বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের যেতে সভাপতির বাধা!

রবি খন্দকার
Published : 19 August 2014, 05:35 PM
Updated : 19 August 2014, 05:35 PM

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার বালুচর কাশিনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি আশানুরুপ ফলাফল করে আসছে। কিন্তু বিগত বেশ কিছুদিন থেকে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে বাধা দিচেছন সভাপতি ও তাঁর লোকজন। এই ঘটনায় এলাকাবাসি ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার বালুচর কাশিনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাহফুজা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এরই মাঝে ওই বিদ্যালয় স্থানীয় সোলায়মান আলী নামে এ ব্যক্তি পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করে। এবং নিজেকে ক্ষমতাধর বলে জাহির করা শুরু করে। তিনি বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুনসহ অন্যান্য শিক্ষককে হুমকি-ধামকি দেন। এতে প্রধান শিক্ষকের সাথে তাঁর সর্ম্পকের অবনতি ঘটে।

সভাপতি সোলেমান মিয়া প্রধান শিক্ষককে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে তিনি প্র্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। এবং সরকারের দপ্তরে অভিযোগপত্র প্রদান করেন। আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েক মাস পূর্বে ৩ সদস্যের একটি কমিটি তদন্ত হয়। সভাপতি বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করে প্রধান শিক্ষিকাকে চক দূর্গাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করান।

কিন্তু তার বদলি অবৈধ হওয়ায় পুনরায় তার বদি স্থগিত করে মন্ত্রনালয়। চলতি বছরের ৭ আগষ্টে যথারীতি সরকারী ছুটির পর বিদ্যালয়ে ক্লাশ শুরু করেন। বিষয়টি মানতে না পেরে সভাপতি কৌশল পরিবর্তন করেন। তিনি সকল শিক্ষার্থীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের বিদ্যালয়ে আসতে বাধা করেন।

রমজান আলী ও নুরুজ্জামান এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন সভাপতি আমাদের বাড়ীতে এসে ছেলেমেয়েদের স্কুলে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। এই ঘটনায় এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাঃ হারুণ-অর-রশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, সভাপতি এর আগে আমাকে একটি ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যেতে দিবে না মর্মে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। বিদ্যালয়ে এসে জানতে পারি বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী উপস্থিত হয়নি। এদিকে এলাকাবাসী ও অভিভাবক বিদ্যালয়টির সুষ্ঠু পাঠ দানের পরিবেশ ফিরে আনা, কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান ক্ষুন্ন করার ও মেধাবিকাশে বাধা প্রদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেক দৃষ্টি কামনা করেছেন।