এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে!!

রীতা রায় মিঠু
Published : 12 Feb 2013, 05:01 AM
Updated : 12 Feb 2013, 05:01 AM

এতদিনে বিএনপি মুখ খুলেছে! আর মুখ খুলেই শুরু করেছে প্রজন্ম চত্বরকে ঘিরে নানা সমালোচনা! শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনে যখন দেশ ও বিদেশে অবস্থানরত দেশপ্রেমিক বাঙ্গালী উজ্জীবিত, যে মুহূর্তে ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সূচিত শাহবাগ আন্দোলনের মাত্রা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের আনাচে –কানাচে, ব্লগে-ফেসবুকে, ঠিক সেই মুহূর্তে দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি নতুন ধুঁয়া তুলেছে এই বলে যে, শাহবাগ আন্দোলন ক্ষমতাসীন সরকার কর্তৃক সাজানো নাটক! পত্রিকান্তরে এমন সংবাদ পাঠ করে হাসি পেয়েছে! রাজনীতি করলে বুঝি এমন বক্তব্যই দিতে হয়! বলিহারী যাই! বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীগণ কী পত্রিকা পাঠ করেন না? টিভি সংবাদ দেখেন না? উনারা দেশে বসে থেকেও সঠিক খবর পাচ্ছেন না, আর আমরা প্রবাসে বসেই আন্দোলনের প্রতিটি মুহূর্তের সংবাদ পাচ্ছি, আন্দোলনে সংহতি জানাতে গিয়ে তরুণ-তরুণীদের প্রতিবাদের মুখে সরকারী দলের মন্ত্রী, আওয়ামীলীগের নেতাদের শাহবাগ থেকে ফিরে আসতে হয়েছে, সে সংবাদও সাথে সাথেই পেয়েছি। রাগ আর ক্ষোভে ফেটে পড়া তরুণদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ মন্ত্রীদের দিকে জলের বোতল ছুঁড়ে মেরেছে, অপ্রত্যাশিত রায়ে ক্ষুব্ধ, হতাশ জনগণের এহেন আচরণে কোন মন্ত্রী বা সরকার দলীয় নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ করেননি, নীরবে মাথা নীচু করে সমাবেশ স্থল থেকে বেরিয়ে এসেছেন, এ খবরও ঘরে বসে থেকেই পেয়েছি। একবারের জন্যও মনে হয় নি, এগুলো সরকারের সাজানো নাটক! অথচ বিরোধী দল থেকে ক্রমাগত বলা হচ্ছে, এ সবই সরকারের সাজানো নাটক!

