ব্যাঙ্গালোরে দিন যেমন

রবি হোসাইন
Published : 24 May 2017, 08:24 PM
Updated : 24 May 2017, 08:24 PM

ভারত বিরোধী একটা মনোভাবের ভেতর দিয়ে বড় হয়েছি। ওই অর্থে হিন্দু রাষ্ট্র বলে নয় বরং আমার দেশের সীমান্তে বাংলাদেশীর লাশ পড়ত বলে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে যারা সাাপোর্ট করত তাদের ও সহ্য করতে পারতাম না। আর দুর্বলতা ও ছিল অনেকটা। সেটা কলকাতার প্রতি। ভারত মানেই বুঝতাম কলকাতা আর ওদিকে পলাশীর প্রান্তর আর মুর্শিদাবাদ। আর ইতিহাস বইয়ে ও মানচিত্রে কয়েকটা প্রদেশের নাম জানা হয়েছিল। একটু আধটু মুম্বাইয়ের ব্যাপারে জানতাম হিন্দি ছবির কারণে আর আইপিএল এর সুবাদে অনেকগুলো রাজ্যের নাম জানা ছিল।

কখনো ভারত আসব মনে হলে শুধু কলকাতার কথায় ভাবতাম। হাইস্কুলে থাকতে হাতের কাছে যা উপন্যাস, গল্প পেতাম পড়ে নিতাম। প্রথম কলকাতা এসে দেখি বনগাঁও, শিয়ালদহ এসব শব্দ আগেই পড়েছি। কলকাতা আসাটা ছিল ডাক্তার দেখাতে। এক বছর দেশে দেখানোর পর যখন কোন কাজ হচ্ছিল না তাড়াহুড়ো করে কলকাতা আসলাম। তারপর কলতকাতা আসা হলো আরো আটবার। কিন্তু প্রতিবার কাজ নিয়ে আসাতে এদিক ওদিক তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি।

ভারত বিরোধী যে মারাত্মক যে অবস্থান ছিল আস্তে আস্তে সেটাও সরে গেল। পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা, বাঙালি ডাক্তারের ব্যবহার, ওদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা সহ কলকাতার কিছূ মানুষকে ( যাদের সাথে আমি পরিচিত তাদের সবাই) বাংলাদেশীদের সাহায্য করতে দেখে পুরো অবস্থানই নড়বড়ে হয়ে গেল। নিজের মত করে একটাও ব্যাখ্য দাড় করিয়ে নিয়েছি। সীমান্তে খুনোখুনি তো করছে রাষ্ট্র। কলকাতায় আর নদীয়ায় দেখেছি অনেক লোকের বাবা অথবা দাদার বাড়ি বাংলাদেশেই। সেদিন শিলিগুরির একজনের সাথে কথা হলো তার বাবাও বাংলাদেশের। খোঁঁজ নিলে দেখা যাবে যাদের দাদার বাড়ি এখানে তার আগের ‍পুরুষ ও বাংলাদেশ থেকে আসা। ওভাবে বাবার ভূমির প্রতি টান না থাকলেও তারা সীমান্তের খুনের সমর্থক বা তারা বাাংলাদেশ বিরোধী কোনভাবেই মনে হয়নি। বরং আমি এখন নিজের শেষ ভাল লাগার স্মৃতিতে কল্যাণীকে খুঁজে পাই। যে কল্যাণীতে রাত বিরাতে পুলিশের ভয় নেই। না আছে শহুরে ঝামেলা। কল্যাণীকে নিজের দ্বিতীয় গ্রাম মনে হয়।

শেষবার দক্ষিণ ভারতের ভেলোরে এসছিলাম সিএমসিতে আপুকে ডাক্তার দেখাতে। এবার আমার ডাক্তার দেখাতে ভেলোর ছাড়িয়ে আসলাম ব্যাঙ্গালোর। শরীরের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গেছিল তাই সেই জানুয়ারীতেই ডাক্তার দেখানোর কথা ভেলোরে। পরীক্ষার জন্যে ফিরে যেতে হলো দেশে। সেই পরীক্ষা শেষ হলে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। শরীরের অবস্থা ততদিনে আরো খারাপ হয়েছে। পরীক্ষার মধ্যেই ভিসার আবেদন করতে গেছি। চট্টগ্রামের খুলশীতে ভারতীয় ভিসা সেন্টার নিয়ে সব সময় তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। বাংলাদেশীে যে অফিসাররা আবেদন জমা নেয় তারা এমন আচরণ করে যেন ভারতবর্ষ তাদের পিতার গড়ে তোলা আর তারা সেখানে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করছে দয়া করে।

টিকেটের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদন করাতে বাধ্য হয়ে আসতে হলো শ্যামলীতে। শ্যামলী মানেই আমার আসা যাওয়ার খরচের চেয়েও বেশি টাকাতে কলকাতা যাওয়ার টিকেট করা।

