোনের ব্যাবস্থা করে দেওয়া। যেন তারাও নতুন করে উদ্যমী হয়ে ভালো মানের যাত্রী পরিবহনকারী যানবহন রাস্তাতে নামায়।
তাহলে প্রতি বৎসর আমাদের কারো বাবা কারো মা কারো ভাই বা কারো বোন বা কারো ছেলে বা কারো মেয়ে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবে । সাথে সাথে আমাদের নিজ সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।