অথচ আন্দোলনরত জনগণ একই কথা বলে যাচ্ছেন, শাহবাগ আন্দোলনের সাথে কোন রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা নেই! এ আন্দোলন যুদ্ধপরাধী, মানবতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে সচেতন তারুণ্যের প্রতিবাদ! প্রতি মুহূর্তে তারা দেশের আপামর জনগণের প্রতি আহবান জানাচ্ছে প্রজন্ম চত্বরে এসে যোগ দেয়ার জন্য। অনলাইন অ্যাকটিভিস্টরা কত নতুন নতুন আইডিয়া উদ্ভাবন করে মানবতা বিরোধীদের বিরূদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে, ব্লগাররা প্রতি মুহূর্তে তাদের ক্ষুরধার বক্তব্য ব্লগে পোস্ট করে চলেছে, আর যুদ্ধাপরাধীদের সকল দায় স্বেচ্ছায় নিজের কাঁধে নিয়ে নিচ্ছে বিএনপি!! বিভিন্ন টক শো, সভা সেমিনারে তারা প্রতিনিয়তই বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, যুদ্ধাপরাধীদের আড়াল করে। তাঁরা বুঝতেই পারছেন না অথবা বুঝতে চাইছেনও না, দেশের হাওয়া পালটে গেছে। এখন হাল তরুণদের হাতে। মুক্তিযুদ্ধের দুই প্রজন্ম পরের তরুণ এরা, চিন্তা চেতনায় অনেক আধুনিক, মন ও মনণে অসাম্প্রদায়িক, তাদের মনের কথা পড়তে জানলে বিএনপির নেতা নেত্রীরা কখনওই শাহবাগ আন্দোলনকে সরকারের 'সাজানো নাটক' বলে উপহাস করতে পারতেন না। তারুণ্য কারো কেনা গোলাম হতে চায় না। '৬৯ এর আন্দোলনকে ছাত্ররাই '৭১ এ এগিয়ে নিয়ে গেছে, '৬৯ এর আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নেতা তোফায়েল আহমেদ এখনও বেঁচে আছেন, উনি বলতে পারবেন শাহবাগ আন্দোলনের তারুণ্য কী চায়! আজকের পত্রিকায় পড়েছি, তোফায়েল আহমেদ আজকের তরুণদের আন্দোলন দেখে অভিভূত হয়ে পড়েছেন, আবেগাপ্লুত হয়েছেন। উনি বলেছেন, আজকের আন্দোলন দেখে '৬৯ এর কথা মনে পড়ছে। '৬৯ এর ছাত্র আন্দোলনের পথ বেয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সেদিনের তরুণ সমাজ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তারা সমাজ, সংসারের দিকে ফিরেও তাকায় নি, দেশের জন্য হাসিমুখে প্রাণ উৎসর্গ করেছিল! '৯০ এর আন্দোলনে কারা নেতৃত্ব দিয়েছিল? তৎকালীণ ছাত্র সমাজ, তৎকালীণ যুবসমাজ। একজন নূর হোসেন বা একজন ডাঃ মিলন, একজন দীপালী সাহা অথবা একজন রাউফুন বসুনিয়া, একজন সেলিম অথবা একজন দেলোয়ার, কেউই সামরিক সরকারের সাজানো নাটকের পাত্র-পাত্রী ছিলেন না! সেদিনের সেই ছাত্র আন্দোলণের পথ বেয়েই আজকের গনতন্ত্র এসেছে। তরুণদের এমন স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদকে এতদিন পর 'সাজানো নাটক' বলার পেছনে কী যুক্তি থাকতে পারে!

গত দশদিন চুপটি করে ছিলেন বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দ, হয়তো ভেবেছিলেন, দুই তিনদিনের মামলা, চুপসে যাবে এমনিতেই। কিন্তু মামলা গড়িয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে, সরকারের সাজানো নাটকে অভিনেতা অভিনেত্রীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে, সাধারণ জনগণ এসে যোগ দিচ্ছে! এখন তো আর চুপ করে থেকে লাভ নেই! তাই মুখ খুলেছে বিএনপি নেতৃবৃন্দ। দল থেকে বলা হয়েছে, শাহবাগের বিক্ষোভরত জনগন নাকি পুলিশী প্রটেকশানে তরুণ-তরুণীদের জমায়েত! আসলেই কী তাই? যদি তাই হয়, তাহলে বিএনপি'র তরুণ-তরুণীরা কেন সরকারের দেয়া এই সুবিধাটুকু গ্রহণ করছে না! সরকারকে নাকানী-চুবানী দেয়ার এই তো বিরাট সুযোগ! প্রজন্ম-মঞ্চে যে কেউ শ্লোগান দিচ্ছে, লাকী, মুক্তা, সবিতা নামের ছাত্রীরা সকলের নয়নমনি হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রজন্ম মঞ্চ, মঞ্চে যে কেউ বক্তব্য রাখতে পারছে, শুধু একটিই শর্ত, মঞ্চে আসার পূর্বে অবশ্যই রাজনৈতিক পরিচয়ের ব্যাজ খুলে আসতে হবে। রাজনৈতিক ব্যাজ খুলে রেখে বিএনপির তরুণ-তরুণীরাও প্রজন্ম মঞ্চে উঠে সকলের সাথে গলা মিলিয়ে শ্লোগান দিক, 'কাদের মোল্লার ফাঁসী চাই! 'গোলাম আজমের ফাঁসী চাই' 'রাজাকার রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়'! তারা এই সুযোগে আরও নতুন নতুন শ্লোগান দিতে পারে, সরকারী কোন ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। এখনই তো সময়, এমন গণজাগরণ কী আর সহসা হবে! বিএনপির তরুণ-তরুণীরা যদি মঞ্চে উঠে সকলের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে, তাহলেই তো সরকার দলীয় সুযোগসন্ধানীর দল পিছু হটে যেতে বাধ্য হবে!