বর্ডার পার হয়েই প্রতিবার বনগাঁও স্টেশন যেতাম। এবার চাকদহ বাস স্ট্যান্ড থেকে চাকদহের বাস ধরে তারপর গেছি কল্যাণী। কল্যাণীতে যে মেসে থাকি সেখানে শবে বরাতের দিন তাই কয়েকজন ছিল না। যারা ছিল তারা আবার শবে বরাত পালন করে না। আমি সাইকেল নিয়ে আবার ঘুরে বেড়ালাম ক'দিন।

হাওড়ার ট্রেন ধরার আগের দিন গেছি কৃষ্ণনগর। সদরেই বিগবাজারে মাল্টিপ্লেক্সে দেখতে গেছি বাহুবলি টু। পরে অবশ্য অন্য সিনেমা দেখে এলাম। ভারতীয় সিনেমার বাজারের কথা পত্রিকায় পড়েছি। হলে কেমন দর্শক আসে তা প্রথম দেখলাম। নদীয়া কে বলা যায় বাংলাদেশের একদম কৃষিনির্ভর জেলার মত একটি জেলা। জেলা সদর পেরোলেই পুরো গ্রাম। কিন্তু এখানে ব্যাপার আলাদা। গ্রামের ছেলে বুড়ো সব পরিবার নিয়ে কেউবা প্রেমিক নিয়ে হাজির সিনেমা হলে। ছুটিতে বেশিরভাগ সিনেমা দেখতেই আসে। উৎসব তো মাঝে হয়। তাহলে সিনেমা দেখা কি অভ্যেস? প্রযুক্তির যুগে সিনেমা হল মার খাওয়ার বদলে নতুন করে গড়ে উঠছে। এখানে অল্প দূরত্বেই অনেক সিনেমা হল। বাংলা, হিন্দি, তামিল বা ইংরেজী সিনেমা সব সমানতালে চলছে। তাই গ্রাম গুলোতে যে সংস্কৃতি এ রাজ্য থেকে ও রাজ্যে ছড়িয়েছে সেটার বড় প্রমাণ তাদের পোশাক। তাই ভৌগোলিক যত দূরত্বই থাকুক সিনেমা দেখে বদলে যাওয়া সংস্কৃতিতে প্রভাব পড়ছে যাপিত জীবনের সবখানেই।

কল্যাণী থেকে হাওড়া স্টেশন যাওয়ার পথে শিয়ালদহ দেখা হলো সন্দ্বীপ দাদার সাথে। বাড়ি কলকাতর থেকে দূরে হলেও শেষবার বাংলাদেশ থেকে আমার পরিচিত যারা এসছেন তাদের নানা ভাবে সাহায্য করেছেন। উবারে ট্যাক্সি বুক করে দিলেন। হাওড়ায় গিয়ে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পর এলো ট্রেন। ট্রেনে উঠেই ঘুমিয়ে যাওয়ার চিন্তা ছিল না। এর আগেই কিছু মুভি ডাউনলোড করে রেখেছিলাম। মুভি দেখে ঘুমানোর সময় হলেও আমাদের কমপার্টমেন্টে দরজার পাশে নীচের সিট ছিল এক মহিলা। পাশেরটায় ছিল তার শ্বাশুড়ি আর শ্বশুড় আর তার ননদের সম্ভবত। তারা ট্রেনে উঠার পর থেকে এই একটা সিটে বসে পুরো ট্রেন কাপিঁয়ে যাচ্ছে। খাওয়ার পর খাওয়া খাওয়ার পর খাওয়া। ট্রেন যাত্রা করছে কোথাাও যেতে নয় যেন খেতে। শেষে ট্রেনে্র এক কর্মকর্তা বিরক্ত হয়ে বলল, আলো অফফ করুন খাওয়া থামিয়ে। মনে করিয়ে দিতে হলো, এটা বাড়ি নয়। সিনেমা থেকে মন চলে গেল। পুরো পথ এই পরিবারের ট্রেনকে নিজের বাড়ি বানিয়ে নেয়ার প্রতিযোগীতাই দেখতে হলো।

ট্রেনে উঠেই রাত চলে যায় উড়িষ্যা পার হতে হতে। আমার ঘুম ভাঙ্গে বিশাখাপত্তনম এসে। এই জায়গাটা আমার খুব পছন্দের। ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও দেখেছি। পাহাড়ের সমুদ্র যেখানে ছুঁয়ে গেছে নিজেদের। আমার সীতাকুন্ডেও সমুদ্রের কাছেই পাহাড়। দুুুটোর রুপ দু রকম।

