ডিস এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা: সাধারন মানুষ যেখানে বন্দি

সগীর হোসাইন খান
Published : 24 Oct 2012, 05:10 PM
Updated : 24 Oct 2012, 05:10 PM

বর্তমান আধুনিক যুগে ডিস ছারা কোন বাসার কথা চিন্তা করা যায় না। টিভি আছে কিন্তু ডিস নেই এমন বাড়ী খুজে পাওয়া দুস্কর। আর আধুনিক ইন্টারনেটের যুগে পিসিতে ইন্টারনেট না থাকলে এটা যেন অনেকটা গাড়ি কিনলাম কিন্তু তেল ভরলাম না। তাই বেশীর ভাগ বাড়ীতে রয়েছে ইন্টারনেট লাইন। তবে হাল সময়ে কিছু মডেম ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা আসাতে ব্রডব্যান্ড ব্যবসায় কিছুটি ধ্বস নেমেছে। কিন্তু তাই বলে তাদের দাপট এখনো রয়েছে।

ডিস ব্যবসা বা ক্যাবল অপারেটর ব্যবসার ক্ষেত্রে ডিসিসি একটি অদ্ভুত নিয়ম করে রেখেছে। প্রতিটি এলাকায় একটি করে ক্যাবল অপারেটর থাকবে। এই নিয়ম তাদের হাতে তুলে দিয়েছে মনোপলি ব্যবসা। তাই যা খুশি তাই করতে পারে তারা। আমি থাকি পুরান ঢাকার দিকে। এই ব্যবসার সাথে পুরান ঢাকায় যারাই জড়িত তারাই হল এলাকার স্থানীয় এবং কিছুটা মাস্তান ধরনের ছেলে/মানুষ। তাদের কাছ থেকে সেবা বলতে কিছুই পাওয়া যায় না। গ্রাহকের কোন সেবার চিন্তাই তারা করে না। কথায় কথায় কোনরূপ সতর্কীকরণ ছাড়াই লাইন কেটে দেওয়া তাদের নিত্যদিনের অভ্যাস। টাকা চাইলে আসলে যে ধরনের আচরন করে তা রীতিমত মাস্তানি ছারা আর কিছুই না।

ঠিক একই অবস্থা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে। লাইনের যা তা অবস্থা প্রায় সব এলাকাতেই। সেবার মান নেই বললেই চলে। (এলিট এলাকা যেমন ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী এর অবস্থা আমি বলতে পারছি না।) এক ব্যবসায়ী আরেক ব্যবসায়ীর লাইন কেটে দেয়। কোন রূপ দায়বোধ এদের নেই। যে কারণে গ্রাহকদের নিয়মিত দূর্ভোগ পোহাতে হয়।

ইন্টারনেট সেবা খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। এই দূর্ভোগ আর থাকবে না। যদিও নতুন নতুন দূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু ক্যাবল অপারেটরদের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের কোন সুযোগ দেখা যাচ্ছে না। তারা যেহেতু মনোপলি খেলছে তাই তাদের কিছুতেই ডর নেই। আর এর দায়ভার বহন করতে হচ্ছে আমাদের। আমি থাকি আজিমপুরে। এর আশে পাশের এলাকায় আমার যারা পরিচিত থাকে তাদের প্রায় সবাই একই অবস্থা। এই মাসে তারা আমাদের সাথে যে আচরন করলো তা কোন ভাবেই সহ্য করা যায় না।

সমস্যা হল এর কোন বিকল্প নেই। তাদের কাছেই ধরনা দিতে হবে ডিস দেখার জন্য। কারন এলাকায় এই সেবা শুধু তারাই দেয়।

বাংলাদেশে প্রায় সব ক্ষেত্রেই গ্রাহক সেবা লংঘন হয়ে থাকে। গ্রাহকরা একত্র হয়ে নিজেদের অধিকার দাবি করে না বললেই আসলে এই সমস্যা। অন্যান্য দেশে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। গ্রাহক সেবা বঞ্চিত হলে আদালতে যাওয়ারও সুযোগ থাকে।

কবে বদল হবে এই ডিস মনোপলি ব্যবসা?