জীর্ণদশা থেকে মুক্তি মেলেনি ভাটিয়ালপুর-আইলের রাস্তা সড়কের

রিফাত কান্তি সেন
Published : 19 June 2017, 07:41 AM
Updated : 19 June 2017, 07:41 AM

.

ছবির দৃশ্যটি সোহেল রানা নামে একজন ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। তার এ ছবিতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে রাস্তার গর্ত যে অনেকটাই পুকুর সমান! যেখানে চাইলেই সাঁতার কাটা যায়। আপনি চাইলে মাছও চাষ করতে পারেন। তাই হয়তো ছবির উৎসুক ঐ দুজন ব্যক্তি বুঝাচ্ছিলেন যে তারা রাস্তায় সাঁতার কাটবেন।

হরিণা হয়ে খুনলার ট্রানজিট সড়ক ভাটিয়ালপুর টু আইলের রাস্তা সড়কটি। প্রতিদিন কয়েকশত ডিস্ট্রিক ট্রাকের যাতায়াত রাস্তাটি ধরে। কিন্তু রাস্তাটি এতই বেহাল যে প্রতিদিনই কয়েকটি দূর্ঘটনা ঐ এলাকাবাসী প্রত্যক্ষ করে থাকে। এছাড়া ছোট যান যেমন সিএনজি, পিকআপ ভ্যান সহ মটর সাইকেল রিক্সা, সাইকেল কিংবা পথচারী কারোই শান্তি নেই পথটি অতিক্রম করতে।

বিশেষ করে বৃষ্টি হলেই ভয়ঙ্কর রূপ নেয় রাস্তাটি। প্রতিবছর বর্ষা আসে বর্ষা যায়, কিন্তু রাস্তার গর্তগুলো যেনো ভালবাসার টানে থেকে যায়। বর্ষা এলেই ঐ রুটে চলাচল রত যাত্রী সাধারণ, গাড়ি চালকরা বিপাকে পড়েন। মালামাল সহ মানুষের জীবনেরও হুমকি স্বরূপ রাস্তাটি।

রাস্তাটি ধরে প্রতিনিয়ত স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থী, সাধারণ পথচারী, ব্যবসায়ী, কর্মজীবি মানুষের অবাধ বিচরণ। ভাঙা রাস্তায় অনেক শিক্ষার্থী আহতও হয়েছেন। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে অনেক যানবাহন বিকল হয়েছে। এমতবস্থায় তারা এখন ঝুঁকির মাঝেই জীবন অতিবায়িত করছে।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রথম সাড়ির অনেক দৈনিকেই প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। কিন্তু কিছুই লাভ হয়নি। যানবাহন গুলো এখন ভাটিয়ালপুর সড়ক দিয়ে না এসে রঘুনাথপুর ওয়াপদা দিয়েই চলাচল করে। ভারী যানবাহনের কারণে সেই রাস্তাটিও এখন শত গর্তে পরিপূর্ণ একটি রাস্তায় রূপান্তরিত হচ্ছে। ঈদে ঘরমুখী মানুষের কষ্টের সীমা যে মাত্রাতিরিক্ত হবে ঐ রুটের যাত্রীদের তা নিঃসন্দেহে বলে দেয়া যায়।

অচিরেই এই জীর্ণ দশা থেকে মুক্তি মিলবে ভাটিয়ালপুর টু আইলের রাস্তায় যাতায়াতরত পথচারীদের এটাই কামনা।