চাঁদপুরে মাদক ব্যবসায়ীদের আতংকের নাম ডিবি পুলিশের এস,আই ইসমাইল খন্দকার

রিফাত কান্তি সেন
Published : 27 July 2016, 06:59 PM
Updated : 27 July 2016, 06:59 PM

চাঁদপুরে মাদক ব্যবসায়ী আর অপরাধীদের আতংকের নাম ডিবির এস,আই ইসমাইল খন্দকার।ইসমাইল খন্দকারের সাফল্য নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন।

একাই জেনো একশ-মাঝে মাঝে ডন নাম্বার ওয়ান কিংবা ভারতীয় সিরিয়াল সি আই ডির মত-আবার কখনো ভারতীয় সিংগাম ছবির অজয় ভৌমিকের মতই অসম্ভব কে সম্ভব করে চলেছেন চাঁদপুরের ডিবি পুলিশের এস আই ইসমাইল খন্দকার।

মাদক ব্যবসায়ী-সেবীদের আতংকের নাম হয়ে দাড়িয়েছেন তিনি।এমন কি ভয়ংকর কিছু মামলার হ্যান্ডেলিং করে ও আইনের আওয়াত আনতে সক্ষম হয়েছেন। মাদক উদ্ধারে ও সাহসিকতায় তার শ্রেষ্ঠত্তের জন্য চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জনাবা শামসুন্নাহার কতৃক ১৪ বার পুরস্কারে ভূষিত হন।জেলার শ্রেষ্ঠ এস,আই এর উপাধি ও তিনি অর্জন করেন।

তার উল্ল্যেখযোগ্য অভিযান গুলো হলোঃ-
চাঞ্চল্যকর রুবী হত্যা মামলায় পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার তাকে তদন্তের ভার দেন।দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামী ধরে আইনের আওতায় আনতে তিনি সফলও হন। সাহসীকতার পুরস্কার স্বরুপ জীবন -মৃত্যুর সন্ধিক্ষন থেকে বেছে ফিরা এবং আসামী ধরতে সফল হওয়া সেই বিভৎষ ঘটনার তার জীবনের উল্ল্যেখযোগ্য।কয়েকদিন আগে ফরিদগঞ্জের ৮নং পাইকপাড়া ইউ,পি নির্বাচনে অস্ত্রসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে তিনি সমর্থ্য হন।তবে অল্পের জন্য সন্ত্রসীর ছোড়া গুলি লাগে নি তার মাথায়। সেকদির বিখ্যাত মাদক ডিলারকে গ্রেফতার,শাহারাস্তির বিখ্যাত মাদক ডিলারদের গ্রেফতারে তার সাহসিকতার তুলনা হয় না।

এছাড়া মানবাধিকার ও আইন-শৃঙ্খলার বিশেষ অবদানের জন্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আওয়ামীলীগ জনাবা এ্যাড সাহারা খাতুন কতৃক বিশেষ সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ-ক-ম মোজাম্মেল হক কতৃক আইন শৃঙ্খলা ও জনগনের সহিত সু আচরনের জন্য ক্রেষ্ট লাভ করেন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারী ২০১৪ সালে চাঁদপুরের ডিবি পুলিশের সাথে যুক্ত হন ইসমাইল। গত ০১-০৭-১৫ থেকে ২৪-০৬-১৬ পর্যন্ত তার অভিযানে ৬৫ টি মামলা,গ্রেফতার ৮০,ইয়াবা উদ্ধার ৮১৫৬ কেজি,গাঁজা ৪১ কেজি,ফেন্সি ৪৩ বোতল,এ্যাম্পল ইনজেকশন ১৬০ মোট ৪৮,৯৬,০০০ টাকার মাদক উদ্ধার করা হয়।যা কিনা তার একক সাফল্য।

সকল ডিবি পুলশ মিলে মামলা ১৪৬,আসামী ১৮০জন,ইয়াবা ১৮৬৭০ পিস,গাঁজা ১৫০ কেজি, ফেন্সি ৩৩৭ বোতল,এ্যম্পল ২২৫। এর আগে সন্ধিপ,রাঙ্গামাটি,চিটাগাং সি,এম,পি- নোয়াখালী রাঙ্গানীয়া থানায় কর্মরত ছিলেন।

সেখানে ও সম্মানের সহিত সাহিসতা দেখিয়েগিয়েছিলেন তিনি। রাঙ্গোনিয়া থানায় থাকাকালে Ak47 সহ দেশীয় বন্ধুক ও বিপুল পরিমান এল,জি সহ ডাকাত গ্রেফতার করে প্রশংসিত হন।
আইজি ব্যাচ পদক লাভ করেন।জি এস মার্ক ২০০ এর বেশী অর্জন।

ইসমাইল খন্দকার ১৯৬৯ সালের জানুয়ারী মাসের ১ তারিখ কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট উপজেলার মননারা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। ছোট বেলা থেকে ই চঞ্চল প্রকৃতির ছিলেন তিনি।গ্রামের মেঠোপথ মাড়িয়ে বেড়ানো ছিলো তার নিত্যনামিত্ত কর্ম। তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে মেজ ছিলো সে।

১৯৮৭ সালে এস,এস,সি/১৯৮৯ সালে এইস,এস,সি/৯৪ তে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ২০০০ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এক ছেলে এক মেয়ের জনক তিনি।

একান্ত কথা হয় তার সাথে তিনি বলেন ভয়কে জয় করতে আমি সদা প্রস্তুত। এদেশটা তো আমাদের তাই না,মাদক নির্মূলে আমি সর্বচ্চ চেষ্টা করে যাবো ইনশাল্লাহ।

ইসমাইল খন্দকার এক জনপ্রিয় নাম।চাঁদপুরের মাটি ও মানুষের কাছে প্রিয় এই ব্যক্তি নিজের গ্রামে ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে।নিজের গ্রামের স্কুল ও দারিদ্র শিশুদের সাহায্যর্থে তার অবদান অনিশিকার্য। প্রতি ঈদে এতিম শিশুদের পাশে ও দাড়ান এই গুনী ব্যক্তি।

সব কর্মে ই তিনি সহনশীল- মজার বসে বলে ফেললেন কি কাজ দেবেন ভাই শুধু বিমান আর লঞ্চ চালানো ছাড়া সব চালিয়ে দেবো।

এখনো প্রতিদিন ই তার এই মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তার সবচেয়ে সাহসী,বুদ্ধিদিপ্ত সৈনিক রবিউল ও তার সাফল্যের অংশীদার। বেশীরভাগ অভিযানে ই এই সাহসী, বুদ্ধিমান ডিবি কনস্টেবল রবিউল কে ব্যবহার করা হয়েছে।

রবিউলকে দিয়ে অনেক সময় অনেক ঝুঁকির কাজ করানো হয়।রবিউল খুব দক্ষতার সাথে সে কাজ করতে সমর্থ্য ও হয়।

এই তো গত কয়েকদিনে সেই সাফল্যের ভারটা যে আরো বেড়ে যাচ্ছে ইসমাইল খন্দকারের। মাদক অভিযানে যার এত সাফল্যে সেই দেশ প্রেমিক পুলিশ সদস্যের প্রতি জানাই হাজার সালাম।
যুগে যুগে চাঁদপুরবাসী এমন সাহসী অফিসার পাবে এটা ই একান্ত কামনা।