চাঁদপুর শহরের ফুটপাত ব্যবহার উপযোগী করতে বিশেষ পদক্ষেপ

রিফাত কান্তি সেন
Published : 1 Dec 2016, 01:55 AM
Updated : 1 Dec 2016, 01:55 AM

জনগণের সুবিধার্থে শহরের ফুটপাত ব্যবহার উপযোগী করার লক্ষ্যে কমিউনিটি পুলিশকে সাথে নিয়ে চাঁদপুরের এস. পি. শামসুন্নাহার ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যেগ গ্রহণ করেছেন।

নাগরিকের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী দোকান, দোকানের সামনে পণ্যের সমাহার, ফুটপাত দখল করে ব্যবসা গড়ে তোলা সহ ফুটপাত পুরো বেদখল করে রেখে আইনের লঙ্ঘন এবং নাগরিকের চলাচলে প্রতিদিন ভোগান্তি সৃষ্টিকারী দোকান গুলোকে কড়া হুশিয়ারী প্রদান করা হয়েছে।


ফুটপাত দখল মুক্ত করতে রাস্তায় নেমে আসেন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। তিনি দোকানদারদের অনুরোধ জানান যেনো ফুটপাত দখল করে ব্যবসার প্রসার না ঘটায়। তিনি বলেন, মানুষের চলাচলের জন্য এই ফুটপাত, আর মানুষই যদি সেই ফুটপাত দিয়ে না চলে পায়ে হেঁটে মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করে তবে দূর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

এ সময় পুলিশ সুপার আরো বলেন, ফুটপাত দখলের কারণে ২৯-১১-১৬ ইং তারিখেও শহরে একটি ব্যাটারি চালিত যানের ধাক্কায় সাত বছরের এক স্কুল ছাত্রী নিহত হয়েছে। ফুটপাতের অবৈধ দখলের কারণে মাঝ রাস্তা দিয়ে জনগণের চলাচলের কারণে এ দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী করেন শামসুন্নাহার।

তিনি বলেন, "আপনারা ভাবছেন আপনাদের পেটে লাথি দিচ্ছি, আপনাদের ব্যবসায় বাঁধা দিচ্ছি, আপনারা যে করে কুলিয়ে খাচ্ছেন তাতে আমরা বাঁধার সৃষ্টি করছি। আমাদের কিন্তু লক্ষ্য সেটা নয়। অনেকেই ভাবেন ফুটপাতে যারা ব্যবসা করেন তারা অতি দরিদ্র লোক। তাদের মানবতা দেখানো উচিত। এটা মানবতার বিষয় নয়, মানবতা এখানেই আমাকে দেখাতে হবে অর্থাৎ পথচারীর জন্য এই ফুটপাত চলাচলের উপযুক্ত রাখতে হবে। যেনো কোন রকম দূর্ঘটনা না ঘটতে পারে।"


মহতী উদ্যেগ বটে! শহরের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ফুটপাত দখলমুক্ত করার বিকল্প পথ নেই। পুরো চাঁদপুর শহরে একক অধিপত্য বিস্তার করছিলো ফুটপাত দখলকারীরা। এছাড়া দোকানের সামনে মালামাল রেখেও হরহামেশা নাগরিকের ভোগান্তি বাড়িয়ে চলছিলো ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যাপারে এস পি শামসুন্নাহার বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ে প্রশাসন জিরো ট্রলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে। কোন প্রকার সুপারিশ গ্রহণযোগ্য নয়। নাগরিকের অসুবিধা হোক এমন কর্মকান্ড কখনোই প্রত্যাশার নয়। পুলিশ প্রশাসনের এমন উদ্যেগ সত্যি প্রশংসনীয় কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এ উদ্যেগ ধারাবাহিক ভাবে কতটা অগ্রসর হতে পারে?