নারী যখনি মা বাদে অন্যান্য ভূমিকায় তখনি নারীরা বহুরূপী

রুদ্র আমিন
Published : 28 August 2015, 06:07 AM
Updated : 28 August 2015, 06:07 AM

নারী, কখনো মা, কখনো বোন আবার কখনো সহধর্মিনী। এতো এতো উপাধি পেয়েও যে নারীদের অন্তর ভরে না একমাত্র তারাই ডায়েনী, পিশাচ। পক্ষান্তরে নারীদের এতো এতো রূপের কারনেই পুরুষ নারী প্রেমী, রক্তচোষা জোঁক।

যে সংসারে একজন নারীর শ্বশুড় শ্বাশুড়ি জীবিত এবং যৌথ পরিবারে বসবাস। কেন যে ঐ সংসারে নারীর ঘর করতে নানান অযুহাত, তখন তাদের সাথে বসবাস করাটাই দায় হয়ে ওঠে। নারী নামক সহধর্মিনী ভালো নাকি পিতা-মাতা ভালো? এমন প্রশ্নের ভেতর হাবুডুব খেতে হয় সংসারের কর্তা নামক পুরুষের। নারীর স্বাধীনতা আর কতদূর পৌছে দিতে হবে সেটাই প্রশ্ন।

নারী তার স্বাধীনতা মানে জানে ? একজন প্রকৃত নারীর স্বাধীনতা কি হতে পারে ? আজকের নারীরা যে স্বাধীনতার কথা ভাবছে সেটা হলো, যেমন খুশী তেমন সাজো খেলা হতো, ঠিক খেলার মতো। নারীরা কখনোই অবহেলিত নয় আবার পুরুষেরাও ফেরেস্তা নয়।

প্রতিটি নারী এবং পুরুষের মনে রাখা উচিত তার পিতা-মাতার কথা। ধর্মের কথা। মৃত্যু বলে যে একটি কিছু আছে সেটা মনে রাখা। আজ নারীরা স্বাধীনতার জন্য রাজ পথে নামছে, প্রতিবাদ করছে। স্বাধীনতা বলতে তারা কি বুঝিয়েছে কি বুঝে এখন সেটাই ভাবার বিষয়। স্বামীর নিকট থেকে স্বাধীনতা নাকি পিতা-মাতার নিকট থেকে স্বাধীনতা, না দেশের নিকট থেকে?

আর অধিকারের কথা বললে আমি বলতে চাই অধিকার কখনোই আদায় করতে যেও না, অধিকার অর্জন করে নিতে হয়। জোর করে যেমন ভালবাসা হয় না ঠিক তেমনি সংসারে অধিকার আদায় করা যায় না। এমন সময় তৈরী হয় নারীর কারনে পুরুষ আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয় এমন কথা কেউ বলে না শুধুই বলে পুরুষের কারনে নারী আত্মহত্যার মতো জঘন্য পাপের পথে ধাবিত হয়।

নারী ঘরের লক্ষ্মী, দেশের লক্ষ্মী এমন করে তো কেউ পুরুষকে বলে না। কারন নারীরাই পুরুষকে আলোর পথ দেয়ায়। এই আলোর পথের কথা সবাই প্রকাশ করে কিন্তু আঁধারের কথাটিই পুরুষের উপর এসে পড়ে। নারী যেমন লক্ষ্মী তেমনি আগ্নেয়গিরি। আজকাল সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে এটা উল্টে গেছে। আজকাল সংসার সুখের হয় যে ঘরে বিকলাঙ্গ স্বামী থাকে বসে।

সর্বপরি নারী আমার মা এটাই সঠিক পথ যখন নারী সকলের মা হয়ে থাকে। কিন্তু নারী যখনি মা বাদে অন্যান্য ভূমিকায় অবতারিত হয় তখন সে আর মায়ের রূপে থাকে না। আর এজন্য নারীরা বহুরূপী।