যে কাজ করলে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা যায়, এই মুহূর্তে সেই কাজটিই করা উচিত। নিয়ত ভালো থাকলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বাধা কোথায়! আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো গতকাল সংসদে দাঁড়িয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। উনি দ্বিধাহীন চিত্তে সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন,
" মন চায় শাহবাগে ছুটে যেতে। স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত রাখার জন্য বার বার বাধার মুখে পড়েছি। কখনও গুলি, কখনও গ্রেনেডের মুখে পড়েছি। কিন্তু কখনও হাল ছাড়িনি। তরুণ প্রজন্ম এখন স্বাধীনতার চেতণায় উদ্বুদ্ব। মানবতা বিরোধী অপরাধী কাদের মোল্লার রায়ে এদেশের তরুণ সমাজ জেগে উঠেছে। সারা দেশে তারা অভূতপূর্ব জাগরণের সৃষ্টি করেছে। তরুণ সমাজ জেগেছে বলেই সারা দেশের মানুষ জেগেছে। সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবে, যত বাধা বিপত্তি আসুক, বিচার হবেই। বিচার প্রক্রিয়ায় কোন ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করা হবে। সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই হবে। এই জাগ্রত তরুণসমাজকে দেখে আজ মনে হচ্ছে, শান্তিতে মরতে পারবো। এই তরুণরাই দেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। শাহবাগ নয়, এই চত্বরের নাম হতে পারে, 'স্বাধীনতার তরুণ প্রজন্ম স্কয়্যার'।"। এমনই আরও আবেগময় বক্তব্য উনি দিয়েছেন যা থেকে দেশ ও দেশের ভবিষ্যত সম্পর্কে উনার স্পষ্ট ও স্বচ্ছ মতামত পাওয়া যায়।

প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এমনিতেই খুব আবেগপ্রবণ মানুষ, বিরোধী পক্ষ সব সময় শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটু কাটব্য করে থাকেন, 'বেশী কথা বলেন' বলে বিদ্রূপ করতেও ছাড়েন না। কিন্তু বেশী কথা বলার একটি ভালো দিক আছে। যিনি বেশী কথা বলেন, তাঁর অন্তরে কিছুই গোপন থাকে না। তাঁকে খুব সহজেই পড়ে ফেলা যায়। গালে আঙুল ঠেকিয়ে 'স্পীকটি নট' হয়ে বসে থাকা মানুষকে চেনা বড়ই কঠিন। তবে গত দুইদিনের সংবাদপত্র পাঠ করে এবং আশপাশের সব কিছু দেখে শুনে মনে হচ্ছে, বিরোধী দলের মধ্যেও 'বেশী কথা বলা'র প্রবণতা দেখা দিয়েছে। সকলে মিলে অন্তরের যত কথা, সব গলগল করে বলে দিচ্ছেন। টকশো, সভা সেমিনারে তাদের দেয়া বক্তব্য শুনে আমাদেরও সুবিধা হয়েছে, উনাদের নিয়ত পড়ে নিতে অসুবিধা হচ্ছে না।

মাত্র একদিন আগেই ব্যক্তি হান্নান শাহ বলেছেন, সরকার শাহবাগের আন্দোলনকারীদের পুলিশী প্রটেকশান দিচ্ছে আর জামায়াতী দেখলে গুলী করার নির্দেশ দিচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার টাকায় নাকি এই নাটক সাজানো হয়েছে। উনি আরও বলেছেন, শাহবাগ চত্বরের মাত্র একশ গজ দূরে 'গোলাম আযম' কে রাখা হয়েছে, পঞ্চাশ গজ দূরে 'পুলিশ কন্ট্রোল রুম' আছে, দুই পক্ষকেই নাকি নাটক দেখানো হচ্ছে। বিএনপি থেকে দাবী করা হচ্ছে, এ সবই ভারতের কারসাজী, ভারত থেকে সকল কলকাঠি নাড়ানো হচ্ছে! হাসি পায়, মাত্র কিছুদিন আগেই বেগম জিয়া ভারত জয় করে এসেছেন, দেশে ফিরে ভারতের পক্ষে বেশ কথা বলেছেন। আর এখন দেখছি দাবার দান উলটে গেছে! শুরু হয়ে গেছে 'ভারত জুজুর ভয়'। তা বর্তমান সরকার না হয় ভারতের তাঁবেদার, 'র' এর টাকায় এইসব নাটক করছেন, আপনারা কেনো জামায়াতের সৌদি বা পাকিস্তানী অর্থায়নে পাল্টা নাটক সাজাতে পারছেন না! বিএনপির প্রথম সারির এক নেতা বলেছেন, জামায়াত নেতাদের বিচার করার আগে বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিচার করতে হবে। উনাদের কাছে নাকি প্রচুর তথ্য প্রমাণ আছে যে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাকি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীণ সময়ে পাকি সরকারের দোসর ছিলেন! তা আমাদের কথা হচ্ছে, হাতে এত প্রমান, স্বাক্ষ্য নিয়ে বসে আছেন কেন? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে মাত্র, এখনও ইচ্ছে করলেই তথ্য প্রমাণাদিসহ ট্রাইব্যুনালের কাছে হাজির হতেই পারেন। অভিযোগ তো কোন রাম -রহিমের বিরুদ্ধে নয়, দেশের সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে! ট্রাইব্যুনালে কোন সহযোগীতা না পেলে তথ্য প্রমাণ নিয়ে শাহবাগ মঞ্চে হাজির হোন, দেখবেন তরুণেরা আপনাদেরকে মাথায় করে নাচবে!

