জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রেল ক্রসিং পার হন বেশিরভাগ বাইক চালক-পথচারি

রিফাত কান্তি সেন
Published : 24 July 2016, 08:52 AM
Updated : 24 July 2016, 08:52 AM

রেল আসার কয়েক মিনিট আগেই সিগনাল বাতি জ্বলতে থাকে হরন বাজিয়ে। রেল গেইট ও বন্ধ থাকে। রিকশা, গাড়ি বিরত রাখা গেলেও শুধু বিরত রাখা যায় না দু'চাকার যান মোটরবাইক, সাইকেল আর চলতি পথের পথচারিদের। রেল গেইটের পাশ ঘেঁষে অল্প জায়গাটুকুকে অবলম্বন করে রেল ক্রসিং অতিক্রম করে তারা। সেকেন্ডের মধ্যেই ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। চাঁদপুরে প্রতিদিন মেঘনা, সাগরিকা, ড্রেমো, লোকাল ট্রেনের চলাচল। শুক্রবার ড্রেমো ট্রেনটি চলাচল বন্ধ থাকে।

জীবনের ঝুঁকি জানা সত্তেও পথচারীরা অবৈধ ভাবে রেল গেইট পারাপার হন। কেনো এমন ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার হন সেটা তারাই ভাল জানেন। তবে অনেকে বলেন এত সময় অপেক্ষার সময় নাই, তাই রেল গেইট আটকানো অবস্থায় ও পাশের ফাঁকা জায়গা দিয়ে পারাপার হই আর কি!

দৃশ্যটি কোন সিনেমার দৃশ্য নয়। রাতে ট্রেন আসার কয়েক সেকেন্ড আগের দৃশ্য। দৃশ্যটি ধারন করা হয় ছায়াবানীর মোড় রেল গেইট থেকে। যখন রেল গেইটের দুটোই আটকে দেয়া হলো এবং সিগনাল বাতি হরন সহ বাজতে লাগলো তখনও সচেতন নন উক্ত বাইক চালক পথচারি।

গেইটের পাশের ছোট্ট জায়গাটুকুকে অবলম্বন করে তিনি ঢুকে পড়েছেন রেল লাইনের মাঝে। মাথায় হেলমেট ও বাইকের আওয়াজের জন্য হয়তো ট্রেনের গন্তব্যও টের পাওয়া সম্ভব নয়। সেকেন্ডের মধ্যেই তিনি বিরাট একটি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারতেন।

এখন প্রশ্ন রেল প্রশাসনের এত সাবধানতা অবলম্ভন করা সত্তেও কেনো সচেতন হচ্ছেন না এইসব মানুষগুলো। তাদের সময়ের চাইতে কি জীবনের মূল্য কম? নাকি খামখেয়ালিপনা? হয়তো একজনের দেখা দেখি অন্যরা ও এসব বেআইনি পথ বেছে নিতে পারে। একটু সময় বাঁচানোর জন্য নিজের মূল্যবান জীবনটুকু হারাতে পারেন তারা। অচিরেই প্রশাসন এর কঠোর ব্যবস্থা নিবেন এটাই সচেতন পথচারীদের প্রত্যাশা।

লেখকঃ সাংবাদিক
সুদিপ্ত চাঁদপুর।
এইবেলা.কম।
বিডিনিউজ ব্লগ।