চাঁদপুরের সুজিত রায় নন্দী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত

রিফাত কান্তি সেন
Published : 28 Oct 2016, 01:48 AM
Updated : 28 Oct 2016, 01:48 AM

চাঁদপুর জেলার প্রত্যান্তঞ্চলের এক অজোঁপাড়া গাঁয়ে বেড়ে উঠা বালক সুজিত রায় নন্দী। ছোট থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে ঘনিষ্টভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে ছাত্র রাজনীতির সবকটি ধাপ পাড় হয়ে আওয়ামীলীগের উচ্চ পর্যায়ে নেতৃত্বদানকারী সৎ,নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সুজিত রায় নন্দী।

১৯৬৮ সালের ৩রা জানুয়ারী চাঁদপুর সদরের ৯ নং বালিয়া ইউনিয়নে পিতা কাসিশ্বর রায় নন্দী ও মাতা হিরণ প্রভা রায় নন্দীর কোল আলোকিত করে ভুমিষ্ঠ হন ধরনীতে। সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন এ তরুন রাজনীতিবিদ।


প্রচার বিমুখ এ মানুষটি ফরাক্কাবাদ হাই স্কুল থেকে এস,এস,সি এবং চাঁদপুর সরকারী কলেজ থেকে আইয়ে পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। বর্ণ্যাঢ্য তার রাজনৈতিক জীবনে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদ অলঙ্কিত করে চলেছেন।

১৯৮৪ সালে নিজ ইউ,পিতে ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে ঢাকার জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ ঢাঃবিঃ ছাত্রলীগ প্রচার সম্পাদক, ৮৯/৯০ শিক্ষাবর্ষে ঢাঃবিঃ জগন্নাথ হলের এজিসি ও পরে জিসি নির্বাচিত হন। ১৯৯২ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক, ১৯৯৪ ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক নির্বাচিত হন।

তার এই বর্ণাঢ্য রাজনীতিকে ঘিরে রয়েছে নানা ত্যাগ-তিতিক্ষা। ১৯৯৮ সালে কেন্দ্রীয়ভাবে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে ছাত্রলীগের জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

২০০৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ উপ কমিটির সহ-সম্পাদক, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে পুনরায় আবার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

২২ ও ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ২০ তম সম্মেলনে সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতৃক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বাইশ জনের মাঝে সুজিত রায় নন্দীকে ত্রান ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করেন।

সুজিত রায় নন্দী শুধু রাজনীতিক ব্যক্তিত্বই নন, তিনি একাধারে সমাজসেবক, দানবীরও বটে। তার এলাকা তথা চাঁদপুরবাসী দাদা বলে একনামে সম্মোদন করেন এই গুনী ব্যক্তিত্বকে। নিজের এলাকা ফরাক্কাবাদে প্রতিষ্ঠা করেন ফরাক্কাবাদ ডিগ্রী কলেজ- এখন সেখানে অনার্স ও আছে। চাঁদপুর সিটি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। কুমুরুয়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য,বালিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষক। ফরাক্কাবাদ সিনিয়র মাদ্রাসার উপদেষ্টা। ঢাঃবিঃ ও জগন্নাথ হলের এ্যালমোনাই এ্যাসোসিয়শনের সদস্য।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য, চাঁদপুর জেলা সমিতির আজীবন সদস্য। এছাড়াও নানা সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান, খেলাধুলা, সাংস্কৃতি সব কিছুতে তার অবদান অনস্বীকার্য।

"নানা গুনে গুনান্নিত এই মহান ব্যক্তি চিরকাল চাঁদপুরের মাটি ও মানুষের বন্ধু হয়ে বেঁচে থাকবেন কোটি মানুষের হৃদয়ে", নিরঅহংকারী এই ব্যক্তি নিজের এলাকায় খুবই জনপ্রিয়। এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় অসাধারন এক ব্যক্তি সুজিত। সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্ম নেয়ায়, নেতা কর্মীরা শুধু নয়, সাধারন মানুষ ও দাদা বলে ডাকেন তাকে। তিনি ও মানুষকে ভালবাসেন শ্রদ্ধা করেন।