আরেকজন মানুষ আছেন, একসময় বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে বঙ্গবীর উপাধী দিয়েছিল, সেদিনের সেই বঙ্গবীরও আজকে অচেনা ভাষায় কথা বলেন! শেম! শেম! উনি নিজে শাহবাগের মঞ্চে না গিয়ে দূর থেকে কত কথাই বলে যাচ্ছেন! উনি বলছেন, টাঙ্গাইলে অনেক যুদ্ধাপরাধী আছে, উনি বলছেনই শুধু, নিজে দায়িত্ব নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন নি। উনিও ধরেই নিয়েছেন, এইসব কাজ একা আওয়ামী সরকারকেই করতে হবে। শেখ হাসিনা সরকারকেই যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সমস্ত দায়-দায়িত্ব নিতে হয়, তাহলে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার সকল ক্রেডিট আওয়ামীলীগকেই দিতে হবে! গতকাল অনলাইন ভিডিওতে দেখালাম, '৭১ টিভিতে (ভুলও হতে পারে) অনুষ্ঠিত এক টক শো'তে বিএনপির এক নেতা বলছেন, বঙ্গবন্ধু ২৮ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, বংগবন্ধু বেঁচে থাকলে নাকি প্রজন্ম মঞ্চের আন্দোলন দেখে লজ্জা পেতেন! এই আন্দোলন থামাতে নির্দেশ দিতেন! নোংরামী করারও একটা সীমা থাকে। এই ধরনের টকারদের কেন যে টিভিতে আনা হয়, কে জানে! ব্লগাধিপতি অমি রহমান পিয়াল যখন বললেন, " এমন একটি নাটক আপনারাও সাজিয়ে দেখান", এর জবাবে বিএনপি নেতা মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন। ব্যারিষ্টার তানিয়া আমীরের কথার জবাবেও আর কোন কথা উনি বলেননি।

যদিও শাহবাগের চলমান আন্দোলন সম্পর্কে দশদিন পর বিএনপি তাঁদের বক্তব্য দিয়েছেন, যদিও বলেছেন, তরুণদের দাবীর যৌক্তিকতা তাঁরা মানেন, যদিও তাঁরা বলছেন, এই আন্দোলনে 'নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী তোলা হোক, যদিও তারা বলছেন, এই আন্দোলনে 'ফেলানী হত্যার বিচার দাবী করা হোক, যদিও তাঁরা বলছেন, এই আন্দোলনে লগী বৈঠার বিচার দাবী করা হোক, যদিও তারা তাদের উক্ত দাবীগুলোকেও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য মনে করেন, তারপরেও বলবো, আপনারাও আসুন, প্রজন্ম মঞ্চে এসে যোগ দিন। মঞ্চে দাঁড়িয়েই আপনাদের দাবীর সপক্ষে আওয়াজ তুলুন। তবে সাবধান! জামায়াত বা সমমনা মৌলবাদীদের পক্ষে কিছু বলতে যাবেন না, তাহলে আর তাল সামলাতে পারবেন না। উজ্জীবিত তারুণ্যের জোয়ারে ভেসে যেতে হবে!