বিশাখাপত্তনামের আর চট্টগ্রাম দুটোয় বঙ্গোপাসাগরের এ পাড় ও পাড়। এটি হলো ভারতের পূর্ব উপকুলে অন্ধ্র প্রদেশের একটি সমুদ্র বন্দর । এখানেই ভারতের প্রধান ও গভীরতম সমুদ্র বন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক প্রতিরক্ষা কেন্দ্র। এখনে আছে ভারতীয় নৌবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর। সরকারি ইস্পাত কারখানা, ভারী শিল্প উদ্যোগ এবং ভারতের সর্ববৃহৎ জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্র বিশাখপত্তনমেই। একাত্তরে ভারত পাকিস্তানের আরো একটি যুদ্ধ হয়ছিল এই বিশাখাপত্তনমের কাছেই। পাকিস্তানের সাবমেরিন গাজী ছিল ভারতের সবচেয়ে বড় আতংক। ওই সাবমেরিন এই পথ ধরে যাওয়ার প্লান ছিল চট্টগ্রামে। সমুদ্রতলের যুদ্ধে গাজীকে পরাজিত করে ভারতীয়রা। ভারতের ইতিহাসের প্রথম পানির তলের ছবি সাবমেরিন গাজীকে ঘিরেই।

একাদশ শতাব্দীতে অন্ধ্র প্রদেশের রাজা বারাণসী যাত্রার সময় বিশ্রাম নিয়েছিলেন এখানে। সেই সময় তিনি কার্তিকের (বিশাখা) মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো করেন। সেই থেকেই জায়গার নাম বিশাখাপত্তনম। ১৭৬৮ সালে এর দখল নেয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ইংরেজরা বিশাখাপত্তনম না বলে ভিজাগপটনাম বা ভিজাগ বা ভাইজ্যাগ বলতে শুরু করে।
বিশাাখপত্তনাম যে রাজ্যে অবস্থিত সেটি হলো অন্ধ্রপ্রদেশ। এটার উত্তরে উত্তরে তেলঙ্গানা ও ছত্তীসগঢ়, দক্ষিণে তামিলনাড়ু, উত্তর-পূর্বে ওড়িশা, পশ্চিমে কর্ণাটক ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর। তেলুগু ভাষায় কথা বলে এখানকার মানুষ। প্রচুর ধান উৎপন্ন হয় বলে এই রাজ্যকে "ভারতের চালের ঝড়ি" বলা হয়। অন্ধ্রপ্রদেশে দুপাশে পাহাড় আর পাহাড় আর বাতাসে যেন আগুন ঝরছে। এদিকের পাহাড়গুলোকে কেমন ন্যাড়া ন্যাড়া লাগে। পুরো খালি। হালকা গাছপালা আছে। তামাটে রঙ পাহাড়ের। ঠিক ও পাড়ের পাহাড় গুলো গাছে ভরা। যত গভীরে যাওয়া যায় সবুজের জঙ্গল আর নানা রকম প্রাণী। এখানে আবহাওয়ার কারণেই পাহাড়গুলো অমন হয়ত। তাই কোন প্রাণীর টিকে থাকারও সম্ভব নয়। অন্ধ্রপ্রদেশের পাহাড় দেখতে দেখতে সামনে এসে পরে বিশালকার গোদাবরী নদী। এত বিশাল নদীর উপর সেতু আর সেটার উপর ট্রেন আর তার উপরে যানবাহন চলাও বিশাল বিস্ময়ের। ইচ্ছে এই গোদবরী নদী দেখতেই একবার আসব অন্ধ্রপ্রদেশ।

তারপর আবার রাত নেমে এলো। রাত ১২ টার পর চলে আসল কাটপাডি। তারপর সেই পরিবারের খাওয়ার শোরগোলের মধ্যে আবার ঘুম। ঘুম ভাঙল যশবন্তপুরের ৩/৪ স্টেশন আগে। বাইরে তাকলাম। সেই অন্ধ্রপ্রদেশের মত গরম আর নেই। তবে পাহাড় যেন আরো ন্যাড়া হয়েছে। গুগল বলছে এটি মহীশূর রাজ্য হিসাবে পরিচিত ছিল কিন্তু ১৯৭৩ সালে নুতন নামকরণ হয় কর্ণাটক। যার রাজধানী হলো ব্যাঙ্গালোর। কন্নড় ভাষায় কথা বলে এখানের লোক। বেশিরভাগ হিন্দু হলেও মুসলিম, খ্রীষ্টান, জৈন এবং তিব্বতি বৌদ্ধরা ও থাকে। ।

ট্রেন থেকে নামলাম কৃষ্ণারাজাপুরম( Krishnarajapurm ) স্টেশনে। দাদার বন্ধু আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল। স্টেশনের ঠিক বাইরের মোড়টায় দেখলাম এলোমেলো ট্রাফিক ব্যবস্থা। সেই বাসের জন্যে অপেক্ষা আর যত্রতত্র রাস্তাপার। উবারে ট্যাক্সি বুক করে করে এলাম করামানগালা। দাদা এখানেই থাকে।

ব্যাঙ্গালোরে প্রচুর সরকারী বাস। লোকে চড়েছেও। হাজার টাকাতে কার্ড করে নিলে পুরো শহরে এক মাস চড়া যাবে সারাদিন। এদিকটায় কড়ই গাছ বেশি। যেন কড়ই গাছের বাগানোর ফাকঁফোকরে শহর করা হয়েছে। রাস্তাঘাট অনেকটা উন্নত। তবে সেটা বিদেশে এসেছি মনে করার মত কিছু নয়। সেই জ্যামে আটকে থাকা, অটোর বেশি ভাড়া চাওয়া, গাড়ির জন্যে অপেক্ষা, রাস্তা পার হবার জন্যে ব্যবস্থা না থাকা, যার যেদিকে খুশি রাস্তা পার হওয়া এসব দেখছি সব শহরেই সমান ব্যাপার।


তবে পশ্চিমবঙ্গ বা ভেলোরের মত ছেলে বুড়ো মেয়ে সবার বাইকে যাতায়াতের ব্যাপারটা সেই একি।

দাদার অফিসে গেলাম। সেখানে আসামের এক ছেলে কাজ করছে। ভার্গব অসমীয় ভাষায় কথা বলল আমি বাংলায়। আসামের কিছু লেখাও দেখাল। ৯০ ভাগই বাংলার মত। উড়িষ্যার ভাষাও অনেকটা তাই। ভার্গব ব্যাঙ্গালোর এসেছিল ঘুরতে। এরপার মায়ায় পরে গেল এই শহরের। চাকরী ধরে এখানেই থেকে গেল।

প্রচুর বাঙালি খাবারের দোকান আছে তাই খাওয়া নিয়ে টেনশন ও ছিল না। তবে রাস্তার ধারে খাবার এখানে জনপ্রিয়। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে লোক দাড়িয়েই ভাত খেয়ে নিচ্ছে এই দোকানগুলোতে। খাবার গুলো বেশিরভাগ আগে ভেলোরেই দেখেছি। ইটলি, ডোসা সহ ওরকম যা আছে। সাদা যেটাকে চাটনি বলে ওটা নারিকেলের আমরা যে তরকারি করি সেটা। আরো অনেক খাবার ফুটপাতে। ডিম কারী আর মরিচের তেলে ভাজাও জনপ্রিয়। বিশাল সাইজের সব মরিচ এখানের। ডাক্তার দেখাতে এসছি তাই সময় নষ্ট না করতে চলে গেলাম হাসপাতালে। সেন্ট জনস হাসাপাতল ও পুরো বাগানের ভেতরে। ডাক্তারের বাংলা মোটেই আসে না। হিন্দি যা আসে আমার তাতেই কাজ হলো।

ডাক্তার গুলো নিয়ে বাড়তি বলে কাজ নেই। যতবার দেশে আমি ডাক্তারের কাছে গেছি প্রথম দেখাতেই ৪-৮ টা ওষুধ দিয়েছে। এখানে এটা না করেই ফিরিয়ে দিলে অনেকে হয়ত ভাবে ডাক্তার বাজে। এটা সরকারী হাসপাতাল না হলেও খরচ অনেকটা সরকারীর মতোই। পরিবেশ ও দারুণ।

রাতে ফিরলাম রুমে। আগেই ধারণা ছিল এখানের জীবনযাপন ব্যয়বহুল। ছোট এক রুম ভাড়া পেতেও দুই অংকের বিশাল টাকা অগ্রিম দিতে হয়। তাহলে বড় রুম ভাড়া পাওয়া তো বিশাল ব্যাপার। বাড়ির কাঠামোগুলো ভেলোরের মতই। ছোট ছোট সব বাড়ি। রাত হলে হলুদ আলো রাস্তার ধারে। কাল বৃষ্টি এসেছিল। বৃষ্টির পর হলুদ আলোতে ঘরে আলো পরলে চারদিকটাই হলুদাভ হয়। এই হলুদে কত কি মনে পরে যাায়!


ব্যাঙ্গালোরেই বেড়াানোর অনেক জায়গা আছে। কিন্তু কাজ আর হাসাপাতালের জন্যে কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।

এই অসুখ বড় রসিক। চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে নিল ঢাকায়। কলকাতা হয়ে আনল ভেলোর শেষ ব্যাঙ্গালোর । শুধু ঘুরে দেখার সুযোগটা দেয় না। বেচেঁ থাকুক অসুখ। ঘুরতে না দিলেও এদিক ওদিক যাওয়া হলেও হচ্ছে। আশা করছি এই অসুখ আমাকে আরো কয়েকটি প্রদেশে নিয়ে যাবে।